বিজ্ঞাপন

দক্ষিণের পর বৃষ্টি উত্তরে, ধসে বিচ্ছিন্ন হিমাচলের বিস্তির্ণ অঞ্চল

দক্ষিণের পর বৃষ্টি উত্তরে । কেরলের বন্যা পরিস্থিতি যখন একটু ভালোর দিকে তখনই আবহাওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অন্য প্রান্তে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: দক্ষিণের পর বৃষ্টি উত্তরে । কেরলের বন্যা পরিস্থিতি যখন একটু ভালোর দিকে তখনই আবহাওয়ার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দেশের অন্য প্রান্তে। এতদিন ভাসছিল দক্ষিণ ভারতের বিস্তির্ণ অঞ্চল। এ বার বৃষ্টি শুরু হয়েছে উত্তর ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। উত্তরাখণ্ডে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রবল বৃষ্টি। যার রেশ পাচ্ছে উত্তর প্রদেশও। সঙ্গে সেই বৃষ্টির প্রভাব পড়েছে হিমাচল প্রদেশেও। হিমাচলের বিভিন্ন অঞ্চলে ধস নেমে বন্দ হয়ে গিয়েছে রাস্তা।

পাঠানকোট থেকে ডালহৌসির রাস্তায় ধরে বন্ধ হয়ে গিয়েছে যান চলাচল। সেই সময় একটি ট্রাক সেই পথে যাচ্ছিল। এতটা বড় ধস ছিল যে পুরো ট্রাকটিকে নিয়ে নেমে যায় খাদে। যেন কার্ড বোর্ডের খেলনা গাড়ি। ভাগ্য ভাল সেই সময় ওই জায়গায় কোনও যাত্রীবাহী গাড়ি ছিল না। গত এক সপ্তাহ ধরেই হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিম উত্তর প্রদেশে প্রবল বৃষ্টি চলছে। যার ফলে নামতে শুরু করেছে ভূমিধস। বিয়াস নদীর আশপাশে ধসে আটকে রয়েছে প্রচুর মানুষ।

চণ্ডীগড়-মানালি জাতীয় সরকের ১০০ মিটার রাস্তা খুবই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। শুক্রবার রাতেই মান্ডি জেলার আতুর কাছে বরসর ধস নেমেছে। ধসের জায়গার দু’পাশে একাধিক গাড়ি দাড়িয়ে রয়েছে।  ছোট গাড়ি অন্যান্য রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মেশিন দিয়েও ঝস সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। যাতে দ্রুত পরিষ্কার হয়ে যাবে রাস্তা। চাম্বা-পাঠানকোট হাইওয়েও ধসের জন্য বন্ধ। চাম্বার দোনালিয়ার কাছে ধস নেমেছে। ট্রাক ধসে চাপা পড়ে গেলেও কোনও হতাহতের খবর নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় অফিশিয়ালরা।

কেরলের বন্যা ত্রাণে আরও ৬০০ কোটি টাকা দিল কেন্দ্র সরকার

আবহাওয়ার দফতরের তরফে লাল সঙ্কেত জারি করা হয়েছে বিভিন্ন অঞ্চলে। আরও ভাড়ি বৃষ্টির সতর্কতাও রয়েছে। হিমাচল প্রদেশে এই বর্ষায় সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। শিমলায় ১৯০১-এর পর ১২ ও ১৩ অগস্ট একদিনে সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর জানিয়েছেন, বৃষ্টিতে রাজ্যে ক্ষতি হয়েছে ৯৯০ কোটি টাকা। ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।

আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা। ধসের জন্য পাহাড়ি অঞ্চলের অনেক গ্রামই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে রয়েছে। কোনও রকমে পাহাড় ডিঙিয়ে যাতায়াত করছেন স্থানীয় মানুষ। ১০০র উপর পর্যটক আটকে রয়েছে হিমাচলের বিভিন্ন অঞ্চলে। তার বেশিরভাগটাই রয়েছে বিয়াস নদীর আশপাশে। ইতিমধ্যেই রাজ্যকে পুনরুদ্ধার করতে ২৩০ কোটি টাকা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।


0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন