বিজ্ঞাপন

Bengal Swimmer তাহরিনা নাসরিন পার করলেন জিব্রাল্টার

কমনওয়েলথ গেমসের সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় সাফল্য এনে দিলেন বাংলার (Bengal Swimmer) মেয়ে তাহরিন নাসরিন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: সদ্য কমনওয়েলথ গেমসে প্রচুর সাফল্য নিয়ে ফিরেছে ভারতের ক্রীড়াবিদরা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় সাফল্য এনে দিলেন বাংলার (Bengal Swimmer) মেয়ে তাহরিনা নাসরিন। উলুবেড়িয়া নিমদীঘির সাঁতারু সাড়ে ৪ ঘণ্টাও কম সময়ে পার করলেন জিব্রাল্টার প্রণালী। স্পেনের স্থানীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর ২.৩৩ মিনিটে তাহরিনা এই সাফল্য ছুঁয়ে ফেলেন। তাঁর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তাঁর এলাকা, পরিবার। ঠিক যে ভাবে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পেয়ে বাংলার মুখ উজ্জ্বল করেছিলেন অচিন্ত্য শিউলি ঠিক তেমনই আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাকে তথা ভারতকে তুলে ধরলেন তাহরিন।

তাহরিনা তাঁর জয় উৎসর্গ করেছেন প্রয়াত সাঁতারু মাসুদুর রহমানও বাবা আফসার আহমেদকে। তাহরিন তাঁর সাঁতার শুরু করেছিলেন তারিফা থেকে। শেষ করেন মরোক্কোতে। এই পুরো রাস্তাটা ১৫.১ কিলোমিটার। এখান দিয়েই চলে গিয়েছে জিব্রাল্টার প্রনালী। যা পার করতে তাহরিন সময় নিয়েছে ৪.২৩ মিনিট।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০.১০ মিনিটে তিনি স্পেনের তারিফা আইল্যান্ড থেকে সাঁতার শুরু করেন। টানা ৪.২৩ মিনিট সাঁতার কেটে তিনি দুপুর ২.৩৩ মিনিটে পৌঁছন মরোক্কোতে। ভারতীয় সাঁতার তাকিয়ে ছিল তাহরিনার সাফল্যের দিকে। তিনি যে সেদিন নামছেন সেটা জানাই ছিল। জীবনের এই এক অদ্ভুত নেশাই এখন তাঁর ভাললাগা। তাই এই বিপুল পরিমাণ ঝুঁকি নিয়ে নেমে পড়েছিলেন অথৈ জলে।

তাহরিনা আয়কর দফতরে চাকরি করেন। ৯ অগস্ট তিনি পৌঁছেছিলেন স্পেনে। ১১ অগস্ট নামেন জলে। যখন নামেন তখন তাঁর গায়ে জ্বর। তা নিয়েই এই অসাধ্য সাধন করে ফেললেন তাহরিনা। এ ছাড়া ছিল আরওঅনেক রকমের প্রতিকূলতা। যেমন, জলের স্রোত ছিল প্রবল তার উপর জেলিফিশের অত্যাচার। জেলিফিশ ছাড়াও ছিল বিভিন্ন রকমের সামুদ্রিক প্রাণী। সব প্রতিবন্ধকতা যে তাহরিন কাটাতে পেরেছেন সেটা তাঁর সাফল্যই প্রমাণ করে দিচ্ছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন