বিজ্ঞাপন

সল্টলেক-রাজারহাট-নিউটাউন, মানুষকে দিচ্ছে সুখের ঠিকানা

নতুন প্রজন্ম বা প্রাইভেট চাকরীজীবীদের কাছে বেশ কয়েক বছর ধরেই পছন্দের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে সল্টলেক এবং তার আশ পাশের চত্তর।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সল্টলেক-রাজারহাট-নিউটাউন ঘিরে বাড়ছে বাড়ির চাহিদা। কলকাতায় জঙ্গলের মতো গজিয়ে উঠেছে হাউসিং কমপ্লেক্স, ফ্ল্যাট বাড়ি। শহর ও শহরতলীতে কয়েক পা হাঁটলেই দেখতে পাওয়া যাবে ফ্ল্যাট বাড়ির জঙ্গল। তবে নতুন প্রজন্ম বা প্রাইভেট চাকরীজীবীদের কাছে বেশ কয়েক বছর ধরেই পছন্দের ডেস্টিনেশন হয়ে উঠেছে সল্টলেক এবং তার আশ পাশের চত্তর। সল্টলেক প্রায় ভর্তি। যে ভাবে এক সময় সল্টলেক তৈরি হয়েছিল সেভাবেই রাজারহাট, নিউটাউনের বিস্তির্ণ খালি জায়গা আজ আর খালি নেই। গজিয়ে উঠেছে পর পর হাউসিং কমপ্লেক্স। আর রাজ্যের বাইরে হোক বা শহরতলীর মানুষরা চাইছে সেখানেই সুখের ঠিকানা বাধতে। তাই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসায়ীদের কাছে এখন মোস্ট ওয়ান্টেড এই সল্টলেক, রাজারহাট চত্তর।

তার পিছনে অনেকগুলো বিষয়  কাজ করছে। এক তো, রাজারহাট, নিউটাউনের বিস্তির্ণ অঞ্চলজুড়ে রয়েছে আইটি সেক্টর। শহরতলী হোক বা দক্ষিণ ও উত্তর কলকাতা থেকে অফিস টাইমে আইটি সেক্টরে পৌঁছনো বেশ কঠিন। রাস্তার প্রবল জ্যাম, লোকাল ট্রেনের ভিড় ঠেলে পৌঁছতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কয়েক কিলোমিটারের দূরত্বেই যদি থাকে অফিস তা হলে ক্যায়া কহেনা। আর সে কারনেই ভিড় বাড়ছে রাজারহাট, নিউটাউন, সল্টলেকে।

সল্টলেক বড়লোকদের জায়গা হলেও রাজারহাট, নিউটাউনের বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু সবার সাধ্যের মধ্যেই পেয়ে যাওয়া যেতে পারে নিজের প্রিয় বাড়ি। এক কামরা থেকে ভিলা, পেন্ট হাউস, স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট সব রয়েছে এই এলাকা জুড়ে। যা সাধ্যের মধ্যেই। আইটি সেক্টরে কাজ করার জন্য এই সব এলাকায় ভাড়া বাড়ির চাহিদাও বেড়েছে ক্রমশ। যা মূল্যও নেহাৎই কম নয়। অনেকেই একটা করে ফ্ল্যাট কিনে ভাড়া দিয়ে রাখছে। তাতে লোনের টাকাও উঠে আসছে। আর সে কারনেই বাড়ছে চাহিদা।

ঘর-বাড়ি সংক্রান্ত আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই সব চত্তরে সব থেকে বেশি চাহিদা মাঝারি মাপের দুই বেডরুমের ফ্ল্যাট। যা নিজের থাকার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়ার চাহিদাও বাড়ছে। সল্টলেট চত্তরে ফ্ল্যাটের দাম ৬৬৩০-র মতো পার স্কয়্যারফিট। সেখানে ফ্ল্যাটের ভাড়া এক বেডরুম ৭৮০০ থেকে ৯০০০-এর কাছাকাছি। দুই বেডরুমের ফ্ল্যাটের ভাড়া ১০,৫০০ থেকে ১৫০০০-এর কাছাকাছি। আর তিন বেডরুমের ভাড়া ১৭০০০ থেকে ২১০০০-এর মধ্যে।

একটা সময় নিউটাউন, রাজারহাটের যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল ছিল না। কিন্তু এখন আর সেই সমস্যা নেই। সল্টলেকের সঙ্গে ইএম বাইপাস জুড়ে রয়েছে সরক পরিবহনের মাধ্যমে ভীষন ভাল মতো। যার ফলে দক্ষিণ কলকাতার পৌঁছতনো অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যসরকারের বাস সার্ভিস শহরের বিভিন্ন দিকে যায় করুনাময়ী বাস স্ট্যান্ড থেকে। উত্তর শহরতলী যেতে হলে রয়েছে বিধাননগর রেল স্টেশন। ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটারের মধ্যেই পড়ছে। বিমানবন্দর যাওয়া এখান থেকে সব থেকে সুবিধে।

এর সঙ্গে পুরো সল্টলেক জুড়তে তৈরি হয়ে গিয়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প। যা চলবে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত। তার অনেকগুলোরই কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। শুধু থাকা কেন, সল্টলেক জুড়ে রয়েছে অবসর সময় কাটানোর অনেক জায়গা। যা প্রতিদিনের রুটিনের বাইরে জীবনকে উপভোগ করার জন্য। তাই কলকাতার সব থেকে রিয়েল এস্টেটের চাহিদা বেশি এই অঞ্চলে।

সবার শেষে পেশাদারিত্বের বাইরে মানুষকে টানছে অনেকটা ফাঁকা জায়গা, সবুজের সমারোহ, জলাশয়, গাছপালা। যা আর কোথাও নেই।

(তথ্য নাইনটি নাইন একরস থেকে)

0
0

This post was last modified on August 16, 2019 2:44 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন