বিজ্ঞাপন

Chili Fish কি শুধু ভেটকি বা বাসা দিয়েই হয়?

Chili Fish মানেই আমরা ধরে নিই ভেটকি বা বাসা মাছের। ভেটকি হলে দাম বেশি আর বাসা হলে কম। ঘরে চিলি ফিশ বানাতে হলে একটু এক্সপেরিমেন্ট করা যেতেই পারে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয় ডেস্ক: Chili Fish মানেই আমরা ধরে নিই সেটি ভেটকি বা বাসা মাছ দিয়ে তৈরি হয়েছে। ভেটকি হলে দাম বেশি আর বাসা হলে কিছুটা কম। কিন্তু ঘরে চিলি ফিশ বানাতে হলে আপনি কিন্তু একটু এক্সপেরিমেন্ট করতেই পারেন। ভাবছেন এখানে আর কীই বা পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলতে পারে। সবাই জানে চিলি ফিশ মানেই ভেটকি বা বাসা। তেমনটা কিন্তু মোটেও নয়। বরং একটু সাহস করে পরীক্ষা-নিরিক্ষাটা চালাতে পারলেই বেরিয়ে আসতে পারে সুস্বাদু নতুন কিছু। যা আপনার রেসিপিকে অন্যমাত্রায় পৌঁছে দিতে পারে। খুশি হয়ে যাবে আপনার পরিবারের সদস্যরাও। আবার এক ঘেয়ে মাছের আইটেম খেতে খেতে বিরক্তিটাও কাটবে। তাহলে চলুন দেখি কী ভাবে অন্য মাছের চিলি ফিশ তৈরি করা যায়।

বাঙালির পাতে ঘুরে ফিরেই চলে আসে রুই বা কাতলা। কলকাতা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখলে দেখা যাবে সর্বত্র আধিক্য রয়েছে এই দুই মাছেরই। যা খেতে খেতে একঘেয়ে হয়ে গেলেও তার হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার কোনও রাস্তা নেই। তবে স্বাদে বদল ঘটানো কিন্তু আপনার হাতে। পেশাদার জগতে যখন সকলেই ঘর ও বাইরের জগত দুটোই সামলাচ্ছেন তখন সারা সপ্তাহেল বাজার একদিনেই করে রাখা হয়। যে কারণে খাবারের রকমফের খুব একটা থাকে না। কোনও  সপ্তাহে পুরোটাই রুই বা কাতলা খেয়ে কাটাতে হচ্ছে। তাই পাতলা ঝোল, পেয়াজের কারির বাইরে বেরিয়ে একদিন হয়ে যাক রুই বা কাতলার চিলি ফিশ।

রুই বা কাতলার চিলি ফিশ বানাতে হলে মাছের পেটির পিসগুলো আলাদা করে রেখে দিন। মাছগুলোকে হালকা গরম জলে সেদ্ধ করে কাটা ছাড়িয়ে নিন। এই মাছের পেটির পিসে কাটা খুবই কম থাকা। তাই অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। মাছের উপরের তেলটা ফেলে দিন। আর তেল ভালবাসলে আলাদা করে সেটা ভেজে নিয়েও খাওয়া যেতে পারে। তবে তেলের অংশটা বাদ দিয়েই মাছের পিসগুলোকে চিলি ফিশের জন্য তৈরি করবেন। এবার সেদ্ধ করা মাছের পিস গুলোকে ছোট ছোট টুকরোতে কেটে নিন। তার মধ্যে নুন, হলুদ, লঙ্কাগুড়ো, আদা-রসুন বাটা, ধনে, জিরে গুড়ো, ময়দা ও ডিম মিশিয়ে নিন। ১৫ মিনিট মিশ্রনটিকে এভাবেই রেখে দিন।

১৫ মিনিট পর ডুবু তেলে মাছের টুকরোগুলোকে ওই মিশ্রনসহ ক্রিসপি করে ভেজে নিন। এবার অন্য একটি পাত্রে বা অল্প তেল গরম করে তার মধ্যে বড় বড় করে কাটা পেয়াজ, ক্যাপসিকাম, কাঁচালঙ্কা ও রসুন দিয়ে ভেজে নিন। এটা বেশি ভাজবেন না। পেয়াজে হালকা রঙ দেখা গেলেই তার মধ্যে ভিনিগার, সয়া সস, টমেটো সস ও চিলি সস দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ভাজুন সঙ্গে দিন স্বাদ মতো নুন। যখন সব সস ভাল মতো মিশে যাবে তখন ভাজা মাছের টুকরো গুলো দিয়ে আরও কিছুক্ষণ ভাজুন যাতে সসের ফ্লেভারটা মাছের মধ্যে ঢুকতে পারে। ব্যাস তৈরি হয়ে গেল রুই বা কাতলার ড্রাই চিলি ফিশ। কেউ গ্রেভি তৈরি করতে চাইলে এর মধ্যেই নামানোর একটু আগে জলে ময়দা গুলে দিয়ে দিন। সঙ্গে যতটা গ্রেভি চাইছেন সেই মতো জল দিয়ে ফুটিয়ে নিন কিছুক্ষণ।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

This post was last modified on October 21, 2022 2:30 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন