বিজ্ঞাপন

শো কজ রবি ফাউলারকে, অভিযোগ তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধেও

শো কজ রবি ফাউলারকে আবার। ফের এআইএফএফ-এর ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ রবি ফাউলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ল।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: শো কজ রবি ফাউলারকে আবার। ফের সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (এআইএফএফ) ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে এসসি ইস্টবেঙ্গলের প্রধান কোচ রবি ফাউলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ল। যার জেরে কিমিটি ডেকে পাঠিয়েছে তাঁকে।

রেফারিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের জন্য তিনি ইতিমধ্যেই চার ম্যাচ নির্বাসনের মধ্যে রয়েছেন এখন। যার জেরে দলের সঙ্গে মাঠে থাকতে পারছেন না তিনি। কিন্তু গ্যালারিতে বসে খেলা দেখার অনুমতি পেয়েছেন। তা সত্ত্বেও গত ১২ ফেব্রুয়ারি তিলক ময়দানে ম্যাচের শেষে হায়দরাবাদ এফসি-র ফুটবলারদের বিরুদ্ধে আপত্তিজনক মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই কারণেই এআইএফএফ ডিসিপ্লিনারি কমিটির সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে।

কমিটি সদস্যরা ফাউলারের কাছে তাঁর এই কাজের ব্যাখ্যা ও কারণ জানতে চাইবেন। তাঁর উত্তর সন্তোষজনক না হলে তাঁর শাস্তি বাড়ানো হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গত ৩ ফেব্রুয়ারি রবি ফাউলারকে চার ম্যাচের নির্বাসন ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। চলতি হিরো ইন্ডিয়ান সুপার লিগে রেফারিদের সিদ্ধান্ত নিয়ে অত্যাধিক সমালোচনার জন্য তাঁকে এই শাস্তি দেওয়া হয়।

একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও ব্রিটিশ কোচ ফাউলার ম্যাচ চলাকালীন রেফারিদের নেওয়া নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে ক্রমাগত প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন। তা ছাড়া ফেডারেশনের সংবিধানের ৫০তম ধারা (রেফারিদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার) ভঙ্গ করে তিনি মাঠে একাধিকবার রেফারিদের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন।

ফাউলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে চারটি ম্যাচে নির্বাসিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই চারটি ম্যাচের মধ্যে ১৯ ফেব্রুয়ারির কলকাতা ডার্বিও রয়েছে। এ ছাড়া জামশেদপুর এফসি (৭ ফেব্রুয়ারি), হায়দরাবাদ এফসি (১২ ফেব্রুয়ারি) ও নর্থ ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিরুদ্ধে ম্যাচেও দলের সঙ্গে তাঁর থাকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

তখন শাস্তির ঘোষণায় বলা হয়েছিল, ফের তাঁর নামে এমন অভিযোগ উঠেল আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। কিন্তু ফের একই রকম অভিযোগ উঠল ফাউলারের বিরুদ্ধে। অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি নাকি গ্যালারি থেকেই বিপক্ষের ফুটবলারদের উদ্দেশ্যে অসম্মানজনক মন্তব্য করেন। ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে।

শুধু প্রধান কোচ ফাউলারই নন। তাঁর সহকারী অ্যান্থনি গ্রান্টকেও শো কজ করা হয়েছে। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে ওই একই ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে গ্রান্ট রেফারি ও বিপক্ষের প্রধান কোচের উদ্দেশ্যে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর দু’টোর মধ্যে শো কজের জবাব দিতে বলা হয়েছে তাঁক। ১৯ তারিখের ডার্বি ম্যাচের আগে কোচেদের বিরুদ্ধে এই পত্রাঘাত এসসি ইস্টবেঙ্গল শিবিরে কতটা প্রভাব ফেলবে, সেটাই এখন প্রশ্ন।

(আরও খবর জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on February 18, 2021 3:01 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন