বিজ্ঞাপন

স্পট-ফিক্সিং নিয়ে আবার তোলপাড় আইসিসি, এশিয়া কাপের মধ্যে বুকিদের আনাগোনা

স্পট-ফিক্সিং আবার মাথা তুলে দাড়াচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে। নতুন করে আবার খবরের শিরোনামে ক্রিকেট বিশ্বের গড়াপেটা। আইসিসি সোমবার এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: স্পট-ফিক্সিং আবার মাথা তুলে দাড়াচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বে। সাময়িক বন্ধ হয় আবার ঘুরে ফিরে আসে। নতুন করে আবার খবরের শিরোনামে ক্রিকেট বিশ্বের গড়াপেটা। আইসিসি সোমবার এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, গত ১২ বছরে কম করে পাঁচ জন অধিনায়কের কাছে বুকিদের অফার গিয়েছে। আইসিসি এও জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উইকেট কিপার মহম্মদ শাহজাদের কাছে তো চলতি এশিয়া কাপেই পরের আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে ভাল না খেলার অফার ছিল বুকিদের তরফে। যা হবে অক্টোবরে শারজায়।

আইসিসি-র অ্যান্টি কোরাপশন ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল এই তথ্য ফাঁস করেছেন। যে পাঁচ অধিনায়কের কাছে বুকিদের অফার ছিল তাঁদের মধ্যে চার জনই আইসিসি-র ফুল মেম্বার দেশের। আইসিসির হেড কোয়ার্টারে মার্শাল বলেন, ‘‘এশিয়া কাপ চলার মধ্যেই আফগানিস্তানের উইকেটকিপারকে অফার দেওয়া হয়েছিল। তবে তাদের টি২০ লিগের জন্য। বিশেষ সূত্রের মাধ্যে এই খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমরা সেই দিকে নজর রাখছি।’’

মার্শাল আরও জানিয়েছেন, গত ১২ মাসে ৩২টি কেসের তদন্ত চলছে। তার মধ্যে আট জন ক্রিকেটার আইসিসির র‌্যাডারের নিচে রয়েছেন। যাঁদের সন্দেহ করা হচ্ছে এই সব গড়াপেটার মধ্যে যুক্ত থাকার। এ ছাড়া পাঁচ জন এমন রয়েছেন যাঁরা ক্রিকেটার না হলেও ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত। মানে অফিশিয়াল। তার মধ্যে তিন জনকে চার্জ দেওয়া হয়েছে। সেই পাঁচ আন্তর্জাতিক অধিনায়কও তাঁদের কাছে বুকিদের অফার আসার কথা জানিয়েছে।

সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে পরীক্ষা ভারতের মিডল অর্ডারের

মার্শাল এও জানিয়েছেন, সব বুকিরাই যে ভারতীয় এমনটা নয়। তার মানে এও নয় যে তাঁরা ভারতের বাইরে থেকে কাজ চালায়। তারা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে রয়েছে। আর সেই সব বুকিরা টি২০ ক্রিকেট পছন্দ করে। যেখানে খুব সহজেই স্পট ফিক্সিং করা যায়। শাহজাদের কাছে বুকির অফারের ভিত্তিতে সরকারিভাবে অভিযোগ দায়ের করেছে আফগানিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট। সেই বুকিরা নাকি আফগানিস্তানের টিম হোটেলে পৌঁছে গিয়েছিল। ৩২টি ঘটনার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২৩টি অভিযোগ জমা পড়েছে প্লেয়ার ও ম্যাচ অফিশিয়ালদের পক্ষ থেকে।

আটটি ঘটনায় প্লেয়াররা সন্দেহের তালিকায় রয়েছেন। তার মধ্যে চারজন প্রাক্তন প্লেয়ার। যারা এখনও তদন্তের মধ্যে রয়েছে। আইসিসির সিইও ডেভিড রিচার্ডসন বলেন, ‘‘টি২০ ক্রিকেট এই মুহূর্তে মানুষের সব থেকে পছন্দের। অনেকবেশি মানুষ দেখে। যে কারণে এখানে স্পট ফিক্সিং করা সহজ। আমাদের লক্ষ্য ক্রিকেটের সমর্থক বাড়ানো। কিন্তু তাতে যদি এই পরিস্থিতি হয় তা হলে অ্যালেক্সকে আরও একটু বেশি খাটতে হবে।’’

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন