বিজ্ঞাপন

কোচ বদল ইস্টবেঙ্গল, মহমেডানে

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: জোড়া কোচ বদল ময়দানে। যদিও এমনটা নতুন কোনও ঘটনা নয়। ময়দানের তিন বড় ক্লাবে কোচ বদল একটা সময় ছিল জামা বদলের মতই। সে চিত্রের মাঝে মাঝে একটু আধটু বদল দেখা যায় কোনও কোনও ক্লাবে। যেমন মোহনবাগান দীর্ঘদিন ধরে রেখেছিল সঞ্জয় সেনকে। তার পরবর্তী সময়ে সঞ্জয়েরই সহকারি কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর হাতে দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছেন ক্লাব কর্তারা। কিন্তু ঘটা করে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন কোচকে দু’বছরের চুক্তিতে নিয়ে এসে এক বছরেই প্রায় জোড় করেই বিদায় করে দিল ইস্টবেঙ্গল

এটা অবশ্য কলকাতার দুই বড় ক্লাবের ক্ষেত্রে বড় কোনও ঘটনা নয়। যে কোচ চ্যাম্পিয়ন হন তাঁকে নিয়ে এসে দলকে চ্যাম্পিয়ন করার স্বপ্ন দেখেন কর্তারা। কিন্তু তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয় না। ব্যর্থ হলেই বিদায়। ঠিক যেমনটি হল মহমেডানের বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে। একই দিনে দুই ক্লাবে বদল হয়ে গেল কোচ। ইস্টবেঙ্গলের পরিকল্পনা ছিলই। যে কারণে আই লিগ শেষে খালিদ জামিলের মাথার উপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল সুভাষ ভৌমিককে। ভাবা হয়েছিল ইগোর জন্য সুভাষের অধিনে কাজ করতে না পেরে নিজেই ছেড়ে দেবেন খালিদ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে কে জিতল, বায়ার্ন না রিয়েল?

কিন্তু তেমনটা হয়নি। বরং ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে তিনি অনুরোধই করেছিলেন তাঁকে রেখে দেওয়ার জন্য। শেষ পর্যন্ত তেমনটা হল না। বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গলের কোচের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল খালিদ জামিলকে। সুভাষ ভৌমিককে রেখে দেওয়া হল টেকনিক্যাল ডিরেক্টর করে। সহকারি কোচ রঞ্জন চৌধুরী। হেড কোচ কে হবেন, তা বেছে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুভাষের উপরই। বাকি সব সাপোর্ট স্টাফ বেছে নেওয়ার ব্যাপারেও কর্তারা নাক গলাবেন না বলেই জানিয়েছেন। সুভাষ ভৌমিক জানিয়েছেন, ‘‘খুব দ্রুত দলের হেড কোচ বেছে নেবেন তিনি। এবং তাঁর বাঙালি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’’

খালিদ প্রসঙ্গে সুভাষের মত, ‘‘সুপার কাপের একটা সময় পর্যন্ত তো সব ঠিকই ছিল। কিন্তু সেমিফাইনালের আগে যে কী হল কোনও কথাই শুনল না। সে কারণেই হারতে হল।’’ বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে নাকি কোনও পরিকল্পনাই ছিল না সেই ম্যাচ নিয়ে। এ দিকে, এই ঘটনার পর ফোনে খালিদকে কোনওভাবেই পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় ডিভিশন আই লিগ খেলছে কলকাতার আর এক বড় ক্লাব মহমেডান এসসি। পর পর ব্যর্থতার দায় চেপেছে কোচের উপরই। বৃহস্পতিবারই মহমেডানের কোচের দায়িত্ব থেকে ছেটে ফেলা হল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যকে। সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্ব তুলে দেওয়া সন্তোষ ট্রফি জয়ী কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে। আগেও কয়েক দফায় মৃদুলের কোচিংয়েই মহমেডান ভাল করেছে। শেষবার বাংলার সন্তোষ ট্রফি দলের দায়িত্ব নেওয়ায় মহমেডান তাঁকে সরিয়ে দিয়েছিল। আবার ফিরিয়ে নিলেও মৃদুল স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘‘তিন ম্যাচেই যাতে আমার থেকে বিরাট কিছু আশা না করা হয় সেটা আমি কর্তাদের জানিয়ে দিয়েছি। এক দ্রুত ফল দেওয়া সম্ভব নয়।’’

 

0
0

This post was last modified on April 28, 2018 10:52 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন