বিজ্ঞাপন

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা স্বামী রবার্টকে ইডি-র দফতরে নামিয়ে বললেন, পাশেই আছি

প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা স্বামী রবার্ট বঢরাকে নিয়ে পৌঁছলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে। রবার্টকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তিনি চলে গেলেন কংগ্রেসের সদর দফতরে।
বিজ্ঞাপন

ইডি দফতরের সামনে গাড়িতে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরা স্বামী রবার্ট বঢরাকে নিয়ে পৌঁছলেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর দফতরে। রবার্টকে গাড়ি থেকে নামিয়ে তিনি চলে গেলেন কংগ্রেসের সদর দফতরে। বুধবার বিকেলে রাজধানীতে এই দৃশ্য দেখে যারপরনাই কৌতূহল ছড়িয়েছে। খোদ প্রিয়ঙ্কাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সটান জবাব দিয়েছেন, বার্তাটা খুবই পরিষ্কার।

কোন বার্তা দিতে চেয়েছেন প্রিয়ঙ্কা? তাঁর কথায়, ‘‘আমি আমার স্বামীর পাশে আছি।’’ কয়েক দিন আগে তাঁকে যখন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী দলের সাধারণ সম্পাদকের পদে তাঁকে নিয়োগ করেন, তখন প্রিয়ঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা ফেসবুকে লিখেছিলেন, ‘অভিনন্দন পি… তোমার জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে আমি তোমার পাশে আছি।’ এ দিন প্রিয়ঙ্কার ওই মন্তব্য তাই মনে পড়িয়ে দিল রবার্টের সে দিনের বার্তাকে।

আর্থিক তছরুপ এবং লন্ডনে অবৈধ সম্পত্তি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রবার্টকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। লন্ডনে একাধিক সম্পত্তি কেনাবেচা নিয়ে আর্থিক তছরুপ করার অভিযোগ রয়েছে রবার্ট বঢরার বিরুদ্ধে। সেই সম্পত্তির আর্থিক মূল্য প্রায় ৮৫ কোটি টাকা। এ দিন তিনি ইডি-র ডাকে সাড়া দিয়ে ইডি-র দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁকে প্রায় ৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র গোয়েন্দারা। রাত ১০টা নাগাদ ইডি-র দফতর থেকে রবার্টকে বেরোতে দেখা যায়। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছেন রবার্ট।

বিকেল পৌনে চারটে। সাদা রঙের একটি টয়োটা ল্য্ন্ড ক্রুইজার এসে থামে দিল্লির জামনগর এলাকায় ইডি-র দফতরের সামনে। রবার্ট এবং নিরাপত্তারক্ষীরা ছাড়া সেই গাড়িতে ছিলেন প্রিয়ঙ্কা। রবার্টকে নামিয়ে দিয়েই প্রিয়ঙ্কার কনভয় সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। রবার্ট ইডি দফতরে ঢোকার কয়েক মিনিট আগেই সেখানে পৌঁছন তাঁর আইনজীবীরা।

এই প্রথম ওই মামলায় ইডি-র গোয়েন্দাদের মুখোমুখি হলেন রবার্ট। কংগ্রেসর প্রতি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জায়গা থেকেই বিজেপি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলছে বলে এর আগে দাবি করেন রবার্ট। আগাম জামিনের আবেদন জানিয়ে দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রবার্ট। ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জামিন দিলেও আদালত তাঁকে তদন্তকারীদের তদন্তে সহায়তা করতে তাঁদের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দেয়। লন্ডন থেকে ফিরে আসার পর আদালতের নির্দেশ মেনে বুধবার তিনি ইডি-র দফতরে গিয়েছিলেন।

রাত দশটা নাগাদ তিনি ইডি দফতর থেকে বার হন। বেরনোর সময় সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘লন্ডনে আমার কোনও সম্পত্তি নেই। লন্ডনের ওই সম্পত্তির লেনদেনের বিষয়ে যাঁদের নাম উঠে এসেছে, আমি তাঁদের কাউকে চিনি না।’’

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ দেখতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on February 7, 2019 1:45 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন