বিজ্ঞাপন

আইএসএল ২০২০-২১, হায়দ্রাবাদ এফসি বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচ

আইএসএল ২০২০-২১, হায়দ্রাবাদ এফসি বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেএক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না।  হায়দ্রাবাদ এফসি-র কাছে হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে।
বিজ্ঞাপন

পেনাল্টি বাঁচিয়েও ম্যাচ বাঁচাতে পারলেন না দেবজিৎ। ছবি—এসসি ইস্টবেঙ্গল টুইটার

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আইএসএল ২০২০-২১, হায়দ্রাবাদ এফসি বনাম এসসি ইস্টবেঙ্গল ম্যাচেএক গোলে এগিয়ে থেকেও শেষরক্ষা হল না।  হায়দ্রাবাদ এফসি-র কাছে হারতে হল এসসি ইস্টবেঙ্গলকে। মঙ্গলবার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদ এফসি জিতল ৩-২ গোলে। ২৬ মিনিটের মাথায় হিরো আইএসএলে দলের প্রথম গোল করে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন জাক মাঘোমা। কিন্তু বিরতির পর এক মিনিটের মধ্যে দু’টি গোল করে ছবি পাল্টে দেন হায়দ্রাবাদের সেরা গোল স্কোরার আরিদানে সান্তানা। ১২ মিনিটের মাথায় ব্যবধান বাড়িয়ে নেন হোলিচরণ নার্জারি। ৮১ মিনিটের মাথায় অসাধারণ হেডে ফের গোল করে ব্যবধান কমান মাঘোমা। কিন্তু আর কোনও গোল করতে পারেনি। রক্ষণ বিভাগের চরম ব্যর্থতায় গোলের খাতা খুলেও লিগ টেবলে ১১ নম্বরেই রয়ে গেল। হায়দরাবাদ এফসি দ্বিতীয় জয় পেয়ে লিগ তালিকার পাঁচ নম্বরে উঠে এল।

এসসি ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণ বিভাগে এ দিন শুরু থেকে খেলেন সিকে বিনীত। এই একটি জায়গা ছাড়া আগের ম্যাচের দলে আর কোনও বদল করেননি কোচ রবি ফাউলার। জেজেকে আক্রমণ ভাগে রেখে ৪-৩-২-১-এ দল সাজিয়েছিলেন তিনি। তাঁর পিছনে পিলকিংটন, মাঘোমা ও বিনীত। তাদের প্রতিপক্ষ হায়দ্রাবাদ এফসি-র প্রথম এগারোয় এ দিন দেখা যায় তাদের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড আরিদানে সান্তানাকে। যার ফলে অনেক তৎপরতা আশা করা গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সে।

কিন্তু ম্যাচের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যেই বারবার রক্ষণের ব্যর্থতা ফুটে ওঠে। যা শেষ পর্যন্ত ডোবায় দলকে। একবার গোলকিপার  দেবজিৎ মজুমদারকে গোল ছেড়ে পেনাল্টি বক্সের মাথায় চলে আসতেও দেখা যায়, তখন তাঁর আশেপাশে নিজের দলের কোনও ডিফেন্ডারকে দেখা যায়নি। লব করা বল হেড করে গোল লাইনের বাইরে বার করে দিয়ে সে যাত্রায় দলকে বাঁচিয়ে দেন মহম্মদ ইরশাদ।

শুরুর দিকে বারবার হায়দরাবাদের ফুটবলাররা বিপক্ষের রক্ষণ বিভাগকে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন। তবে কুড়ি মিনিটের পর থেকে রক্ষণ সামলে মাঝে মাঝে কাউন্টার অ্যাটাকেও ওঠে তারা। এমনই এক প্রতি আক্রমণে হিরো আইএসএলে তাদের প্রথম গোলটি করে ফেলে। বাঁ দিক থেকে অ্যান্থনি পিলকিংটন বক্সের মধ্যে পাস দেন ম্যাটি স্টাইনমানকে। তিনি স্কোয়ার পাস করেন মাঘোমাকে। চেষ্টা করেও তাঁর সোজা ও জোরালো শট আটকাতে পারেননি বিপক্ষের তারকা গোলকিপার সুব্রত পাল।

এর দু’মিনিট পরেই সমতা আনার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন হায়দ্রাবাদের মিডফিল্ডার মহম্মদ ইয়াসির। নিখিল পূজারির ক্রসে বক্সের মধ্যে গোল লাইন থেকে সামান্য দূরে ঠিকমতো হেড করতে পারলে গোল পেয়ে যেতেন ইয়াসির। কিন্তু তা পারেননি তিনি। গোল শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে হায়দ্রাবাদ। ৪৪ মিনিটের মাথায় গোলমুখী ইয়াসিরকে মারাত্মক ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন শেহনাজ সিং। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে সান্তানার পেনাল্টি শট রুখে দেন দেবজিৎ।

বিরতির ঠিক আগেই ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। স্টাইনম্যানের বাড়ানো থ্রু থেকে বিপক্ষের বক্সের মধ্যে সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন বিনীত। কিন্তু তাঁর শট গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বিরতিতে যাওয়ার আগেই এসসি ইস্টবেঙ্গল যদি দু’গোলে এগিয়ে যেত, তা হলে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণনির্ভর ফুটবল খেলে নিজেদের জয় সুনিশ্চিত করতে পারত।

দ্বিতীয়ার্ধে হায়দ‌রাবাদ কোচ মানুয়েল মার্কুয়েজ নিখিল পূজারিকে তুলে নিয়ে লিস্টন কোলাসোকে নামান আক্রমণের ধার বাড়ানোর জন্য। এবং আক্রমণের ধার অনেকটা বাড়েও। বারবার দেবজিতের পরীক্ষা নেয় হায়দ্রাবাদ। কিন্তু বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি নিজেদের দূর্গ। এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সের অভাবনীয় ব্যর্থতায় এক মিনিটের মধ্যে পরপর দু’টি গোল করে ছবিটা পুরো পাল্টে দেন আরিদানে সান্তানা। ৫৬ মিনিটে প্রথমটি ইয়াসিরের ফ্রি কিক থেকে ও দ্বিতীয়টি কোলাসোর পাস থেকে এবং দু’বারই হায়দ‌রাবাদ এফসি-র সবচেয়ে বিপজ্জনক ফরোয়ার্ড সম্পুর্ণ ‘আনমার্ক়ড’ ছিলেন। রবি ফাউলারের ডিফেন্ডাররা ছিলেন প্রায় দর্শকের ভূমিকায়।

তৃতীয় গোলটিও হায়দ্রাবাদ করে এসসি ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্সকে রীতিমতো ধোঁকা দিয়ে। ৬৮ মিনিটের মাথায় স্কট নেভিলকে বক্সের মধ্যে রীতিমতো ইনসাইড-আউটসাইড করে বাঁ দিক দিয়ে ওঠা লিস্টন কোলাসো স্কোয়ার পাস দেন হোলিচরণ নার্জারির উদ্দেশ্যে। তিনি একটি হাল্কা ট্যাপে গোলে বল ঠেলে দেন।

১-৩-এ পিছিয়ে পড়েও অবশ্য হাল ছাড়েনি লাল-হলুদ ব্রিগেড। ৮১ মিনিটে তারা ব্যবধান কমায়। বক্সের ডানদিক থেকে পিলকিংটনের ফ্রিকিক থেকে হাওয়ায় ভাসানো বলে অসাধারণ হেডে গোল করেন সেই মাঘোমা। তাঁর পিছনে বিপক্ষের ডিফেন্ডার লেগে থাকলেও তাঁকে আটকানো যায়নি।

এ দিন এসসি ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণ যতটা খারাপ খেলে, আক্রমণ বিভাগ ততটাই ভাল পারফরম্যান্স দেখায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত হার বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

এসসি ইস্টবেঙ্গল দল: দেবজিৎ মজুমদার (গোল), স্কট নেভিল, মহম্মদ ইরশাদ (অভিষেক অম্বেকর), নারায়ণ দাস, শেহনাজ সিং (ইয়ুমনাম সিং), মহম্মদ রফিক, ম্যাটি স্টাইনমান, জাক মাঘোমা, সিকে বিনীত (অ্যারন হামাদি হলোওয়ে), অ্যান্থনি পিলকিংটন, জেজে লালপেখলুয়া (সুরচন্দ্র সিং)

(লেখা আইএসএল ওয়েব,আইট থেকে)

(খেলার জগতের আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on December 16, 2020 1:43 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন