বিজ্ঞাপন

মনদীপ সিং দশমের পরীক্ষায় জেলায় প্রথম, অনেক বাধা কাটিয়েই সাফল্য

মনদীপ সিং দশমের পরীক্ষায় জেলায় প্রথম, অনেক বাধা কাটিয়েই মিলেছে এই সাফল্য। উধমপুর জেলায় বাড়ি মনদীপের। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৯৮.০৬ শতাংশ নম্বর।
বিজ্ঞাপন

মনদীপ সিং

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মনদীপ সিং দশমের পরীক্ষায় জেলায় প্রথম, অনেক বাধা কাটিয়েই মিলেছে এই সাফল্য। জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুর জেলায় বাড়ি মনদীপের। দশম শ্রেণির পরীক্ষায় সে পেয়েছে ৯৮.০৬ শতাংশ নম্বর। লকডাউনের কারণে স্কুলে যেতে পারেনি। অনলাইন ক্লাসের জন্য তার ছিল না কোনও মোবাইল বা কম্পিউটার। সেই সব বাধা পেরিয়ে মনদীপ সিং দশমের পরীক্ষায় জেলায় প্রথম হয়েছে।

বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হতেই মনদীপকে নিয়ে খুশিতে মেতেছে তার পরিবার। খুবই দরিদ্র পরিবারের ছেলে মনদীপ। ফল প্রকাশের পর মনদীপ বলেছে, গত বছর লকডাউনের কারণে সে স্কুলে যেতে পারেনি। এমনকি অনলাইন ক্লাসের জন্য তার কাছে কোনও মোবাইল বা কম্পিউটার ছিল না। কয়েক জন শিক্ষক এবং পরিবারের লোকজনের সাহায্যে সে পড়াশোনা করেছে। আর তাতেই মিলেছে সাফল্য।

এর পর পড়াশোনা করে মনদীপ ডাক্তার হতে চায়। উধমপুরের আমরোহ গ্রামে থাকে তার পরিবার। বাবা শ্যাম সিং পেশায় কৃষক। বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝেই চাষের কাজে হাত লাগায় সে। মা সন্ধ্যাদেবী গৃহবধূ। মনদীপের কথায়, ‘‘পড়াশোনা ছাড়াও আমি মাঝে মাঝেই বাব-মাকে তাঁদের কাজে সাহায্য করি।’’ ভাল ফলের জন্য মনদীপ তার শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। কারণ, ওঁরাই ওই কিশোরকে বই দিয়ে সাহায্য করেছেন। পড়াশোনাতেও।

মনদীপের দাদা জম্মুর শের-ই-কাশ্মীর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন। তিনিও লকডাউনের কারণে বাড়িতেই ফিরে এসেছিলেন। মনদীপের পড়াশোনায় তিনিও সাহায্য করেছেন। মনদীপ এখন ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট পেরিয়ে ডাক্তার হতে চায়। তার কথায়, ‘‘গরিব পড়ুয়াদের স্বপ্নপূরণ করতে সরকারকে প্রভূত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।’’

বন্ধুদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে মনোদীপ বলে, ‘‘ওরা বলে লকডাউনের কারণে আমাদের পড়াশোনা শিকেয় উঠেছে। এক দিক থেকে দেখতে গেলে বিষয়টা একেবারেই ঠিক।’’ তবে মনোদীপ সমস্যার দিকে না তাকিয়ে বরং সে তার পড়াশোনাতেই মন স্থির করেছিল। তাতেই মিলেছে সাফল্য।


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

এর পর পড়াশোনা করে মনদীপ ডাক্তার হতে চায়। উধমপুরের আমরোহ গ্রামে থাকে তার পরিবার। বাবা শ্যাম সিং পেশায় কৃষক। বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝেই চাষের কাজে হাত লাগায় সে। মা সন্ধ্যাদেবী গৃহবধূ। মনদীপের কথায়, ‘‘পড়াশোনা ছাড়াও আমি মাঝে মাঝেই বাবা-মাকে তাঁদের কাজে সাহায্য করি।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন