বিজ্ঞাপন

মুম্বই সিটি এফসি-র বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র লড়াকু এসসি ইস্টবেঙ্গলের

এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে লিগ টেবলের শীর্ষে ফিরে গেলেও এই ফলে যে মোটেই খুশি নন মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ ডেস বাকিংহাম, তা ম্যাচের শেষদিকে তাঁর অভিব্যক্তিতেই ছিল স্পষ্ট।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করে লিগ টেবলের শীর্ষে ফিরে গেলেও এই ফলে যে মোটেই খুশি নন মুম্বই সিটি এফসি-র কোচ ডেস বাকিংহাম, তা ম্যাচের শেষদিকে তাঁর অভিব্যক্তিতেই ছিল স্পষ্ট। খুশি হওয়ার কথাও নয় তাঁর। যে ভাবে তাঁর দলের তারকা ফুটবলারদের হতাশ করে তুলে ব্যর্থতার দিকে টেনে নামিয়ে দিলেন লিগ টেবলের ১১ নম্বরে দলের ফুটবলাররা, তার পরে খুশি হওয়ার কোনও কারণই থাকতে পারে না টানা চারটি ম্যাচে জয় না পাওয়া দলের কোচের। বরং ম্যাচের পরে লাল-হলুদ বাহিনীর অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিংকে দেখা যায় দলের খেলোয়াড়দের জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানাতে। কারণ, শুক্রবার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে যে ভাবে তাঁর দলের দশজন ভারতীয় ফুটবলার ইগর অ্যাঙ্গুলো, আহমেদ জাহু, মুর্তাদা ফল, কাসিয়াস গ্যাব্রিয়েলদের মতো দুর্ধর্ষ ফুটবলারদের রীতিমতো বোতলবন্দী করে রাখলেন এবং তাঁদের হতাশায় ছটফট করতে বাধ্য করলেন, এই লড়াইকে তাদের নৈতিক জয় বললে বিন্দুমাত্র ভুল হয় না।

শুক্রবারের ম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডাররা দেখিয়ে দিলেন, কোন স্তরে গিয়ে লড়াই করতে পারেন তাঁরা। ৬৩ শতাংশ বল পজেশন থাকা সত্ত্বেও সারা ম্যাচে দু’টির বেশি শট গোলে রাখতে পারেনি শীর্ষস্থানীয় মুম্বই সিটি এফসি (নীচের পরিসংখ্যান দেখুন)। এসসি ইস্টবেঙ্গলও অবশ্য একটির বেশি শট রাখতে পারেনি গোলে কিন্তু তাদের রক্ষণ যে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় ২২ গোল করা মুম্বইয়ের আক্রমণ বিভাগকে, তার কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। দশটি ম্যাচ হয়ে গেলেও জয় এখনও অধরা তাদের। কিন্তু রেনেডি সিংয়ের প্রশিক্ষণে যে ভাবে দলটা লড়াকু হয়ে উঠছে, তাতে তাদের প্রথম জয় সম্ভবত খুব দেরি নেই।

শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসি-র নাগাড়ে আক্রমণকে বারবার প্রতিহত করে যান লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা। টমিস্লাভ মর্সেলা এ দিন মাঠে না থাকলেও ভারতীয় ফুটবলারদের নিয়ে তৈরি রক্ষণ বিভাগ যথেষ্ট ভাল পারফরম্যান্স দেখায়। বিশেষ করে আদিল খান ও হীরা মন্ডলের পারফরম্যান্স এ দিন ছিল প্রশংসা করার মতো। মুম্বই সিটি এফসি সমানে বিপক্ষকে চাপে রাখলেও কোনও ক্লিয়ার চান্স তৈরি করতে পারেনি। ইগর অ্যাঙ্গুলো, বিপিন সিং, কাসিও গ্যাব্রিয়েলদের দারুন ভাবে সামলান আদিলরা। তাঁদের আটকাতে মরিয়া ডিফেন্ডার জয়নার লরেঙ্কো ১৯ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান। তার জায়গায় চোখে চোট নিয়েও নামেন অঙ্কিত মুখার্জি। কারণ, দলের ডাগ আউটে তখন আর কোনও সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার ছিল না।

সারা ম্যাচে বিপক্ষের গোলের কাছাকাছিও যেতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়ে মুম্বইয়ের দল। আহমেদ জাহু ও ইগর অ্যাঙ্গুলোর মধ্যে বল দেওয়া-নেওয়ার রাস্তাটা বন্ধ করে দেন এসসি ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলাররা। ফলে মুম্বই আরও দিশাহারা হয়ে যায়। জাহু হতাশ হয়ে দু’বার বক্সের বাইরে থেকে গোলে শট নিলেও সফল হননি। ৩০ মিনিটের আগে অ্যাঙ্গুলো তাঁর প্রথম গোলমুখী শটটি নিতে পারেননি। তার পরেও একটাও শট গোলের দিকে রাখতে পারেননি তিনি। প্রথমার্ধে ৬৪ শতাংশ বল পজেশন থাকা সত্ত্বেও একটার বেশি গোলে শট রাখতে পারেনি গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। এসসি ইস্টবেঙ্গলও একটাই শট গোলে রাখতে পেরেছিল। চিমার সেই দুর্বল শট সহজেই বাঁচিয়ে নেন মুম্বইয়ের সিকিমিজ গোলকিপার ফুর্বা লাচেনপা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে এসসি ইস্টবেঙ্গলের মিডফিল্ডার বিকাশ জাইরুর পরিবর্তে নামেন মহম্মদ রফিক। তবে প্রথমার্ধের খেলার চেয়ে অন্যরকম কিছু দেখা যায়নি কোনও দলের খেলাতেই। বরং দুর্দান্ত রক্ষণের পাশাপাশি এসসি ইস্টবেঙ্গলকে আরও বেশি আক্রমণে উঠতে দেখা যায়। মুম্বইয়ের খেলোয়াড়দের পেনাল্টি বক্সে প্রবেশ প্রায় নিষিদ্ধ করে দেন লাল-হলুদ ডিফেন্ডাররা। তাই বক্সের বাইরে থেকেই গোলের চেষ্টা চালিয়ে যান অ্যাঙ্গুলোরা। ৫৪ মিনিটের মাথায় বক্সের সামনে ডানদিক থেকে ডান পায়ে মাপা শট গোলে মারেন কাসিয়াস গ্যাব্রিয়েল, যা লাফিয়ে উঠে সেভ করেন অরিন্দম। তিনি ব্যর্থ হলে বল গোলেই ঢুকত। ৬০ মিনিটের মাথায় জাহু প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে শট নেন, যা ব্লক হয়ে যায়।

এসসি ইস্টবেঙ্গল দল: অরিন্দম ভট্টাচার্য (গোল) (অ), আদিল খান, জয়নার লরেঙ্কো (অঙ্কিত মুখার্জি), হীরা মন্ডল, ওয়াহেংবাম লুয়াং (বলওয়ান্ত সিং), সৌরভ দাস, লালরিনলিয়ানা হামতেবিকাশ জাইরু (মহম্মদ রফিক), অমরজিৎ সিং কিয়াম (ড্যারেন সিডোল), সেম্বয় হাওকিপ (জ্যাকিচন্দ সিং), ড্যানিয়েল চিমা।

(লেখা আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on January 8, 2022 1:36 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন