বিজ্ঞাপন

রূপচর্চা ও হোমিওপ্যাথি: ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হোমিওপ্যাথির সাহায্য

রূপচর্চা ও হোমিওপ্যাথি (Beauty and Homeopathy) কতটা কার্যকরী সেটা ডাক্তারের কাছে গেলেই বোঝা যায়। গরমে ত্বকের সমস্যা বাড়ে সেটা সব থেকে বেশি বড় আকাড় নেই বর্ষায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

রূপচর্চা ও হোমিওপ্যাথি কতটা কার্যকরী সেটা ডাক্তারের কাছে গেলেই বোঝা যায়। গরমে ত্বকের সমস্যা বাড়ে সেটা সব থেকে বেশি বড় আকাড় নেই বর্ষায়। তেলতেলে ত্বক থেকে তৈরি হয় ব্রণ। যা বিশেষ করে মেয়েদের কাছে একটা আতঙ্ক। কিন্তু হোমিওপ্যাথিতে সারতে পারে সেই সমস্যা জানালেন, বিশিষ্ট হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যপ্রশিক্ষক ধ্রুবজ্যোতি লাহিড়ী


  • একনে ভালগারিস আর ব্রণ কি একই?

হ্যাঁ ব্রনকে ডাক্তারি পরিভাষায় একনে ভালগারিস বলা হয় ।

  • ব্রণ দেখতে কেমন হয়?

লাল রঙের। ব্ল্যাকহেড যুক্ত পাস ফিল্টের টেম্পল, ছোট-বড় বিভিন্ন রকমের দেখতে। টেন্ডার বামস থাকে। আর হালকা ব্যথা।

  • ব্রণ কি পুরোপুরি সেরে যায়?

একনি ভালগারিস বা অ্যাকনি রোজাসিয়া সেরে যায় না। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া যায়। সে জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।

  • কত দিন পর্যন্ত ব্রণ থাকতে পারে?

ব্রণ শুরু হওয়া থেকে ৪-৫ বছর পর্যন্ত চলতে পারে।

  • কোন খাবার খেলে ব্রণ বেশি হতে পারে?

ফাস্টফুড, চকোলেট, দুধ জাতীয়, বেশি ফ্যাট জাতীয় খাবার, ওমেগা-৬ যে খাবারে বেশি থাকে, প্রোটিন পাউডার, রিফাইন্ড গ্রেইন্স অ্যান্ড সুগার অর্থাৎ বেশি তেল-মশলা জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে ।

  • বেশি জল খেলে কি ব্রণ সেরে যায়?

হ্যাঁ বেশি জল খেলে বা পরিমিত জল খেলে ত্বক ভাল থাকে। ত্বক নরম হয়। কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

  • কোন বয়সে বেশি ব্রণ দেখা যায়?

মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৪-১৭ এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ১৬-১৯ বছর বয়সেই বেশি ব্রণ দেখা যায় । অর্থাৎ বয়ঃসন্ধির সময় ব্রণের প্রকোপ বেশি। কিছু ক্ষেত্রে ব্রণ ২০ বছরের পর নিজে থেকেই সেরে যায়।

  • কী ভাবে ব্রণ থেকে নিস্তার পাওয়া যায়?

মুখ দিনে দু’বার ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে। এ ক্ষেত্রে হালকা গরম জল বা ভাল কোম্পানির সাবান বা ফেসওয়াশ ব্যবহার করা যায়। কোনও কিছু দিয়ে মুখ ঘষা চলবে না। নখ দিয়ে মুখ কখনওই খোঁটা উচিত নয়।

  • ব্রণ হয় কী ভাবে?

ব্রণ আসলে ত্বকের রোগ। যখন ত্বক থেকে ঘাম নিঃসৃত হওয়া বন্ধ হয়ে যায়, তখনই ব্রণ হয়। ত্বকের তলায় যে অয়েল ক্লানডসগুলো  থাকে সেখান থেকে বেশি পরিমাণে সিবাম বেরিয়েও ব্রণ হয়।

  • ব্রণ যদি নিজে থেকেই সেরে যায় তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেব কেন?

ব্রণের কারণে যদি খুব বিমর্ষ থাকেন বা রোজকার স্বাভাবিক কাজকর্ম বাধাপ্রাপ্ত হয়, তা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। কিছু ক্ষেত্রে ব্রণ নুডুলস হয়ে দেখা দেয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন আছে। কিছু ক্ষেত্রে ব্ল্যাকহেডস হয়ে যায় এবং কালো দাগ হয়। তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

  • হোমিওপ্যাথিতে কি এর চিকিৎসা আছে?

হোমিওপ্যাথিতে পুরনো খুব ভাল চিকিৎসা রয়েছে।

  • কী কী ওষুধ ব্রণতে কাজ করে?

হোমিওপ্যাথি ওষুধের মধ্যে কাজ করে কেলি ব্রম, নাক্স যুগ্লানস, নাক্স ভোমিকা, বারবারিস একুইফোলিয়াম, হিপার সালফার, সালফার-সহ বেশ কিছু ওষুধ। তবে, এই সব ওষুধ অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করবেন‌। এই ওষুধগুলো বিভিন্ন শক্তি ও মাত্রা অনুযায়ী ব্যবহার করা হয়।

  • হোমিওপ্যাথিতে কি মুখে লাগানোর কোনও ওষুধ দেওয়া হয়?

আমরা মুখে লাগানোর জন্য ওষুধ ব্যবহার করি।

(লাইফস্টাইল সংক্রান্ত আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

+4
0

This post was last modified on June 28, 2020 3:01 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন