বিজ্ঞাপন

মুম্বইয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, বয়স হয়েছিল ১০০, চলছে উদ্ধারকাজ

মুম্বইয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি যায় বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। মৃত সাত। আটকে রয়েছেন অনেকেই। সংখ্যাটা কম করে ৪০-৫০ জন হবে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা।
বিজ্ঞাপন

মুম্বইয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মুম্বইয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি যায় বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। মৃত সাত। আটকে রয়েছেন অনেকেই। সংখ্যাটা কম করে ৪০-৫০ জন হবে বলে প্রশাসনের আশঙ্কা।

মঙ্গলবার সকালে ডোংরি এলাকায় একটি চারতলা বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। এ দিন বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। এখনও পর্যন্ত দুই শিশু-সহ মোট আট জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রশাসনের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাড়িটির বয়স প্রায় ১০০ বছর। ট্যান্ডেল স্ট্রিটের ওই বাড়িতে ১৫টি পরিবারের বাস। তাঁদের অনেকেই আটকা পড়েন ধ্বংসস্তূপের নীচে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

প্রত্যক্ষদর্শী এক কিশোর জানিয়েছে, আচমকাই সে একটি বিকট শব্দ শোনে। তার সঙ্গেই ভেসে আসে বহু মানুষের আর্তনাদ। সকলেই চেঁচিয়ে ওঠে, ‘বাড়ি ভেঙে পড়ছে’। ওই কিশোরের কথায়, ‘‘আমি সঙ্গে সঙ্গে দৌড়ে পালিয়ে আসি। মনে হচ্ছিল প্রচণ্ড জোরে ভূমিকম্প হচ্ছে।’’ দুর্ঘটনার পর প্রাথমিক ভাবে উদ্ধার কাজে হাত লাগান স্থানীয়রাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকল ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পৌঁছয় পুলিশও। ধ্বংসস্তূপ থেকে যাঁদের উদ্ধার করা হয়, তাঁদের নিয়ে যাওয় হয় স্থানীয় হাবিব হাসপাতাল এবং জে জে হাসপাতালে। সেখানেই এক মহিলা-সহ মোট চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দু’জনের পরিচয় জানা গিয়েছে।

 

বেশ কিছু দিন ধরেই মুম্বইতে লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় জল জমে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। কোনও কোনও জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। সে কারণেই ওই পুরনো বহুতল ভগ্ন হয়ে পড়েছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে পুরনো ওই বাড়িটিতে রক্ষণাবেক্ষণের অভাব ছিল বলেই স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীস। পরে তিনি জানান, অন্তত ১৫টি পরিবার ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েছে। আটকে পড়াদের নিরাপদে বার করে আনাই আপাতত উদ্ধারকারীদের মূল লক্ষ্য। তাঁর কথায়, ‘‘ওই বহুতলটি ১০০ বছরের পুরনো। আমরা এই এলাকা পুনরোন্নয়নের জন্য আমরা অনুমতি দিয়েছিলাম। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে, সেই কাজে কোনও দেরি হয়েছিল কি না! আমাদের এখন মূল লক্ষ্য আগে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন