বিজ্ঞাপন

অনাদি কেবিন একশো ছুঁই ছুঁই, মোগলাই পরোটা মানেই ধর্মতলা মোড়

অনাদি কেবিন একশো ছুঁই ছুঁই করছে। ১৯২৫ সালে এই রেস্তরাঁর পথচলা শুরু। আর চার বছর পরেই কিন্তু এই রেস্তরাঁ শতবর্ষে পা দেবে। এসপ্ল্যানেডের মোড়ে অনাদি কেবিন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: অনাদি কেবিন একশো ছুঁই ছুঁই করছে। ১৯২৫ সালে এই রেস্তরাঁর পথচলা শুরু। আর চার বছর পরেই কিন্তু এই রেস্তরাঁ শতবর্ষে পা দেবে। এসপ্ল্যানেড এর মোড়ে ইডেন গার্ডেন্সের দিকে পিছন করে দাঁড়িয়ে ডান দিকে এসএন ব্যানার্জী রোডের একটু কোনাকুনি তাকালেই চোখে পড়ে জাঁকজমকহীন অনাদি কেবিন। খাতায়কলমে ঠিকানাটা ৯এ, জওহরলাল নেহরু রোড। করোনা আর লকডাউনের বাজার না থাকলে, যে কোনও সময়েই ছোট্ট এই কেবিন একেবারে ভিড়ে ঠাসা। আর কাছে গেলে তো ডিম-পরোটার গন্ধে ম-ম। কলকাতার সেরা মোগলাই পরোটার একমাত্র ঠিকানা এই অনাদি কেবিন। বড্ড সাদামাটা এই রেস্তরাঁর ইউএসপি একমাত্র তার স্বাদ। সঙ্গে উপরি পাওনা কম দাম।

১৯২৫ সালে এই অনাদি কেবিন তৈরি করেছিলেন বলরাম জানা। তাঁর দুই ছেলে। বড়ছেলে অনাদি এবং ছোটটি আদিকান্ত। অনাদি মারা যাওয়ার পর তাঁর নামেই বলরাম দোকানের নামকরণ করেন। কালে কালে সেই অনাদি কেবিনই হয়ে উঠেছে মোগলাই পরোটার একমাত্র গন্তব্য। মোগলাই পরোটা বানানোর সময় ক্রেতার পছন্দ মতো হাঁস বা দেশি মুরগির ডিম ব্যবহার করা হয় পরোটা তৈরিতে। এখানে পরোটা বানানোর পদ্ধতিও আলাদা।

পাচক হাতের কায়দায় হাওয়ায় ছুড়ে দেন, আর ময়দার লেচি ক্রমশ বড় হয়ে তাঁর হাতে ফিরে আসে। মোগলাই পরোটা ডিমের তরকারি বা কষা মাংস দিয়ে খেতেই বেশি স্বাদু। তবে অনাদির শুধু পরোটা খেলেও মন ভরে যায়। কোনও তরকারির প্রয়োজনই পড়ে না। অনাদিতে অবশ্য মাটন কষা, চিকেন কষা, ফিশ ফ্রাই, চিকেন কাটলেট, মাটন কাটলেট, ফিশ কবিরাজি— সবই পাওয়া যায়।

এই দেশি মুরগির ডাবল ডিমের মোগলাই পরোটা বাড়িতেও বানানো যায়। তবে সে স্বাদ কি অনাদি কেবিনের মতো একই রকম হবে? না হওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। তবুও চেষ্টা করে দেখা যেতেই পারে…

একটা দেশি মুরগির ডাবল ডিমের মোগলাই পরোটা উপকরণ:

ময়দা: ৫০ গ্রাম, ডিম: ২টো, পেঁয়াজ: ১টা, মাটন কিমা: ১০ গ্রাম, কাঁচালঙ্কা কুচনো: ১টা, আদা বাটা: ১/২ চা-চামচ, কিশমিশ: ৪টে, নারকেল কুচি: ১ চামচ, কাজুবাদাম: ৪-৫টা, ধনেপাতা: ১ চা-চামচ, পুদিনাপাতা: ১ চা-চামচ, বনস্পতি: ৫ গ্রাম, হলুদগুঁড়ো: সামান্য, রসুন , বাটা: পরিমাণ মতো, গাজর কুচি: পরিমাণ মতো, বিস্কুটের গুঁড়ো:  পরিমাণ মতো, লঙ্কাগুঁড়ো: সামান্য, সাদা তেল: পরিমাণ মতো, নুন: স্বাদ মতো

প্রণালী:

  • প্রথমে ময়দা ময়াম ছাড়া শুধু নুন আর জল দিয়ে মেখে লেচি কেটে ৩০ মিনিট রেখে দিন
  • মাটন কিমা সেদ্ধ করে পেঁয়াজ কুচি, আদা বাটা, রসুন বাটা, পরিমাণ মতো নুন, লঙ্কাগুঁড়ো, হলুদ দিয়ে তেলে ভাল করে কষান
  • এ বার সেটাতে বিস্কুটের গুঁড়ো মিশিয়ে কিমাটা বেশ শুকনো ঝুরঝুরে করে নিন
  • লেচিটা হাত দিয়ে বেশ বড় করুন
  • এ বার বাদ বাকি কুচনো পেঁয়াজ, আদা বাটা, ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, কাজুবাদাম বাটা, কিশমিশ, লঙ্কা কুচি, নারকেল কুচি, গাজর কুচি, বড় করে নেওয়া ময়দার লেচিতে দিন
  • সঙ্গে দিন মাটন কিমা
  • মিশিয়ে দিন দুটো ডিম
  • উপর থেকে হাল্কা করে নুন ছড়িয়ে দিন
  • পুরোটাকে চার চৌকো করে ভাজা করুন
  • এর পর এটাকে বনস্পতিতে ভেজে নিন
  • এ বার স্যালাড সহযোগে পরিবেশন করুন

    প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

    (জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 14, 2021 10:46 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন