বিজ্ঞাপন

কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টে দাবি সিবিআই অফিসারের

কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন মোদী সরকারের এক মন্ত্রী। এবং সে কথা দেশের শীর্ষ আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন সিবিআইয়ের এক অফিসার। তাঁর নাম মণীশকুমার সিনহা।
বিজ্ঞাপন

মন্ত্রীকে কোটি টাকা ঘুষ! দাবি মণীশকুমার সিনহার।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন মোদী সরকারের এক মন্ত্রী। এবং সে কথা দেশের শীর্ষ আদালতে দাঁড়িয়ে দাবি করলেন সিবিআইয়ের এক অফিসার। তাঁর নাম মণীশকুমার সিনহা।

নামী এক ব্যবসায়ী গোয়েন্দাদের সন্দেহের তালিকায় ছিলেন। আর তাঁকে বাঁচাতেই কেন্দ্রীয় এক মন্ত্রী কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন বলে মণীশের অভিযোগ। শুধু তাই নয়, সিবিআইয়ের দুই কর্তা অলোক বর্মা এবং রাকেশ আস্থানার বিষয়ে নাক গলিয়েছিলেন দেশের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দাভাল। সোমবার শীর্ষ আদালতে সেই দাবিও করেন মণীশ।

সম্প্রতি সিবিআইয়ের ডিরেক্টর অলোক বর্মা এবং স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেস আস্থানাকে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। দুই কর্তাই একে অপরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন। বিতর্কটি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে দু’জনকেই ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান নেয় সরকার। কিন্তু, তার আগেই আস্থানার নামে এফআইআর করেন বর্মা। সেই মামলায় আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্ত করছিলেন মণীশ। এর মধ্যে আচমকাই তাঁকে বদলি করে দেওয়া হয়। এ দিন সেই বদলির নির্দেশকেও আদালতে চ্যালেঞ্জ করেন মণীশ।

এ দিন সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন করে মণীশ জানান, রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে মারাত্মক তথ্য হাতে পেয়েছিলেন তিনি। এক ব্যবসায়ীকে সিবিআই মামলা থেকে রেহাই দিতে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার এক সদস্য। মণীশ ওই আবেদনে দাবি করেন, এ ব্যাপারে তাঁর কাছে এমন সব তথ্যপ্রমাণ রয়েছে, যা দেখে সুপ্রিম কোর্টও চমকে যাবে। এই দাবি করে মঙ্গলবারই তাঁর আবেদনের শুনানির আর্জি করেন ওই সিবিআই কর্তা।

বিজেপি বিরোধী মহাজোট নিয়ে আরও এক ধাপ এগোলেন তাঁরা

যদিও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, কোনও কিছুতেই আদালত চমকাচ্ছে না। অবিলম্বে শুনানি শুরু করার দাবিও তিনি খারিজ করে দেন।

এরই পাশাপাশি জোর করে ছুটিতে পাঠানোর ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন সিবিআইয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর অলোক বর্মা। মঙ্গলবার ওই মামলার শুনানির কথা। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে অলোক বর্মা তাঁর জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তি‌নি কার্যত বোমা ফাটিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। অ‌লোক নাকি দাবি করেছেন, আইআরসিটিসি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানা, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের এক কর্তা এবং বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী আরজেডি নেতা লালু প্রসাদের বিরুদ্ধে কেস সাজিয়েছিলেন।

0
0

This post was last modified on November 20, 2018 1:43 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন