বিজ্ঞাপন

কাজের ফাঁকেই সুস্থ রাখুন নিজের ঘাড়, পিঠ, হাত

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

বসে বসে কাজ করে ক্লান্ত? বাড়ছে মেদ। জিমে যাওয়ার সময় নেই। এই অবস্থায় আপনার জন্যই আছে একগুচ্ছ টোটকা। আর সেই টোটকা মেনে চললে নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে পিঠের কষ্টকর ব্যথা। আর এ ভাবেই যদি অবসর নেন তার পর আর সোজা হয়ে দাঁড়াতেও কষ্ট করতে হবে। হার্ট আর লিভারের অসুখও বাড়বে। তাই অফিসের দীর্ঘ সময়ের মধ্যে নিজের জন্য টুকরো টুকরো সময় বের করে আনতে হবে। কি ভাবে সেটাই বলব এ বার।

প্রথম, ঘাড়ের ব্যায়ামটা খুবই জরুরি। কারণ সারাক্ষণ হয় কম্পিউটার, ল্যাপটপে মুখ গুঁজে থাকতে হয় অথবা ফাইলে। ঘাড়ের ব্যথা তো অবশ্যই ভোগাচ্ছে। ঘাড়কে এমন ভাবে বাঁ দিক আর ডান দিক করুন যাতে আপনার ঘাড়ের সঙ্গে কানের স্পর্শ হয়। কয়েক সেকেন্ড রেখে দিক পরিবর্তন করে নিন।

দ্বিতীয়, ঘাড়কে কখনও ঘড়ির কাটার দিকে কখনও ঘড়ির কাটার উল্টোদিকে ঘোরান। ডানদিক থেকে বাঁ দিকে আবার বাঁ দিক থেকে ডানদিকে। আর কয়েক সেকেন্ড ধরে করুন। এটা নিশ্চই আপনি আপনার ডেস্কে বসেই করতে পারবেন।

তৃতীয়, এ বার উল্টোটা করুন। মাথাটা নামিয়ে আনুন সামনের দিকে। যাতে থুতনি বুকে লাগে। কয়েক সেকেন্ড রেখে এ বার ঠিক উল্টো দিকে নিয়ে যান মাথা। সবটাই খুব ধিরে করতে হবে।

চতুর্থ, কি বোর্ডে সারাক্ষণ আঙুল চালাতে চালাতে হাতটাও টন টন করছে। তা হলে চেয়ার ছেড়ে কয়েক সেকেন্ডের জন্য উঠে দাঁড়ান। হাত কানের দু’পাশ দিয়ে মাথার উপর তুলে সিলিংয়ের দিকে বাড়িয়ে দিন। প্রয়োজন হলে সোজা হয়ে আঙুলের উপর ভর দিয়ে উপর দিকে শরীরকে তুলে দিন।

পঞ্চম, এ বার হাত আর ঘাড়ের ব্যায়ামটা একসঙ্গেই সারতে পারেন। ডানহাত ভাঁজ করে মাথার উপর দিয়ে হাতের পাতা বাঁ দিকের কানের উপর নিয়ে আসুন। আর চাপ দিন। কিছুক্ষণ ধরে রেখে এ বার বাঁ হাত দিয়ে একইভাবে করুণ।

ষষ্ঠ, পা ভাজ করে হাঁটু দুটো বুকের কাছে নিয়ে আসুন। দুই হাঁটুর মাঝখানে মাথা গুঁজে দিন। কিছুক্ষণ ওভাবেই থাকুন। দেখবেন পিঠ, কোমর, পা সব একসঙ্গে আরাম পাবে। এটা অফিসে না হলে বাড়ি ফিরেও ডিনার করার আগে করে নিতে পারেন।

সপ্তম, হাত দুটো পিঠের পিছনে নিয়ে যান। সোজা হয়ে বসুন। সে ভাবেই ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ড বসে থাকুন।

অষ্টম, নিজেকেও কিন্তু হাগ করাটা একটা ব্যায়াম হতে পারে। দু’হাত ক্রস করে নিজের বুকের উপর রাখুন। একইভাবে নিজের হাঁটুকেও হাগ করতে পারেন।

নবম, দেওয়ালে পিঠ দিয়ে আসতে আসতে বসুন। কিছুক্ষণ ওভাবেই বসে থাকুন। তার পর ওই অবস্থা থেকেই উঠে দাঁড়ান। পিঠ কিন্তু দেওয়ালে লেগে থাকতে হবে।

দশম, এই সবের বাইরে সুযোগ পেলে একটু ব্রেক নিয়ে হেঁটে আসুন। একটু দূরে টিফিন করতে যান। গাড়িটা একটু দূরে পার্ক করে হেঁটে অফিসে যাতায়াত করুণ। বা মেট্রোর এক স্টেশন আগে নেমে হেঁটে অফিস যান। ফেরার সময়ও একই পদ্ধতিতে এগোতে পারেন। লিফট ছেড়ে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা করুন।

0
0

This post was last modified on February 22, 2018 10:52 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন