বিজ্ঞাপন

ISL 8 SCEB vs CFC: ৪ ম্যাচ পরেও জয় অধরা কলকাতার দলের

ISL 8 SCEB vs CFC ম্যাচ থেকে গেল গোলশূন্যই। এক দিকে পরপর দু’টি ম্যাচ জিতে শুক্রবার নেমেছিল চেন্নাইন এফসি। অন্য দিকে, ঠিক উল্টো মেরুতে ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ISL 8 SCEB vs CFC  ম্যাচ থেকে গেল গোলশূন্যই। এক দিকে পরপর দু’টি ম্যাচ জিতে শুক্রবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে নেমেছিল চেন্নাইন এফসি। অন্য দিকে, ঠিক উল্টো মেরুতে ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। পরপর দু’টি ম্যাচে হেরে ন’গোল খেয়ে দক্ষিণী দলের বিরুদ্ধে নামে তারা। খাতায় কলমে এসসি ইস্টবেঙ্গল এ দিন পিছিয়ে থেকে নামলেও লড়াই করল সমানে সমানে। আগের দুই ম্যাচের চেয়ে অনেক উন্নত  পারফরম্যান্স দেখিয়ে গোলশূন্য ড্র করে চলতি হিরো আইএসএলে দ্বিতীয় পয়েন্ট অর্জন করল তারা।

বাংলার ফুটবলপ্রেমীদের খুশি হওয়ারও দিন ছিল শুক্রবার। বাংলার চার ফুটবলারের অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সাইড ব্যাক হীরা মন্ডল, যিনি ম্যাচের সেরার পুরস্কারটি পান এবং তাঁর সতীর্থ মিডফিল্ডার মহম্মদ রফিক, গোলকিপার শুভম ও চেন্নাইনের ফরোয়ার্ড রফিক আলি এ দিন মন জয় করে নেওয়ার মতো পারফরম্যান্স দেখান। ম্যাচটা গোলশূন্য থাকলেও আনন্দ পাওয়ার মতো ফুটবল দেখা গিয়েছে এ দিন। এই ড্রয়ের ফলে তিন ম্যাচে সাত পয়েন্ট পেয়ে লিগ টেবলের শীর্ষে উঠে এল চেন্নাইন এফসি। এসসি ইস্টবেঙ্গল চতুর্থ ম্যাচে দ্বিতীয় ড্র করে দশ নম্বর থেকে একধাপ ওপরে উঠে এল।

আগের দিনের প্রথম এগারো থেকে রাজু গায়কোয়াড়, ফ্রানিও পর্চে, বিকাশ জায়রু ও আন্তোনিও পেরোসেভিচকে বাদ দিয়ে এ দিন দলকে ৪-৪-২-এ সাজান এসসি ইস্টবেঙ্গল কোচ দিয়াজ। জয়নার লরেঙ্কো, অমরজিৎ সিং কিয়াম ও গত ম্যাচের জোড়া গোলদাতা ড্যানিয়েল চিমাকে এ দিন প্রথম দলে রাখেন তিনি। আক্রমণে চিমা ও সিডোল এবং তাঁদের পিছনে ছিলেন নাওরেম মহেশ, রফিক, দার্ভিসেভিচ ও অমরজিৎ। দুই সাইডব্যাক হীরা ও ড্যানিয়েল গোমস এবং স্টপার মর্চেলা ও লরেঙ্কো। অন্য দিকে, রহিম আলিকে সবার সামনে রেখে চেন্নাইনের দলকে ৪-২-৩-১-এ সাজান তাদের কোচ বান্দোভিচ। তাঁর পিছনে ছাঙতে, ভ্লাদিমির কোম্যান ও মিরলান মুরজায়েভ।

এক ডজন কর্নার ও আটটি ফ্রিকিক পেয়েও তা থেকে গোল পায়নি চেন্নাইয়ের দল। লাল-হলুদ ডিফেন্ডারদেরও এ দিন উন্নত লেগেছে। সারা ম্যাচে তারা মাত্র একটি শট গোলে রাখতে পেরেছে। তাও সেটা দ্বিতীয়ার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে রক্ষণে শক্তি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আদিল খান ও রাজু গায়কোয়াড়কে নামানো হয় ড্যানিয়েল গোমস ও লরেঙ্কোর জায়গায়। সিডোলের জায়গায় নামেন আন্তোনিও পেরোসেভিচ।

এ দিন চেন্নাইনের আক্রমণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেন বাংলার ফুটবলার রহিম আলি। তিনি এ দিন একাধিক গোলের সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেন। দুর্দান্ত কিছু গোলের ক্রসও দেন। এসসি ইস্টবেঙ্গলের সৌভাগ্য যে, তাঁর সেই গোলের পাসগুলো শেষ পর্যন্ত কাজে লাগাতে পারেননি তাঁর সতীর্থরা। ৮১ মিনিট পর্যন্ত খেলে তিনি মাঠ ছেড়ে যান ও তাঁর পরিবর্তে নামেন জবি জাস্টিন।

এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ দিয়াজ ৬৪ মিনিটের মাথায় অমরজিতের জায়গায় নামান বিকাশ জাইরুকে। ৭৫ মিনিটের মাথায় গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। বক্সের সামনে বাঁ দিক থেকে নেওয়া দার্ভিসেভিচের নিখুঁত ও মাপা ফ্রি কিকে ঠিকমতো মাথা ছোঁয়াতে পারলে অবধারিত ভাবে গোল পেতেন গোললাইনের সামনে থাকা রাজু। কিন্তু তাঁর হেড মাটিতে ড্রপ করে বারের ওপর দিয়ে চলে যায়।

সাইড ব্যাক হীরা মন্ডল এ দিন অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন। একা যেমন বিপক্ষের অ্যাটাকরদের সামলান, তেমনই মাঝমাঠে উঠে গিয়ে গোলের সুযোগ তৈরি করার জন্য পাসও দেন সতীর্থদের। মাঝমাঠ ও আক্রমণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার মরিয়া চেষ্টা করেন রফিক। কিন্তু বিপক্ষের ডিফেন্ডারদের তৎপরতায় বারবার আটকে যান। ম্যাচের শেষ দিকে বিপক্ষের গোলের কাছাকাছি দু’টি লম্বা থ্রো করেন রাজু ও একটি কর্নার কিকও পায় এসসি ইস্টবেঙ্গল। স্টপেজ টাইমে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের সুযোগ পায় চেন্নাইন এফসি।

এসসি ইস্টবেঙ্গল দল: শুভম সেন (গোল), ড্যানিয়েল গোমস (আদিল খান), টমিস্লাভ মর্সেলা (অধি), জয়নার লরেঙ্কো (রাজু গায়কোয়াড়), হীরা মন্ডল, ড্যারেন সিডোল (আন্তোনিও পেরোসেভিচ), মহম্মদ রফিক (সৌরভ দাস), আমির দার্ভিসেভিচ, অমরজিৎ সিং কিয়াম (বিকাশ জাইরু), নাওরেম মহেশ, ড্যানিয়েল চিমা।

(লেখা ও খবর আইএসএল ওয়েবসাইট থেকে)

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on December 4, 2021 12:28 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন