জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতেই হবে, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে এমন বার্তাই দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারতে কোভিড সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এসেছে। কয়েকটি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সেই আবহে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের রুখতেই হবে।’’
তবে বুধবারের ওই বৈঠকে ছিলেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে ভোট নিয়ে তিনি ব্যস্ত। এ ছাড়া তাঁর দলের এ দিন ইস্তেহার প্রকাশ ছিল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ও ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেলও অনুপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ওই বৈঠকে বলেন, “পরিস্থিতিকে কোনও মতেই হাল্কা করে দেখলে চলবে না আমাদের। কারণ এখনই যদি এই বৃদ্ধি না থামানো যায়, তা হলে ফের তা দেশ জুড়ে অতিমারির আকার নেবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাস থাকা ভাল। কিন্তু সেটা যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়।”
দেশের সব খবর জানতে এখানে ক্লিক করুন
মহারাষ্ট্রে করোনা অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক। সংক্রমণ বাড়ছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে। নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর খবর আসছে কেরল-তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য থেকে। দেশে করোনা নতুন করে ছড়িয়ে পড়ায় ফের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন বেলা ১২টা থেকে ওই বৈঠক শুরু হয়। মূলত, বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ ও টিকাকরণ নিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
দেশে গত ছ’দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ২০ হাজারের উপরে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিড-আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ৪৯২ জন। তার মধ্যে ১৫ হাজারের বেশি মহারাষ্ট্রেই। কেন্দ্রের পাঠানো বিশেষ পর্যবেক্ষক দল স্বীকার করে নিয়েছে ভারতে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে।
ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। ইতিমধ্যেই সাড়ে ৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ভারতে টিকাকরণের গতি অনেকটাই বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী দিনে আরও বেশি টিকাকরণ হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। মোদী বলেন, ‘‘আরও বেশি করে নমুনা পরীক্ষা করতে হবে। অ্যান্টিজেন টেস্টের উপর বেশি জোর দিলে হবে না। আরটি-পিসিআর টেস্ট বেশি করতে হবে।”
(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)
This post was last modified on March 18, 2021 2:32 am