বিজ্ঞাপন

Sheena Bora Case-এ জামিন পেলেন মূল অভিযুক্ত ইন্দ্রানী

তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে নিজেরই মেয়েকে খুনের অভিযোগ (Sheena Bora Case)। গত সাড়ে ৬ বছর জেলে থাকার পর এদিন জামিন পেলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তাঁর বিরুদ্ধে রয়েছে নিজেরই মেয়েকে খুনের অভিযোগ (Sheena Bora Case)। গত সাড়ে ৬ বছর জেলে থাকার পর এদিন জামিন পেলেন তিনি। বুধবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, দীর্ঘ সাড়ে ৬ বছর পর ইন্দ্রানী মুখোপাধ্যায়কে জামিন দেওয়া হল। ২০১৫ থেকে জেলেই ছিলেন তিনি। ২০১২-তে খুন হন ২৫ বছরের শিনা বোরা। তার পরই তাঁর খুনকে ঘরে সামনে চলে আসে জাতীয় স্তরের মিডিয়া হাউজের অন্যতম মালিক ইন্দ্রানীর নাম। তাঁর সঙ্গে জড়িয়ে যায় স্বামী পিটার মুখোপাধ্যায়ের নামও। যদিও আগেই জামিন পেয়েছেন তিনি।

এই মামলায় উঠে আসে ইন্দ্রানীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব খান্নার নাম। ২০০২-এ সঞ্জীবের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পরই পিটারকে বিয়ে করেছিলেন উচ্চাকাঙ্খী ইন্দ্রানী। সেই সময় পিটারের কাছে নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে বোন বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। শিনা বোরা হত্যাকাণ্ড কোনও রোমহর্ষক সিনেমার থেকে কিছু কম নয়। ২০১২ সালে খুন হওয়া শিনা বোরার মৃত্যু রহস্য সামনে আসে ২০১৫-তে। তাও আবার অন্য একটি মামলায় ইন্দ্রানীর গাড়ির চালক শ্যামভার রাইয়ের গ্রেফতারির পর।

শিনা বোরা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উঠে আসে শ্যামও সঞ্জীবের নাম। বলা হয় গাড়ির চালক ও প্রাক্তন স্বামীর সাহায্য নিয়েই শিনা বোরাকে খুন করেন ইন্দ্রানী। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত ইন্দ্রানী পরিবারকে জানিয়েছিল শিনা বিদেশ চলে গিয়েছে। সেই সময় খুনের কারণ হিসেবে উঠে আসে, শিনা বোরার সঙ্গে পিটার মুখোপাধ্যায়ের আগের পক্ষের ছেলে রাহুলের সম্পর্কের কথা। যা মেনে নিতে পারেননি ইন্দ্রানী। আর সে কারণেই খুন হতে হয় শিনাকে।

২০২০-তে জামিন পেয়ে যান পিটার মুখোপাধ্যায়। তার আগেই জেলে থাকার সময়ই ইন্দ্রানীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় ইন্দ্রানীর। ২০১৭-তে শুরু হয় শিনা বোরা হত্যা মামলার শুনানি। এর মাঝে এক ব্যক্তি দাবি করেন তিনি শিনা বোরাকে কাশ্মীরে দেখেছেন। কিন্তু তদন্ত করে তেমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ইন্দ্রানীর হয়ে আদালতে লড়তে দেখা যায় মুকুল রোহতগীকে।

এর আগে গাড়ির চালক বয়ান দেন, তাঁর সাহায্য নিয়েই শিনাকে গলায় ফাঁস দিয়ে মারেন ইন্দ্রানী। তার কথা অনুযায়ী মুম্বইয়ের কাছের এক জঙ্গলে মাটির তলা থেকে তিন বছর পর উদ্ধার হয় অর্ধেক পুড়ে যাওয়া দেহ। সেটিই ছিল শিনা বোরার দেহ। এই মামলায় প্রায় ৬০ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয় ২০১৭ থেকে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু পোক্ত কোনও প্রমাণ তুলে আনতে পারেনি। তবে মামলা বন্ধ হয়নি বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক)

0
0

This post was last modified on May 18, 2022 2:37 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন