বিজ্ঞাপন

বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুন, তদন্ত শুরু গোহত্যা নিয়ে!

বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুন হলেন। কিন্তু, পুলিশ তাঁর মৃত্যুর ঘটনার চেয়ে বেশি উদ্বীগ্ন গোহত্যার ঘটনায়। সে ঘটনারই তারা তদন্ত শুরু করল।
বিজ্ঞাপন

 বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বুলন্দশহরে পুলিশ অফিসার খুন হলেন। কিন্তু, পুলিশ তাঁর মৃত্যুর ঘটনার চেয়ে বেশি উদ্বীগ্ন গোহত্যার ঘটনায়। সে ঘটনারই তারা তদন্ত শুরু করল। পুলিশের এই ভূমিকায় ক্ষোভ বাড়ছে উত্তরপ্রদেশে।

সোমবার সকালে ২৫টি গবাদি পশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় বুলন্দশহরে। গো-হত্যার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এর পরেই পথে নামে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ হাজির হলে পরিস্থিতি কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছন বুলন্দশহর থানার ইনস্পেকটর সুবোধকুমার সিংহ। বিক্ষোভকারীদের ছোড়া পাথরে আহত হন তিনি। পরে সুবোধের গাড়ির চালক রাম আশরে জানান, আহত সুবোধকে গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা ‘মার মার’ শব্দ করে পিছনে ধাওয়া করে। শেষে গাড়িটি ধরেও ফেলে তারা। এর পরে প্রাণভয়ে পালান রাম আশরে। তাঁর দাবি, গাড়ির মধ্যেই সুবোধকে গুলি করে আক্রমণকারীরা।

বুধবার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পুলিশের গাড়ির বাইরে হেলে পড়ে রয়েছে সুবোধের দেহ। ব্যাকগ্রাউন্ডে গুলির শব্দ। তার মধ্যেই ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলে চিৎকার। ময়না তদন্তে জানা গিয়েছে, সুবোধের ভুরুর নীচে গুলি লাগে বলে জানান বুলন্দশহরের জেলাশাসক। আর সে কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। একই সঙ্গে মারা যান সুমিতকুমার সিংহ নামে এক যুবকও।

হনুমা বিহারী না রোহিত শর্মা, প্রথম টেস্টে প্রথম দলে কে আসছেন?

এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করা হয় যোগেশ রাজ নামে এক যুবককে। তিনি বুলন্দশহর জেলায় বজরং দলের প্রধান। পাশাপাশি তি‌নি বিজেপির যুব মোর্চার সদস্য। পুলিশ তার নামে এফআইআর করলেও, বুধবার পর্যন্ত তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি। যে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সদস্য।

কিন্তু, গবাদি পশুর দেহ উদ্ধারের পর পুলিশের কাছে যোগেশ সাত জন গ্রামবাসীর নামে অভিযোগ দায়ের করেন। এ দিন সেই সাত জনের খোঁজে নববংশ  গ্রামে যায়। অভিযুক্তদের মধ্যে দুই নাবালক রয়েছে। কাকার সঙ্গে ওই দু’জনকেও থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে যদিও জামিনে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। যে সাত জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন যোগেশ, তাঁরা প্রত্যেকেই মুসলমান। ওই সাত জনের মধ্যে চার জন এখন আর ওই গ্রামে থাকে না। এক জন সে দিন গ্রামে ছিলেন না। ছিল ওই দুই নাবালক।

0
0

This post was last modified on December 6, 2018 1:54 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন