বিজ্ঞাপন

রাজীব গান্ধী খেলরত্ন: নাম প্রস্তাব করা হল বিরাট কোহলি আর মীরাবাঈ চানুর

রাজীব গান্ধী খেলরত্ন , পর পর দু’বছর নাম পাঠিয়েও চলে যেতে হয়েছে বাতিলের খাতায়। এ বার অবশ্য বিরাট কোহলির খেলররত্ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত।
বিজ্ঞাপন

বিরাট কোহলি ও মীরাবাঈ চানু।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাজীব গান্ধী খেলরত্ন , পর পর দু’বছর নাম পাঠিয়েও চলে যেতে হয়েছে বাতিলের খাতায়। এ বার অবশ্য বিরাট কোহলির খেলররত্ন পাওয়া প্রায় নিশ্চিত। সঙ্গে রয়েছেন ভারোত্তলক মীরাবাঈ চানু। সোমবারই রাজীব গান্ধী খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য নাম প্রস্তাব করা হল ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও ভারোত্তলক মীরাবাই চানুর।  এবার পুরো সিদ্ধান্তই ক্রীড়়া দফতরের হাতে। তবে তিনবারের চেষ্টায় যে বিরাট কোহলি খেলরত্ন পাচ্ছেন তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে।

এর আগে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে খেলরত্ন পেয়েছেন দু’জন। বিরাট পেলে তিনি হবেন তৃতীয়। তার আগে পেয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার সচিন তেন্ডুলকর। তিনি পেয়েছিলেন ১৯৯৭ সালে। ঠিক তার ১০ বছর পর এই সম্মান পান দেশের সফলতম অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। ২০০৭ সালে তিনি খেল রত্ন পান। কিন্তু আরও ১০ বছর পর না পেলেও ১১ বছর পর পাচ্ছেন বিরাট কোহলি।

কোন দু’জনের নাম পাঠানো হবে তা নিয়ে একটা বিতর্ক ছিল। বিরাটের নাম নিশ্চিত থাকলেও সংশয় ছিল চানু আর শাটলার কিদাম্বি শ্রীকান্তের মধ্যে। গত বছর সুপার সিরিজ সার্কিটে দারুণ সফল ছিলেন তিনি। কিন্তু ৪৮ কেজি বিভাগে বিশ্ব রেকর্ড করে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা জিতে মাত দিয়েছেন চানু। আর এখানেই শ্রীকান্তের থেকে এগিয়ে গেলেন চানু।

 ইস্টবেঙ্গল কোনও নিয়মের ধার ধারেনি

চানুকে নিয়ে ২০২০ অলিম্পিক্সে স্বপ্ন দেখছে ভারত। তাঁর হাত ধরে পদক নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর ভারোত্তলক সংস্থা। তাই তাঁকে নিয়ে সাবধানী তারা। কমনওয়েলথ গেমসে সোনা পাওয়ার পর পিঠের চোটের জন্য এশিয়ান গেমসে অংশ নিতে পারেননি তিনি। চোট নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি। কারণ তাঁর জন্য গুরুত্বপূর্ণ অলিম্পিক্স। সুস্থ হয়ে উঠে অলিম্পিক্সে নামার প্রস্তুতিতে নামবেন তিনি। ২০২০ অলিম্পিক্সে তাঁর থেকে একটি পদক নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।

আইসিসির বিচারে বিরাট কোহলি টেস্টের সেরা ব্যাটসম্যান। গত কয়েক বছর ধরে দারুণ ফর্মে রয়েছেন। গত দু’বছর ধরে তাঁর নাম প্রস্তাব করা স্বত্বেও মনোনিত হননি। ২০১৬ ও ২০১৭তেও তাঁর নাম পাঠানো হয়েছিল। অলিম্পিক্সে সাফল্য নিয়ে আসায় ২০১৬তে এই পুরস্কার পেয়েছিলেন সাক্ষী মালিক, পিভি সিন্ধু ও দীপা কর্মকার। গত বছর সেটা পান সদ্য অবসর নেওয়া হকির প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সর্দার সিংহ।

এই মুহূর্তে দেশের সেরা ক্রিকেটার তিনিই। বিশ্ব ক্রিকেটেও বিরাট কোহলি একটা নাম। এ বার তাঁর পুরস্কৃত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। ২৯ বছরের বিরাট ইতিমধ্যেই সব ফর্ম্যাটের ক্রিকেট মিলে করে ফেলেছেন ৫৮টি সেঞ্চুরি। সচিনের ১০০ সেঞ্চুরির পর সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির তালিকায় রয়েছেন তিনিই। কোহলি অবশ্য একটা জায়গায় ব্যতিক্রম। তিনি তাঁদের মধ্যে পড়েন যাঁরা খেলরত্নের আগে পদ্মশ্রী পেয়েছেন।

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন