বিজ্ঞাপন

মেন্টাল হেলথ ও সচিন তেন্ডুলকর, কীভাবে লড়াই করেছেন তার সঙ্গে

মেন্টাল হেলথ ও সচিন তেন্ডুলকর, এটা ভাবতে সত্যিই অসুবিধে হয় যে কখনও মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে মাস্টার ব্লাস্টারকেও।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: মেন্টাল হেলথ ও সচিন তেন্ডুলকর, এটা ভাবতে সত্যিই অসুবিধে হয় যে কখনও মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে মাস্টার ব্লাস্টারকেও। যার ব্যাট সব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে, টার সেঞ্চুরিতে লেখা থাকত সব সমালোচনার যোগ্য জবাব, যিনি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে ভারতের সম্মানকে—সেই সচিন তেন্ডুলকরও কিনা মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যায় ভুগেছেন! হ্যাঁ, এমনটাই ঘটেছে তাঁর সঙ্গেও। তিনি নিজেই সেই কথা মেনে নিয়েছেন। মেনে নিয়েছেন, কী করে খেলোয়াড় জীবনের এতগুলো বছর তিনি এই সমস্যাটার সঙ্গে লড়াই করেছেন। যখন বুঝতে পেরেছেন তখন অনেকগুলো দিন কাটিয়ে ফেলেছেন ক্রিকেটে।

২৪ বছরের দীর্ঘ কেরিয়ারে ওঠা-পড়া তো ছিলই। খারাপ সময়ে মানুষকে নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অবসাদ গ্রাস করে। সেটা ক্রমশ মনের উপর চেপে বসতে থাকে। ঠিক যেমনটা ঘটেছিল ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে। অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সচিনের ক্ষেত্রে সমস্যাটা অনেকটাই অন্যরকম। সে ব্যর্থতা হোক বা সাফল্য, সব সময়ই একটা অদ্ভুত উদ্বেগ কাজ করত তাঁর ভিতরে।

তিনি বলেন, ‘’১০-১২ বছর এই উদ্বেগের মধ্যে কেটেছে আমার। প্রচুর না ঘুমনো রাত রয়েছে খেলার আগের। পরে আমি এটা মানতে শুরু করি যে এই সবটাই আমার প্রস্তুতর অংশ। তার পর থেকে যখন রাতে ঘুমোতে পারতাম না তখনও মানসিক শান্তি থাকত। আমি তখন এমন কিছু করতাম যাতে মন আনন্দে থাকে।’’

সেই এমন কিছুটা কী?

সচিন জানিয়েছেন, তার মধ্যে অনেক কিছুই থাকত। কখনও শ্যাডো ব্যাটিং, টিভি দেখা, ভিডিও গেমস খেলা। এর সঙ্গে সকালে যে চা নিয়ে তিনি সময় কাটাতেই তাও তাঁর অনুশীলনের অংশ হতে শুরু করল।

তিনি বলেন, ‘‘চা বানানো, নিজের জামা-কাপড় আয়রন করা আমাকে খেলার জন্য প্রস্তুতি নিতে সাহায্য করত। আমি ম্যাচের একদিন আগে আমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখতাম। আমার দাদা আমাকে এই সব শিখিয়েছিল এবং সেটা ধিরে ধিরে অভ্যেসে পরিণত হয়ে গেল। যেদিন ভারতের হয়ে শেষ ম্যাচ খেলেছিলাম সেদিন পর্যন্ত আমি সেই নিয়ম মেনে চলেছি।’’ ২০০ টেস্ট ম্যাচ খেলে ২০১৩-তে অবসর নেন সচিন।

একজন প্লেয়ারের জীবনে ওঠা-পড়া থাকবেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পিছিয়ে পড়াটাকে মেনে নেওয়া। তিনি বলেন, ‘‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝেছি, একটি ম্যাচের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুতির পাশাপাশি তোমাকে মানসিক প্রস্তুতিও নিতে হবে। আমি মাঠে ঢোকার অনেক আগে থেকেই আমার মনে ভিতরে ম্যাচ শুরু হয়ে যেত। উদ্বেগ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যেত।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যখন চোট লাগে তখন ফিজিও ও ডাক্তাররা তোমাকে পরীক্ষা করে এবং সিদ্ধান্তে আসে তোমারকী খারাপ হয়েছে। মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রটাও ঠিক তেমনই। প্রত্যেকের জন্যই এই ওঠা-পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যখন খারাপ সময় যটায় তখন পাশে মানুষের প্রয়োজন হয়। মেনে নেওয়াটা এর চাবিকাঠি। শুধু প্লেয়ারদের জন্যই নয়, তার চারপাশে থাকা মানুষগুলোর জন্যও। তুমি যখনই সেটা মেনে নেবে তখন থেকেই সমাধান খুঁজতে শুরু করবে।’’

তাঁর মতে, যে কোনও মানুষের থেকে শেখা যায়। যেমন তাঁর জীবনে একটি এমনই শিক্ষার উদাহরণ দিয়েছেন তিনি। যেটা তিনি পেয়েছিলেন চেন্নাইয়ের এক হোটেল কর্মীর কাছ থেকে। তিনি বলেন, ‘‘সে আমার জন্য রুমে ধোসা নিয়ে এসেছিল এবং সেটি ডেবলে রাখার পর ও আমাকে একটা উপদেশ দেওয়ার আর্জি জানাল। ও আমাকে বলল আমার এলবো গার্ড আমার ব্যাট সুইংকে আটকাচ্ছে, এবং সেটা সত্যিই ছিল। ও আমাকে সেটা ধরিয়ে দিয়েছিল।’’

সম্প্রতি কোভিডের কারণে মানসিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে লড়াই করছে মানুষ। অবসাদ গ্রাস করছে মানুষকে। কখনও কাছের মানুষের মৃত্যু তো কখনও কর্ম সংস্থানের অভাব—সব মিলে অনেকেই বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ। যার ফলে বার বার উঠে আসছে এই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা। যা প্রতিদিনের জীবনে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন