বিজ্ঞাপন

Pujo Shopping: ধর্মতলা আর পুজোর ভালবাসার গল্প​

নতুন ট্রেন্ড শুরু হয় পুজোকে কেন্দ্র করেই, তার পর তা চলে সারা বছর। আর এ সবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় পুজোর এক মাস আগে থেকেই (Pujo Shopping)।
বিজ্ঞাপন

ধর্মতলার ফুটপাথে পুজো শপিং

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

পুবালি ভট্টাচার্য: পুজোর আর হাতেগোনা মাত্র ক’টা দিন বাকি। আর বাঙালির সঙ্গে পুজোর আবেগ জড়িয়ে সারা বছর। কাজের সূত্রে বা অন্য কোনও কারণে বাইরে থাকলেও পুজোর এই চার দিন কলকাতা ছাড়া আমরা ভাবতেও পারি না। বছরের এই ক’টা দিনই বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে দেখা, আড্ডা, খাওয়া— চলতেই থাকে। আর সাজগোজ তো আছেই। নতুন ট্রেন্ড শুরু হয় পুজোকে কেন্দ্র করেই, তার পর তা চলে সারা বছর। আর এ সবের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায় পুজোর এক মাস আগে থেকেই (Pujo Shopping)।

আমরা চার বন্ধু পৌঁছে গিয়েছিলাম ধর্মতলায়। পুজোর কেনাকাটা ধর্মতলা ছাড়া অসম্পূর্ণ। ধর্মতলায় গেলে পুজো আসছে এটা আরও ভাল করে উপলব্ধি করা যায়। গ্রাম থেকে শহর কোনও জায়গার মানুষ বাদ নেই। বেলা বারোটা নাগাদ আমরা পৌঁছেছিলাম নিউ মার্কেট চত্বরে। মাথার উপর চড়া রোদকেও পাত্তা দিচ্ছে না মানুষ। তার মধ্যেই থিকথিক করছে ভিড়। চলছে কেনাকাটা দর কষাকষি, দোকানদারদের হাঁকডাক। সব মিলিয়ে জমজমাট পরিবেশ। এমনিতে সব সময়ই জমজমাট থাকে এই এলাকা তবে পুজো বলে তা অনেকাংশে বেড়ে গিয়েছে।

আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিল শ্র্রীলেদার্স। যা পুজোর প্যান্ডালকেও হার মানায় প্রতিবছর। এখানে ছেলে, মেয়ে, বাচ্চা, বুড়ো— সবার জুতোর প্রচুর কালেকশন।  এছাড়া বেল্ট, ব্যাগ দাম ১৫০ থেকে শুরু করে ২০০০ পর্যন্ত। শ্র্রীলেদার্স থেকে বেরিয়ে বাইরেই চোখে পড়ল আরও জুতোর দোকান। ফুটপাথে সাজিয়ে বসেছে। এখানে দাম ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। সেখানেই যে কত রকমের জুতো তা না দেখলে বোঝা যাবে না। এ ছাড়া গলার হার, চুড়ি, কানেরদুলের দোকান তো সার দিয়ে রয়েইছে। সেখানে মেয়েদের ভিড় উপচে পড়েছে। সেখানে ১০টাকা থেকে ১০০ এমনকী তারও বেশি মূল্যের বিভিন্ন ধরনের গয়না রয়েছে।

শ্রীলেদার্সে উপচে পড়া ভিড়

রয়েছে প্রচুর জামা-কাপড়ের স্টল। কী নেই সেখানে, কূর্তি, ওড়না, টি-শার্ট, প্যান্ড, লেগিংস-আরও কত কিছু। যার দাম ১০০টাকা থেকে শুরু। তার উপরেও আছে। দরদাম করতে পারলে তো কথাই নেই। কোন জিনিসের মূল্য যে কোথায় নেমে যাবে তা কেউ জানে না।। তবে ফুটপাথ ছেড়ে মলে ঢুকলেই কিন্তু এই ভিড়, কেনার হিরিক সব উধাও। সিম পার্ক মলের ভিতরের চিত্র আমাদের বেশ অবাক করল। লোক নেই বললেই চলে। এখানেও দাম মোটামুটি সস্তাই। তবে মানুষ ধর্মতলায় এলে স্ট্র্রিট শপিং করতেই বেশি ভালবাসে।

শপিং হবে আর পেট পুজো হবে না তা কী আর হয়? তাই ঢুকে পড়েছিলাম আমিনিয়ার বিরিয়ানি খেতে। সেখানেও শপিং ফেরত মানুষের ভিড় তবে তুলনায় বাইরের খাবারের ছোটো স্টলগুলোতে ভিড় অনেক বেশি। মানুষের মনে হয় শপিং করতে এসে খাওয়ার জন্য ব্যয় করার মত বেশি সম​য় নেই। তাই সেই কাজটা রাস্তার দোকানে দাঁড়িয়েই সেরে ফেলছে। পেটপুজো সেরে  বাকি শপিং করেই বাড়ির পথে রওনা দিতে হবে।

ধর্মতলায় গয়না ফেরি

পুজো মানে যেমন আনন্দ, উৎসব তেমনই প্রচুর মানুষের সা রা বছরের বেঁচে থাকার রসদ। যা গত দু’বছরে একদম থমকে গিয়েছিল। সেই সব মুহূর্তগুলো আবার ফিরে এসেছে। তাই মা দুর্গার আহ্বানে সবাই বেরিয়ে পড়েছে রাস্তায়। কেউ বেচবে তো কেউ কিনবে। এই আদান-প্রদানেই জমে উঠবে এবারের পুজো। ভাল থাকবে মানুষ।

তথ্য সরবরাহ—সম্প্রীতি দত্ত, রামিসা আনজুম, সোহম বোস রায়

ছবি— রামিসা আনজুম ও পুবালি ভট্টাচার্য

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন