বিজ্ঞাপন

ক্ষমা চাইলেন টুটু বসু… বললেন, ‘কাউকে আঘাত করার অভিপ্রায় ছিল না’

ক্ষমা চাইলেন টুটু বসু । আবেগের বিস্ফোরণ কি এমনটাই হয়? নাকি হওয়া উচিত। তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। উঠেছে ঝড়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: ক্ষমা চাইলেন টুটু বসু । আবেগের বিস্ফোরণ কি এমনটাই হয়? নাকি হওয়া উচিত। তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। উঠেছে ঝড়। সমালোচনার ঝড়। চমকে গিয়েছন অনেকেই। একি বললেন টুটু বসু? এটা কি আদৌ তিনি বলতে পারেন? নাকি তাঁর বলার অধিকার রয়েছে? নানা প্রশ্নের মধ্যে কেটেছে রাত। সকাল হতেই বদলাতে শুরু করেছে চেহারাটা। এসেছে সেই টুটু বসুর ক্ষমা প্রার্থণার চিঠি। সেই চিঠিতে তিনি জানিয়েছে, কাউকে কষ্ট দিতে তিনি সেই মন্তব্য করেননি। আবেগের বশে হয়ে গিয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছিল বুধবার তা আর একবার ফিরে দেখা যাক…

বুধবার কলকাতা লিগে ক্যালকাটা কাস্টমসের বিরুদ্ধে মোহনবাগান মাঠেই খেলতে নেমেছিল মোহনবাগান দল। তার আগের দিনই ইস্টবেঙ্গল মহমেডানের কাছে হেরে যাওয়া মোহনবাগানের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার রাস্তাটা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল। এ দিন জিতলেই এক ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয় হয়ে যাবে সবুজ-মেরুন, তা জেনেই খেলতে নেমেছিল শঙ্করলালের ছেলেরা। পুরো ভর্তি ছিল গ্যালারি। হাজির হয়েছিলেন সব পর্যায়ের কর্তারা। এতদিন যাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা সকলেই হাজির ছিলেন আট বছর পর দলের ট্রফি জয়ের সাক্ষী থাকতে।

সেই ম্যাচেরই হাফ টাইমের ঘটনা। এ বার কলকাতা লিগ সরাসরি সম্প্রচার করছে সাধনা টিভি। তাদেরই রিপোর্টার ম্যাচের বিরতিতে ক্লাব সভাপতি টুটু বসুকে জিজ্ঞেস করেন, ‘‘দল চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে আপনার কেমন লাগছে?’’ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনও গোল করতে পারেনি। এই প্রশ্নের উত্তরে টুটু বেশ মজার সুরে বলেন, ‘‘পর পর সাতবার মেয়ে হওয়ার পর যখন হঠাৎ করে ছেলে হয় তখন যেমন লাগে তেমনই লাগছে।’’

এটা কী বললেন টুটু বসু?

তাতেই ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে সাধারণ মানুষ থেকে সমাজের বিশিষ্টদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে চিঠি দিয়ে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন টুটু বসু। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘‘দীর্ঘ আট বছর পর লিগ জিতছি। তাতেই আবেগে ভেসে কিছু কথা বলে ফেলেছি। আমি কখনওই এই কথা বলতে চাইনি। কাউকে আঘাত করতে চাইনি। কাউকে আঘাত করে থাকলে আমি ক্ষমা প্রার্থী।’’ এর সঙ্গে তিনি জুড়ে দেন, ‘‘আমার বাড়িতে পুত্র বধুরা রয়েছে। নাতনি রয়েছে। আমি কন্যা সন্তানের গুরুত্ব বুঝি। আমি আমার মন্তব্য প্রত্যাহার করছি।’’

দেখুন টুটু বসুর সেই চিঠি


 

0
0

This post was last modified on September 13, 2018 6:30 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন