বিজ্ঞাপন

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া, বিশ্বকাপের নতুন ফাইনালিস্ট

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া । ছোট্ট ছেলেটা মাঠ জুড়ে দৌঁড়ে বেড়াচ্ছিল। ক্রোয়েশিয়া ফুটবলারদের কাছে ছুটে যাচ্ছিল। ও কী বুঝেছে বোঝ মুশকিল।
বিজ্ঞাপন

সত্যি একটা স্বপ্ন ক্রোয়েশিয়ার জন্য।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া । ছোট্ট ছেলেটা মাঠ জুড়ে দৌঁড়ে বেড়াচ্ছিল। ক্রোয়েশিয়া ফুটবলারদের কাছে ছুটে যাচ্ছিল। ও কী বুঝেছে বোঝ মুশকিল তবে ওর উচ্ছ্বাস দেখে মনে হচ্ছিল ক্রোয়েশিয়াকে ফাইনালে তুলে দিয়েছে সেই। প্রথমবার তাঁর দেশ বিশ্বকাপের ফাইনালে উৎসব তো হবেই। সেই উৎসবটাই করছিল ওই ছোট্ট ছেলে। ক্রোয়েশিয়া দলের কারও সন্তান। ওই দেশটাও হয়তো আজ জাগছে রাশিয়ার মতই। উৎসবে মেতেঠে গোটা দেশ।

কিছুদিন আগেই গ্যালারিতে বসে দলকে সমর্থন করে গিয়েছে সেই দেশের প্রেসিডেন্ট। ড্রেসিংরুমে গিয়ে পুরো দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এসেছিলেন। আজ তাঁর দেশ ফাইনালে। তিনিও তাঁর সব কাজ ফেলে নিশ্চই চোখ রেখেছিলেন টিভিতে। ফাইনালে হয়তো তাঁকে আবার দেখা যাবে গ্যালারিতে।

যখন উৎসব ক্রোয়েশিয়া শিবিরে তখন যেন শিখরের খুব কাছে গিয়েও পিছলে পড়ার হতাশা ইংল্যান্ড শিবিরে। ম্যাচ শেষে চোখে জল দু’দলেরই। কারও জল কষ্টের আবার কারও আনন্দের। কাঁদল গোটা গ্যালারি। কেউ যন্ত্রণায় কেউ আবেগে। যদিও গ্যালারিতে ইংল্যান্ডের সমর্থক ছিল হাতে গোনা। উৎসবটাই বেশি হল। আর্লি গোলটাই যে কাল হয়ে গেল ইংল্যান্ডের। অতিরিক্ত সময়ে হেরে যেতে হল। ফাইনালে এ বার ফ্রান্সের সামনে ক্রোয়েশিয়া।

মানজুকিচের উইনিং গোল।

৯০ মিনিটের ম্যাচ শেষ হল ১-১ গোলে। এর পর এক্সট্রা টাইম। ১২০ মিনিটেই শেষ হয়ে গেল ইংল্যান্ডের স্বপ্ন। শেষ করে দিলেন মানজুকিচ। ইংল্যান্ডের ‘ফুটবল ইজ কামিং হোম’ গানটা আর সম্পূর্ণ হল না। আরও চার বছরের অপেক্ষা ব্রিটিশদের সামনে। তখন কী এই দল থাকবে। যাঁদের ফুটবল বিশ্ব বলছিল এটাই সেরা ইংল্যান্ড দল। এগিয়ে গিয়ে যেন বড্ড বেশি সচেতন হয়ে পড়লেন সাউথগেটের ছেলেরা। একটু যেন রক্ষনাত্মক। অতিরিক্ত সময়ের খেলাটা ড্র রেখেই যেন টাইব্রেকার চাইছিল ব্রিটিশরা। কিন্তু সেই লক্ষ্য সফল হতে দিলেন না মানজুকিচ। উইনিং গোলটি এল তাঁরই পা থেকে।

কেমন ছিল ফ্রান্স বনাম বেলজিয়াম সেমিফাইনাল

ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটের মধ্যেই গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দিয়েছিলেন ত্রিপিয়ের। ফ্রিকেক ২০ গজ দুর থেকে দুরন্ত একটা শট সুবাসিচের নাগাল পেড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ফুটবলে একটা কথা আছে আর্লি গোল খুব ভয়ঙ্কর। ইংল্যান্ডের জন্য যা আবার প্রমাণ করল। অত দ্রুত এগিয়ে যাওয়ার পর ইংল্যান্ড গোলের জন্য তেমনভাবে না এগিয়ে ভারসাম্য রেখেই খেলছিল। যার সুযোগ দ্বিতীয়ার্ধে নিয়ে নিল ক্রোয়েশিয়া।

এই দৃশ্য আরও একবার দেখার অপেক্ষায় ক্রোয়েশিয়া।

৬৮ মিনিটে পেরিসিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। ৯০ মিনিট পর্যন্ত এর পর এই ফলই ধরে রেখেছিল দুই দল। অঘটনটা ঘটল অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে। যখন দুরন্ত একটা ফিনিশ করলেন মানজুকিচ।  তখন ১০৯ মিনিটের খেলা চলছে। এখান থেকে কিন্তু ইংল্যান্ডের পক্ষে ফেরাটা কঠিনই ছিল। পারেওনি ইংল্যান্ড। ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি ক্রোয়েশিয়া। প্রথমবার বিশ্বকাপ ফাইনালে পৌঁছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে ক্রোয়েশিয়া।

0
0

This post was last modified on July 12, 2018 11:46 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন