বিজ্ঞাপন

আইপিএল ২০১৯ প্লে-অফ হয়তো হাতছাড়া কলকাতার

আইপিএল ২০১৯ প্লে-অফ কি আর দেখতে পাবে কলকাতা? লড়াইটা ছিল হাড্ডাহাড্ডি। মরন-বাঁচনও বলা যেতে পারে। প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে।
বিজ্ঞাপন

রিয়ান পরাগের ব্যাটেই হার কলকাতার

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইপিএল ২০১৯ প্লে-অফ কি আর দেখতে পাবে কলকাতা? লড়াইটা ছিল হাড্ডাহাড্ডি। মরন-বাঁচনও বলা যেতে পারে। প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচ জিততেই হত কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। উল্টোদিকে তখন রাজস্থান রয়্যালস। লিগ তালিকার সব থেকে নিচে দাঁড়িয়ে এই মুহূর্তে। তাদের সামনেও ছিল টিকে থাকার লড়াই।

শুরুটা ভাল করতে নাম পারলেও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পথ ধরে শেষ বেলায় জয়ে ফিরে একটা আশার আলো দেখতে পেয়েছিল মরু শহরের দল। কলকাতার সামনে ছিল ঘরের মাঠে পাঁচ ম্যাচে টানা হারের জ্বালা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যও। কিন্তু সেটা হল না। হারের তালিকায় যুক্ত হল আরও একটি ম্যাচ। টানা ছয় ম্যাচে হেরে প্লে-অফের আশা প্রায় শেষ কলকাতার। বেঁচে উঠল রাজস্থান। তিন উইকেটে হারিয়ে দিল কলকাতাকে।

বৃহস্পতিবার ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে কলকাতাকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে ছিলেন রাজস্থান অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। প্রথমে ব্যাট করে কলকাতা থামে ১৭৫-৬-এ। ব্যাট হাতে এ দিন শুরুটা মোটেও ভাল করতে পারেনি কলকাতা। দুই ওপেনার ক্রিস লিন শূন্য হাতে ফেরার পর শুবমান গিলও ফেরেন ১৪ রানে। নীতিশ রানা সাময়িক ভরসা দেওয়ার চেষ্টা করলেও ২১ রানে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। শেষ পর্যন্ত হাল ধরেন অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক।

খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অজিঙ্ক রাহানে খারাপ পারফর্মেন্সের জন্য রাজস্থানের অধিনায়কত্ব হারিয়ে ফর্মে ফিরেছেন আগের ম্যাচটেই। সেঞ্চুরি এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। একই পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন দীনেশ কার্তিকও। প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও। কিন্তু তাঁর আগেই আইপিএল-এ তাঁর সেরা ইনিংসটি খেলে ফেললেন দীনেশ কার্তিক।

৫০ বলে ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকলেন তিনি।তাঁর এই ইনিংসে ছিল সাতটি বাউন্ডারি ও ন’টি ওভার বাউন্ডারি। আর কেউই তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। সুনীল নারিন ১১, আন্দ্রে রাসেল ১৪, কালোর্স ব্রেথওয়েট ৫ রান করে আউট হয়ে যান। তিন রান করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু সিং। ২০ ওভারের শেষে কলকাতা ১৭৫-৬-এ থামে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা কলকাতার থেকে ভাল করে দিয়েছিল রাজস্থান রয়্যালস। দুই ওপেনার অজিঙ্ক রাহানে ৩৪ ও সঞ্জু স্যামসন ২২ রান করে আউট হন। একটা ভিত তৈরি করে দিলেও দলের মিডল অর্ডার আর ভরসা দিতে পারেননি। স্টিভ স্মিথ ২, বেন স্টোকস ১১, স্টুয়ার্ট বিনি ১১, শ্রেয়াস গোপাল ১৮ রান করে আউট হন। কলকাতার বোলাররা এ দিন প্রথম থেকেই ছিলেন দারুণ ছন্দে। বিশেষ করে পীযুশ চাওলা। প্রথমেই তিন উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষকে জোড় ধাক্কা দেন তিনি। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত সুনীল নারিনের। তিনি নেন দুই উইকেট।

পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নামা রিয়ান পরাগ একাই খেলা শেষ করে দেন। ১৭ বছরের রিয়ানের ব্যাটে হাত ছাড়া ম্যাচ আবার ফিরে আসে রাজস্থানের দখলে। ১৯তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনকভাবে হিট উইকেট হয়ে যান পরাগ। নিজের ব্যাটের আঘাতেই ছিটকে যায় তাঁর স্টাম্প। হাল ছাড়ে্ননি জোফরা আর্চার। শেষ ওভারে জিততে হলে দরকার ছিল ন’রান। প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে জয় তুলে নেন আর্চার। ১৯.২ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১৭৭ রান তুলে নিয়ে প্লে-অফের আশা জিইয়ে রাখল স্টিভ স্মিথের দল।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on April 28, 2019 2:26 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন