বিজ্ঞাপন

কার্লটন চ্যাপম্যান বিদায়, সোমবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি

কার্লটন চ্যাপম্যান প্রয়াত (Carlton Chapman Passes Away)। সোমবার হৃগরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর। ব্যাঙ্গালোরেই ছিলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন

কার্লটন চ্যাপম্যান

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: কার্লটন চ্যাপম্যান প্রয়াত। সোমবার হৃগরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর। ব্যাঙ্গালোরেই ছিলেন তিনি। অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর হঠাৎ মৃত্যুর খবরে ভারতীয় ফুটবলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দেশের সেরা মিডফিল্ডারদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। মাঝ মাঠ থেকেই ইস্টবেঙ্গলের জার্সিতে হ্যাটট্রিক হাঁকিয়েছিলেন। তার পরই হয়ে উঠেছিলেন কলকাতা ফুটবল তথা ইস্টবেঙ্গলের নয়নের মণি। সেই কার্লটন চ্যাপম্যান নেই, ভাবতে পারছে না ময়দান।

টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে সোজা যোগ দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলে। সেটা ১৯৯৩। আর প্রথম মরসুমেই বাজিমাত করেন তিনি। এশিয়ান কাপে ইরাকের আল জাওরাকে ভারতের ৬-২ গোলে হারানোর ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। তাঁর বল পাসিং এবং কন্ট্রোল নজর কেড়েছিল তৎকালীন কোচদের।

এর পর কলকাতা ছেড়ে ১৯৯৫-এ তিনি যোগ দেন পঞ্জাবের ক্লাব জেসিটিতে। তাদের হয়ে তিনি ১৪টি ট্রফি জেতেন। প্রতম জাতীয় লিগ জয়ের অন্যতম কারিগরও তিনিই। আইএম বিজয়, ভাইচুং ভুটিয়া, কার্লটন চ্যাপম্যান— তখন কাঁপাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলকে।

১৯৯৭-এ এফসি কোচিতে যোগ দেন, ডুরান্ড কাপ জেতেন দলের হয়ে। এক বছর পরই আবার ফেরেন ইস্টবেঙ্গলে। ২০০০-০১-এ মোহনবাগানের থেকে এক পয়েন্ট বেশি নিয়ে জাতীয় লিগ জেতে ইস্টবেঙ্গল। সেই দলেরও মূল কারিগর ছিলেন কার্লটন চ্যাপম্যান। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে চার বার কলকাতা লিগ জিতেছিলেন, ১৯৯৩ এবং ১৯৯৮ থেকে ২০০০। আইএফএ শিল্ড জিতেছিলেন ১৯৯৪ ও ২০০০-এ। ডুরান্ড, রোভার্স, কলিঙ্গ কাপ জিতেছিলেন একবার করে।

জাতীয় দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত তিনি খেলেছেন দেশের জার্সিতে। অধিনায়কত্বও করেছেন। সন্তোষ ট্রফির ইতিহাসে প্রথম গোল্ডেন গোলটি এসেছিল তাঁর পা থেকে।  গোয়ার বিরুদ্ধে ১৯৯৫-এ। তিনি সন্তেষ ট্রফি জিতেছেন ১৯৯৩, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮-এ বাংলার হয়ে। ১৯৯৯ ও ২০০০-এও তিনি বাংলার হয়ে সন্তোষ ট্রফি খেলেছিলেন।

খেলা থেকে অবসরের পর তিনি ফিরে যান সেই টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে যেখান থেকে তিনি ফুটবলার হওয়ার প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন। এ বার ছাত্র নয়, তিনি দায়িত্ব তুলে নেন কোচের। ছ’বছর সেই দায়িত্ব পালন করার পর যোগ দেন শিলংয়ের ক্লাব রয়্যাল ওয়াহিংদোর কোচ হিসেবে। তাঁর কোচিংয়ে যানা তিনবার শিলং প্রিমিয়ার লিগ জেতে দল আর একটি বরদৌলোই ট্রফি।২০১৭তে কোঝিকোড়ের কোয়ার্তজ এফসির টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব পান।

 

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on October 12, 2020 3:50 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন