বিজ্ঞাপন

রিঙ্কু সিংয়ের অলৌকিক ব্যাটিংয়ে হার বদলে গেল জয়ে

এমন একটা ইনিংস আবার কবে দেখা যাবে কেউ বলতে পারবে না। আবার এমন একটা সন্ধে আসবে কিনা বিশ্ব ক্রিকেটে তাও বলা মুশকিল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এমন একটা ইনিংস আবার কবে দেখা যাবে কেউ বলতে পারবে না। আবার এমন একটা সন্ধে আসবে কিনা বিশ্ব ক্রিকেটে তাও বলা মুশকিল। যাঁরা এই মুহূর্তটাকে সামনে থেকে উপভোগ করলেন তাঁদের কাছে সেটা স্বপ্নের মতো হয়ে থাকবে। একটা সময় মনে হবে, যা দেখলাম সেটা কি সত্যি নাকি কোনও অলীক স্বপ্ন? ঘোর যেন কাটতে চাইছে না কিছুতেই। কে এই রিঙ্কু সিং? প্রশ্নটা ঘুরছে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব জুড়ে। রবিবার গুজরাতের ঘরের মাঠে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে নেমেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমেছিল হার্দিক পাণ্ড্যে অ্যান্ড ব্রিগেড। আর ঘরের মাঠে জিততে জিততে ম্যাচ হাতছাড় হওয়ার যন্ত্রণায় হয়তো রাতটা জেগেই কাটিয়েছেন হার্দিকরা।

এদিন প্রথমে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে গুজরাত টাইটান্স থামে ২০৪-৪-এ। ওপেন করতে নেমেছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শুবমান গিল। ঋদ্ধির ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। শুবমান করেন ৩৯। প্রথম উইকেট ৩৩ রানে পড়লেও দ্বিতীয় উইকেটে ১০০ করে ফেলে গুজরাত। তিন নম্বরে নামা সাই সুদর্শণ ৩৮ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে দলের রানকে সচল রাখেন। ১৪ রান করেন অভিনব মনোহর। এর পর পাঁচ নম্বরে নামা বিজয় শঙ্কর যোগ করেন ৬৩ রান। ২৪ বল তাঁর অপরাজিত ৬৩ রান আসে চারটি বাউন্ডারি ও পাঁচটি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। ২ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভিডমিলার।  কলকাতার হয়ে তিনটি উইকেট নেন সুনীল নারিন। এক উইকেট নেন সুয়েশ শর্মা।

২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি কলকাতার। দুই ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ও নারায়ন জাগাদেসান ১৫ ও ৬ রান করে আউট হয়ে যান। প্রথম দুই উইকেট পড়ে যায় মাত্র দলগত ২৮ রানে। এখান থেকেই কলকাতা ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন ভেঙ্কটেশ আইয়ার ও নীতীশ রানা। ৪০ বলে ভেঙ্কটেশের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। নীতীশ করেন ২৯ বলে ৪৫। তাঁদের দুরন্ত ব্যাটি কলকাতাকে সহজেই জয়ের কাছে পৌঁছে দিতে পারত। কিন্তু ১৫৪ রানে চার উইকেট পড়ার পর রানের গতি কমে যায় কলকাতার।এর পর আন্দ্রে রাসেল ১, সুনীল নারিন ০, শার্দূল ঠাকুর ০ রানে প্যাভেলিয়নে ফিরে যান।

১৫৪-৪ থেকে ১৫৫-৭ হয়ে যায় কলকাতার স্কোর বোর্ড। একদিকে তখনও দাঁড়িয়ে রিঙ্কু সিং। আট নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন উমেশ যাদব। শেষ ওভারে জিততে হলে কলকাতার দরকার ছিল ২৯ রান। তার মানে ৬ বলে ২৯ রান করতে হবে কলকাতাকে এই অবস্থায় গুজরাতের হয়ে বল করতে আসেন যশ দয়াল। উমেশ এক রান নিয়ে  রিঙ্কুকে দেন। এর পর শুরু হয় রিঙ্কুর খেল। তখনও পাঁচ বলে ২৮ রান দরকার কেকেআর-এর। কেউ ভাবেনি এই ম্যাচের রঙ এভাবে বদলে যাবে। কিন্তু অপেক্ষা ছিল রিঙ্কু ঝড়ের। পর পর পাঁচ বলে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ রান তুলে নেন তিনি। শেষ বলে ৩উইকেটে জয় তুলে নেয় কলকাতা। ২০ ওভারে কলকাতা শেষ করে ২০৭-৭-এ।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

This post was last modified on April 10, 2023 12:37 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন