বিজ্ঞাপন

বিরাট কোহলি আর অস্বস্তিকর পরিস্থিতি! ছ’বছর আগের সেই ঘটনা নিজেই মনে করালেন ক্যাপ্টেন

বিরাট কোহলি কখনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন! ভারত অধিনায়কের স্মার্টনেস দেখে কে বলবে তিনি অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বিরাট কোহলি কখনও অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন! ভারত অধিনায়কের স্মার্টনেস দেখে কে বলবে তিনি অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারেন। কিন্তু এমনটাও হয়েছে। যদিও তখন তিনি অনেকটাই ছোট। এতটা বড় হয়ে যাননি। বরং অনেকবেশি আবেগ, উত্তেজনায় ভরপুর একটা ছেলে। তাই যে কোনও কিছুর প্রভাব বড্ড বেশি পড়ত আর সঙ্গে প্রতিক্রিয়াও।

এমনই এক ঘটনার কথা আবার নিজেই এত বছর পর মনে করিয়ে দিলেন স্বয়ং ভারত অধিনায়ক। নিজেকে ক্রিকেট কেরিয়ারের সব থেকে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির কথা বলতে গিয়ে তুলে আনলেন ২০১২র সেই ঘটনা। তখন অস্ট্রেলিয়ায় টেস্ট খেলছে ভারত। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় টেস্ট চলছে। বাউন্ডারির কাছে ফিল্ডিং করছিলেন বিরাট। অনেকক্ষণ ধরেই তাঁকে উদ্দেশ্য করে ভেসে আসছিল নানান কটূক্তি। ছাড়া পাননি বিরাটের মা, বোনও। মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি। প্রতিবাদে ‘মিডল ফিঙ্গার’ দেখিয়ে বসেন। আর সেই দৃশ্য ধরা পড়ে যায় ক্যামেরায়।

বিরাট সেই স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে বলছিলেন, ‘‘আমার মনে আছে অনেকক্ষণ ধরে অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকরা আমাকে তাতাচ্ছিল। একটা সময় আমার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। আর আমি ‘মিডল ফিঙ্গার’ দেখিয়ে বসি তাদের।’’ এর পরই খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগুলে বিরাটকে ডেকে পাঠান। বিরাট বলছিলেন, ‘‘পর দিন ম্যাচ রেফারি তার ঘরে আমাকে ডেকে পাঠান। আর আমার ভাবটা ছিল, এমন কী হয়েছে? রেফারি আমাকে জিজ্ঞেস করে বাউন্ডারি লাইনে কী হয়েছিল গতকাল?’’

ছাপিয়ে গেলেন ডন ব্র্যাডম্যান ও রিকি পন্টিংকে

এর পর বিরাট বলেন, ‘‘আমি বলি তেমন কিছু না, ওরা আমাকে খারাপ কথা বলছিল। তার পর তিনি একটি খবরের কাগজ আমার দিকে ছুড়ে দেন। যেখানে আমার সেই বিরাট ছবি সামনের পাতায় ছিল।’’ এর পরই বিরাট বুঝতে পারেন বিষয়টি আর লুকনো নেই। সবাই জেনে গিয়েছে। দরা পড়ে গিয়েছেন ক্যামেরায়। তার পরই তিনি রঞ্জন মাদুগুলেকে বলেন তাঁকে ক্ষমা করে দিতে। ‘‘আমি বলি, আমাকে ক্ষমা করে দিন। আমাকে দয়ে করে নির্বাসিত করবেন না।’’

কোহলি বলেন, ‘‘উনি দারুণ মানুষ, আমাকে বুঝতে  পেড়েছিলেন।’’ নিজের এই মানসিক পরিবর্তনেন জন্য বিরাট তাঁর ছোট বেলার কোচ রাজকুমার শর্মাকেই কৃতিত্ব দেন। বলেন, ‘‘আমার পরিবার ছাড়া যদি আমাকে কেউ বুঝে থাকে তা হলে সেটা আমার কোচ রাজকুমার শর্মা। উনি আমাকে সারাক্ষণ বাইরে থেকে দেখেন। কোথাও ভুল করছি দেখলেই আমাকে তা ধরিয়ে দেন। আমার খেলা নিয়ে আজও আমি কোচের সঙ্গেই কথা বলি।’’

0
0

This post was last modified on September 6, 2018 12:34 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন