বিজ্ঞাপন

২২ মার্চ, রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী

২২ মার্চ, রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত জনতা কার্ফু্র ডাক দিয়েছেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ২২ মার্চ, রবিবার জনতা কার্ফুর ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই দিন সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত জনতা কার্ফু্র ডাক দিয়েছেন তিনি। সে দিন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ছাড়া আর সবাইকে ১৪ ঘণ্টা ঘরে থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার রাত আটটায় তিনি যে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। এ দিন নির্ধারিত সময় এভাষণ দিতে গিয়ে মোদী ওই আবেদন জানান। কিন্তু কেন এক দিনের জন্য এমন জনতা কার্ফু? যে গতিতে ভারতে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে আগামী দিনে চিন-ইটালির মতো দীর্ঘকালীন ‘লকডাউন’-এর পথে হাঁটতে হতে পারে গোটা দেশকে। রবিবার তারই মহড়া সেরে রাখতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী। এমনটাই মত অনেকের।


এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন

এখনও পর্যন্ত এ দেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৪। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দু’শো। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। অযথা উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ নেই।

মোদী এ দিন আবেদন করেছেন, ২২ মার্চ সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত কেউ যেন বাড়ির বাইরে না বেরোন। তবে জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তেরা কাজে যাবেন। তাঁদের সম্মান জানাতে সকলকে সে দিন বিকেল পাঁচটায় বাড়ির দরজা, বারান্দা, ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে পাঁচ মিনিট হাততালি দিতে বা ঘণ্টা বাজাতে অনুরোধ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মী হোক, বিমানবন্দরের কর্মী হোক, সংবাদ মাধ্যমের কর্মী হোক, সবাই নিজেদের কথা না ভেবে অন্যের সেবায় নিয়োজিত। তাঁদের সম্মান জানানো উচিত।’’

মোদী আরও কী কী বললেন, শুনে নিন…

করোনার ভয়াবহতা বর্ণনা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘‘দেশ তথা বিশ্ব এক গভীর সঙ্কটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। দু’টি বিশ্বযুদ্ধের সময়ও এত দেশ এক সঙ্গে জড়িয়ে পড়েনি। আবার এটা এমন পরিস্থিতি যে, এক দেশ অন্য কোনও দেশকে সাহায্যও করতে পারছেন না।’’

রবিবার সকাল সাতটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত দেশবাসীকে স্বেচ্ছায় ঘরবন্দি থাকার আর্জি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী শুক্র ও শনিবার এই নিয়ে প্রচার করুন।’’ পাশাপাশি দুধ, খাবার, ওষুধের মতো অপরিহার্য দ্রব্য অযথা মজুত না করার কথাও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। জানিয়েছেন, আর্থিক সঙ্কট কাটাতে গঠিত হয়েছে টাস্ক ফোর্স। তিনি বলেন, ‘‘আর্থিক ব্যবস্থার মোকাবিলা করতে কোভিড-১৯ ইকনমিক টাস্ক ফোর্স গঠন করা  হচ্ছে, নেতৃত্বে থাকছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on March 21, 2020 2:39 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন