বিজ্ঞাপন

তুষারধস উত্তরাখণ্ডে, এখনও পর্যন্ত ৮ জনের দেহ উদ্ধার

তুষারধস উত্তরাখণ্ডে, যা মনে করিয়ে দিল কয়েকমাস আগে সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। ক্রমশ গলছে গ্লেসিয়ারগুলো আর তাতেই তৈরি হচ্ছে বিপত্তি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: তুষারধস উত্তরাখণ্ডে, যা মনে করিয়ে দিল কয়েকমাস আগে সেই ভয়ঙ্কর স্মৃতি। ক্রমশ গলছে গ্লেসিয়ারগুলো আর তাতেই তৈরি হচ্ছে বিপত্তি। নিচের বরফ হালকা হয়ে ধসে পড়ছে যার ফলে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হচ্ছে গ্লেসিয়ার সংলগ্ন এলাকাগুলোতে। শুক্রবার আবারও উত্তরাখণ্ডের ইন্দো-চিন বর্ডারের গ্লেসিয়ার ফেটে তুষারধস শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনী উদ্ধারকার্যে নেমে পড়ে। আট জনের দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। জীবিত অবস্থায় যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে তাঁদের মধ্যে ছ’জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

এই তুষারধসের ফলে বর্ডার রোডঅর্গানাইজেশনের দুটো লেবার ক্যাম্প ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। দ্রুত সেই রাস্তা ঠিক করার কাজে নেমেছে বিআরও। ঘটনাস্থল থেকে সেনাবাহিনীর ক্যাম ছিল মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে। তাও এলাকায় পৌঁছতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় উদ্ধারকারী দলকে। রাস্তা ভেঙে যাওয়া এবং খারাপ আবহাওয়ায় উদ্ধারকার্যেও সমস্যা দেখা দেয়।

সেনাবাহিনী ও রাজ্য ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স খোঁজ এবং কাজ চালাচ্ছে তুষারধসের জায়গায়। নজরে এসেছে গ্লেসিয়ার বিস্ফোরণের ফলে যে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কম করে পাঁচটি জায়গা এই ধস নেমেছে। বর্ডার টাস্ক ফোর্স রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ শুরু করেছে ভাপকুণ্ড থেকে সুমনা পর্যন্ত গত সন্ধে থেকেই। আরও চ? থেকে আট ঘণ্টা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

যে জায়গায় এই গ্লেসিয়ার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে সেই নিতি ভ্যালির সুমনা অঞ্চল আকাশ পথে সার্ভে করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী  তিরথ সিং রাওয়াত। তার পর তিনি বলেন, ‘‘বিআরও এখনও কাজ করছে কিন্তু যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রচণ্ড তুষারপাতএর জন্য এখনও অনেক রাস্তা বন্ধ। মনে করা হচ্ছে এর কারণে আসপাশের গ্রাম এবং গবাদি পশুদের কোনও ক্ষতি হয়নি। শুধু রাস্তার ক্ষতি হয়েছে।’’

গত পাঁচ দিন ধরে এই এলাকায় প্রবল বৃষ্টি আর তুষারপাত চলছে। যার ফলে ওই সব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থাও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারির ধাক্কা এখনও কাটিয়ে ওঠেনি উত্তরাখণ্ড। চামোলি জেলার জোশিমঠে গ্লেসিয়ার বিস্ফোরণের পর ধোলিগঙ্গা নদীতে প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসের ফলে তার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে প্রচুর ক্ষতি হয়। ভেসে যায় দুটো স্টেট হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রজেক্ট। যার পর সব দেহ উদ্ধার করাও সম্ভব হয়নি। এখনও মিসিং প্রচুর। প্রজেক্টের টানেলে আটকে যায় প্রচুর শ্রমিক।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 25, 2021 12:33 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন