বিজ্ঞাপন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ, হতাশ হার পিএসজির

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ (Champions League) চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ১-০ গোলে হারিয়ে দিল প্যারিস সাঁ জাকে।  রবিবার লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে নেমেছিল দুই দল।
বিজ্ঞাপন

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২০২০ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ ১-০ গোলে হারিয়ে দিল প্যারিস সাঁ জাকে।  রবিবার লিসবনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে নেমেছিল দুই দল। পিএসজি যেভাবে ফাইনালে দাপটের সঙ্গে পৌঁছেছিল তাতে নেইমারদের ঘিরে প্রত্যাশার পারদ আকাশ ছুঁয়েছিল। শুরুটাও ভালই করেছিলেন নেইমাররা। প্রথথমার্ধেই নিশ্চিত তিনটি গোলের সুযোগ নষ্ট করেন, কোনওটা আটকে দেন ন্যুয়ার।  আর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাজিমাত করেন বায়ার্র্ন মিউনিখের কিংসলে কোম্যান।

২৪ বছরের কোম্যানের একমাত্র গোলই শেষ পর্যন্ত ধরে রাখল বায়ার্ন ডিফেন্স। ২০১৩তে শেষবার চ্যাম্পিয়‌‌ন্স লিগ জিতেছিল বায়ার্ন। সেবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডকে হারিয়েছিল। সেই দলের গর্বিত বেশ কয়েকটি মুখ এদিনের দলেও ছিলেন। তার মধ্যে অন্যতম ম্যানুয়েল ন্যুয়ার। সেদিনও তিনি গোলের নিচে প্রাচীর তৈরি করেছিলেন এদিনই সেই একই ভূমিকায় অবিচল।

কেন জার্মান দলের হেড কোচ জোয়ামিক লো জুনিয়রদের বসিয়ে ২০১৪-র হিরোকে সুযোগ দেন তা তিনি আরও একবার প্রমান করে দিলেন তাঁর খেলা দিয়ে।

এদিন শুরু থেকে বলের দখল ছিল পিএসজির পায়েই। তবে বলের দখল রাখলেও আসল কাজটা করে উঠতে পারেনি। নেইমার থাকা স্বত্বেও পিএসজির আক্রমণ দানা বাঁধল না শেষ পর্যন্ত। যদিও অনেকদিন পর ফর্মে রয়েছেন এই ব্রাজিলিয়ান। বেশ কয়েকবার বায়ার্ন বক্সেও পৌঁছে গেলেন তিনি।

১৯ মিনিটে প্রায় গোলে বল ঠেলে দিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু গোলের নিচে বায়ার্নের ত্রাতা হয়ে উঠেছিলেন সেই ন্যুয়ার। তাও পর পর দু’বার। এমবাপে থেকে পাওয়া বল গোলে শট নিয়েছিলেন নেইমার সামনে তখন শুধু গোলকিপার। কিন্তু সেই শটে তেমন জোড় ছিল না কোনও রকমে তা দিয়ে তা ক্লিয়ার করে দেন ন্যুয়ার। ফিরতি বলে আবার শট নেন নেইমার। সেই বলই কর্নারের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দেন ন্যুয়ার। ম্যাচের সব থেকে সহজতম সুযোগ নষ্ট করে পিএসজি।

ম্যাচ শেষে হতাশ নেইমার

তিন মিনিটের মধ্যেই সুযোগ চলে এসেছিল বায়ার্নের সামনে। লেওয়ানডস্কি নাভাসকে পরাস্ত করে দিয়েছিলেন কিন্তু তাঁর শট পোস্ট লাগে। পিএসজি-র হয়ে গোলের

সুযোগ চলে এসেছিল ডি মারিয়ার সামনেও।  ১০ গজ দূর থেকে নেওয়া ডি মারিয়ার শট ক্রসবারের উপর দিয়ে বাইরে পাঠান ন্যুয়ার।

প্রথমার্ধে লড়াই শেষ হয় সমানে সমানেই। প্রথমার্ধের শেষে পেনাল্টির দাবি উঠলে ভার (VAR)-এর সাহায্য নেওয়া হলে পেনাল্টির দাবি মানা  হয়নি। ৫৯ মিনিটে গোল করে বায়ার্নকে এগিয়ে দিলেন কোম্যান।

গোল থেকে ২০ গজ দূরে একটি লুজ বল পেয়ে গিয়েছিলেন কিমিচ। সেখান থেকেই সে বলকে ছ’গজ বক্সের বাইরে পাঠান তিনি। কোম্যান সেই বল পেয়ে যান এবং হেডে সেই বল ডানদিকের কোণা দিয়ে গোলে ঠেলেন। এর পর পিএসজি ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করলেও সেটা সম্ভব হয়নি।

এই মরসুমে ১০ ম্যাচে বায়ার্ন ৪৩টি গোল করেছে। এক মরসুমে সর্বোচ্চ গোলের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিল বায়ার্ন। এর আগে ১৯৯৯-২০০০-এ ১৬ ম্যাচে ৪৫টি গোল করেছিল বার্সেলোনা।

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on August 25, 2020 12:59 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন