বিজ্ঞাপন

ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে প্লে-অফ পাকা এটিকে মোহনবাগানের

হুগো বুমৌস, কার্ল ম্যাকহিউ, আশিক কুরুনিয়ান ও শুভাশিস বোস প্রথম এগারোয় ফিরতেই চেনা ছন্দে ফিরে এল এটিকে মোহনবাগান। এর সঙ্গেই প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলল দল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: হুগো বুমৌস, কার্ল ম্যাকহিউ, আশিক কুরুনিয়ান ও শুভাশিস বোস প্রথম এগারোয় ফিরতেই চেনা ছন্দে ফিরে এল এটিকে মোহনবাগান এবং দাপুটে পারফরম্যান্স দেখিয়ে গতবারের ফাইনালিস্ট কেরালা ব্লাস্টার্সকে ২-১ গোলে হারাল তারা। হিরো আইএসএলে কেরালার দলের বিরুদ্ধে অপরাজিত তকমাটি রয়েই গেল তাদের কাছে। শনিবার ঘরের মাঠে এই জয়ের সঙ্গে চলতি হিরো আইএসএলের প্লে অফে জায়গা পাকা করে নিল সবুজ-মেরুন বাহিনী। এই নিয়ে টানা তিনবার নক আউট পর্বে উঠল কলকাতার দল। তবে তিন বা চারের মধ্যে থাকতে হলে তাদের আগামী শনিবার কলকাতা ডার্বি থেকেও পুরো তিন পয়েন্ট অর্জন করতে হবে। এটিকে মোহনবাগানের এই জয়ের সঙ্গে প্লে অফের পাঁচটি জায়গা নিশ্চিত হয়ে গেল। ষষ্ঠ তথা শেষ জায়গাটির জন্য এখন লড়াই ওডিশা এফসি ও এফসি গোয়ার মধ্যে।

যে ম্যাচকে সবুজ-মেরুন শিবির কার্যত ফাইনাল হিসেবে ধরেছিল, শনিবার সেই ম্যাচে এক গোলে পিছিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয়ের হাসি মুখে নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ১৬ মিনিটের মাথায় দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকসের গোলে এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। কিন্তু ২৩ মিনিটের মাথায় হেড করে সেই গোল শোধ করেন কার্ল ম্যাকহিউ এবং ৭১ মিনিটে জয়সূচক গোলটিও আসে তাঁর পা থেকে।

এ দিন পরপর দুটি হলুদ কার্ড দেখে ৬৪ মিনিটের মাথায় মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন ব্লাস্টার্সের ফরোয়ার্ড রাহুল কেপি। ফলে শেষ আধঘণ্টা তাদের দশ জনে খেলতে হয়। তিনি থাকলে হয়তো এটিকে মোহনবাগানের জয় সহজ হত না। তবে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার আগে নিজেদের বক্সের মধ্যে আশিস রাইকে যে ভাবে ফাউল করেন রাহুল, তা রেফারির চোখে ঠিকমতো পড়লে পেনাল্টি থেকেই দ্বিতীয় গোলটি পেয়ে যেত তারা। সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার ব্রেন্ডান হ্যামিল এ দিন হলুদ কার্ড দেখায় তিনি আগামী শনিবার ডার্বিতে খেলতে পারবেন না।

এদিন দুটি গোল করলেও মোট ১১টি সুযোগ তৈরি করে এটিকে মোহনবাগান। সবচেয়ে বেশি, তিনটি গোলের সুযোগ তৈরি করেন মনবীর সিং, যাঁকে এ দিন চেনা ছন্দে ফিরে আসতে দেখা যায়। শুভাশিস বোস, গ্ল্যান মার্টিন্স ও দিমিত্রিয়স পেট্রাটসও দুটি করে গোলের সুযোগ তৈরি করেন। কলকাতার দল যেখানে চারটি শট গোলে রাখে, সেখানে ব্লাস্টার্স দুটির বেশি শট গোলে রাখতে পারেনি (নীচে পরিসংখ্যান দেখে নিন)। তারা এ দিন সব মিলিয়ে দশটি গোলের সুযোগ তৈরি করে।

এ দিন চোট সারিয়ে এটিকে মোহনবাগানের প্রথম এগারোয় ফিরে আসেন হুগো বুমৌস, কার্ল ম্যাকহিউ এবং সাসপেনশন কাটিয়ে ফিরে আসেন আশিক কুরুনিয়ান ও শুভাশিস বোস। এই চার তারকার প্রত্যাবর্তনে সবুজ-মেরুন শিবিরের চেহারাই বদলে যায়। প্লে অফে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিলেও কেরালা ব্লাস্টার্স যে প্রথম লিগে হারের বদলার মনোভাব নিয়েই নেমেছিল, তা শুরু থেকেই বুঝিয়ে দেয়।

একাধিক চেষ্টার পরে ১৬ মিনিটের মাথায় দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকসের অসাধারণ গোলে এগিয়ে যায় ব্লাস্টার্স। প্রতিপক্ষের বক্সের বাইরে থেকে বক্সের মধ্যে থাকা আপোস্তোলোস গিয়ানুকে বল বাড়ান ইভান কালিউঝনি। তিনি নিজে গোলে শট না নিয়ে ডানদিকে দিয়ে দেন দিয়ামান্তাকসের পায়ে এবং তিনি ডানদিকের কোণ দিয়ে গোলে বল ঢোকাতে বিন্দুমাত্র ভুল করেননি (১-০)।

গোল খাওয়ার পরে তা শোধ করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে সবুজ-মেরুন শিবির এবং সাত মিনিটের মধ্যেই গোল শোধ করেন কার্ল ম্যাকহিউ। বাঁ উইং থেকে দিমিত্রিয়স পেট্রাটসের মাপা ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে অসাধারণ গোলটি করেন কার্ল (১-১)। ভিক্টর মঙ্গিল তাঁকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ৭২ মিনিটের মাথায় আরও এক দুর্দান্ত গোলে দলকে এগিয়ে দেন কার্ল ম্যাকহিউ। ডানদিকের উইং থেকে আশিস রাই বক্সের মধ্যে বল পাঠানোর পরে মনবীর তার পিছনে থাকা কার্ল ম্যাকহিউয়ের সামনে তা নামিয়ে দেন। বক্সের মাথা থেকে গোলার গতিতে সরাসরি গোলে শট নেন কার্ল (১-২)।

এটিকে মোহনবাগান দল: বিশাল কয়েথ (গোল), আশিস রাই, প্রীতম কোটাল (অধি), ব্রেন্ডান হ্যামিল, শুভাশিস বোস, কার্ল ম্যাকহিউ (স্লাভকো দামিয়ানোভিচ), গ্ল্যান মার্টিন্স, হুগো বুমৌস (ফেদরিকো গায়েগো), আশিক কুরুনিয়ান (পুইতিয়া), মনবীর সিং (লিস্টন কোলাসো), দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ।

(লেখা ও ছবি আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

This post was last modified on February 20, 2023 3:32 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন