বিজ্ঞাপন

টপলেস সেরেনা গাইলেন ‘আই টাচ মাইসেলফ’, ছুঁয়ে দিলেন গোটা বিশ্বকে

টপলেস সেরেনা টেনিস কোর্টের বাইরেও এক অন্য অনুভূতি দিয়ে গেলেন। টেনিস কোর্টের ওই কালো মেয়েটাই যে নতুন করে আবার এ ভাবে জীবনের আলো দেখাবে তা কে জানত।
বিজ্ঞাপন

সেরেনা উইলিয়ামস।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: টপলেস সেরেনা টেনিস কোর্টের বাইরেও এক অন্য অনুভূতি দিয়ে গেলেন। টেনিস কোর্টের ওই কালো মেয়েটাই যে নতুন করে আবার এ ভাবে জীবনের আলো দেখাবে তা কে জানত। র্দীঘদিন ধরে টেনিস বিশ্বে দাপিয়ে বেড়ানো মেয়েটার মুখ রবিবার সকালে ইনস্টাগ্রামে ভেসে উঠতেই চমকে গেলাম। সেরেনা গাইছেন। গলায় একরাশ আবেগ। সেরেনা গাইছেন ‘আই টাচ মাইসেলফ’। সেরেনা শুধু নিজেকে স্পর্শ করেননি, সেরেনা এই ভিডিওর মধ্যে দিয়ে স্পর্শ করে গেলেন সমগ্র নারীজাতিকে। সেরেনা বলে গেলেন, নিজেকে স্পর্শ করার কথা।

গানটা যখন শুরু হয় তখন ক্লোজআপে সেরেনার মুখ। ধিরে ধিরে জুম আউট হয় ক্যামেরা। সামনে চলে আসেন টপলেস সেরেনা। দু’হাত দিয়ে তিনি ঢেকে রেখেছেন তাঁর উন্মুক্ত স্তন। সেভাবেই গেয়ে চলেছেনে সেরেনা, ‘আই টাচ মাইসেলফ’। ১৯৯১ সালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের সচেতনতায় অস্ট্রেলিয়ার ব্যান্ড ‘দ্য ডিভিনাইলস’ এই গানটি গেয়েছিল। যা আবার ফিরিয়ে আনলেন সেরেনা।

ইনস্টাগ্রামে তিনি লেখেন, ‘‘ব্রেস্ট ক্যান্সার সচেতনতা মাসে আমি ডিভিনাইলসের ‘আই টাচ মাইসেলফ’ গানটি রেকর্ড করলাম। মহিলাদের আবার সচেতন করতে নিজের পরীক্ষা নিজে কর। হ্যাঁ, এটা ঠিক আমাকে নিজের চেনা জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হয়েছে। কিন্তু এটা একটা বড় ইস্যু যা গোটা বিশ্ব জুড়ে সব মহিলাদের উপর থাবা বসাচ্ছে, তাই আমি করতে চেয়েছিলাম। দ্রুত জানতে পারাটা দরকার। যা অনেক জীবন বাঁচাতে সাহায্য করবে।’’

এই গানটি লেখায় ভূমিকা ছিল ডিভিনাইলস ব্যান্ডের গায়িকা ক্রিসি অ্যামফেলেট। পাঁচ বছর আগে মাত্র ৫৩ বছর বয়সে যাঁর ব্রেস্ট ক্যান্সারেই মৃত্যু হয়েছে। সেরেনা বলেন, ‘‘ক্রিসি অ্যামফেলেট আমাদের তাঁর সেরা গানটিই দিয়ে গিয়েছেন আমাদের সচেতন করার জন্য।’’ সেরেনার এই ভিডিও যে দারুণ সারা ফেলেছে তার প্রমাণ হল প্রথম ১০ ঘণ্টা ভিডিওটি দেখেছেন ১.৩ মিলিয়ন মানুষ। গোটা বিশ্ব সেরেনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছে।

বিবেক গাড়ি না থামানোয় গুলি চালান এক কনস্টেবল

চার দিন আগেই নিজের ৩৭তম জন্মদিন পালন করেছেন টেনিস তারকা। এক মেয়ের মা সেরেনা এক বছর পর সার্কিটে ফিরে তেমনভাবে এখনও নিজের সেরাটা ফিরে পাননি। তাই বেজিইংয়ে চায়না ওপেন থেকে নাম তুলে নিয়েছিলেন। তার আগেই ইউএস ওপেন ফাইনালে নাওমিই ওসাকার কাছে হেরে আঙুল তুলেছিলেন আম্পায়ারের দিকে। অভিযোগ করেছিলেন, টেনিস সাকির্টে পুরুষ ও মহিলা প্রতিযোগিদের আলাদা নজরে দেখা হয়। সেরেনা কোর্ট থেকে ইশারায় তাঁর কোচের সঙ্গে কথা বলেছে এই অভিযোগে তাঁর পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছিল। সেরেনা আম্পায়ারের দিকে আঙুল তুলে বলেছিলেন এটা কোনও পুরুষ খেলোয়াড় করলে এই শাস্তি পেতেন না। যদিও তিনি এমনটা করেননি বলেই দাবি করেছিলেন তিনি।

0
0

This post was last modified on September 30, 2018 3:32 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন