বিজ্ঞাপন

এনআরসি-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ অসমে, বাদ ১৯ লাখ মানুষের নাম

এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি)-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে। শনিবার ওই তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে।
বিজ্ঞাপন

এনআরসি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জি)-র চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়েছে। শনিবার ওই তালিকা প্রকাশিত হতেই দেখা গিয়েছে, প্রায় ১৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছে। নতুন তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষ। খসড়া তালিকায় প্রায় ৪০ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়েছিল। নয়া তালিকায় ২২ লাখের নাম উঠলেও বাইরে থেকে গিয়েছেন অর্ধেকেরই বেশি মানুষ।

এ দিন সকাল ১০টা নাগাদ অসমের নাগরিকপঞ্জির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়। অসম এনআরসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয় ওই তালিকা। সেখানেই দেখা যায় নাম ওঠেনি প্রায় ১৯ লাখ মানুষের।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

অসমে প্রথম নাগরিকপঞ্জি প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৫১ সালে। তার পর থেকে সংশোধন হতে হতে শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশিত হল এ বার। এর আগে চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই। তখন সেই খসড়া তালিকায় তিন কোটি ২৯ লক্ষের মধ্যে বাদ পড়েছিলেন ৪০ লাখ ৭ হাজার ৭০৭ জন।

অসম পুলিশের তরফে টুইট করে জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে তালিকা থেকে বাদ পড়াদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে অসম পুলিশের আর্জি, ‘গুজবে কান দেবেন না। কেউ কেউ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি, অশান্ত বা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করবে। নাগরিকদের নিরাপত্তাই আমাদের অগ্রাধিকার।’

তবে নাম বাদ পড়া মানেই সঙ্গে সঙ্গে তিনি ‘বিদেশি’ হয়ে গেলেন এমনটা নয়। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, যাঁদের নাম বাদ পড়েছে তাঁরা ধাপে ধাপে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারেন। আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পরই ‘বিদেশি’ করার প্রক্রিয়া চালু হবে। বাদ পড়া প্রত্যেক নাগরিক ফরেনার্স ট্রাইবুনালে আবেদন করতে পারবেন। সেই আর্জির সময়সীমা দেওয়া হয়েছে।

প্রাথমিক ভাবে অসম জুড়ে ১০০০ ট্রাইবুনাল বসানো হবে। ইতিমধ্যেই ১০০ ট্রাইবুনাল চালু রয়েছে। সেপ্টেম্বরের মধ্যে আরও ২০০ বাড়ানো হবে এবং ধাপে ধাপে সেই সংখ্যা এক হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। কেউ ট্রাইবুনালে হেরে গেলে হাইকোর্টে যেতে পারবেন। সেখান থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ থাকবে।

অসমের মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মাও এই এনআরসি নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মতে, বৈধ নাগরিকদের চিহ্নিত করা এবং অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বাতিল করার ক্ষেত্রে এই তালিকা কতটা সহযোগী হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তিনি বলেন, “বাংলাদেশ লাগোয়া জেলা দক্ষিণ সালমারা ও ধুবুরিতে তালিকা থেকে বাদ পড়ার হার সর্বনিম্ন। অথচ ভূমিপুত্র জেলায় প্রচুর মানুষের নাম বাদ পড়েছে। এটা কী ভাবে সম্ভব? আমরা এই তালিকায় ভরসা রাখছি না।”

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন