বিজ্ঞাপন

উয়াড়ি ক্লাব এখন ধ্বংসস্তুপ, পুড়ে ছাই ময়দানের ঐতিহ্য

উয়াড়ি ক্লাব কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? সকালের ময়দান যেখানে ফুটবলারদের কলকাকলীতে মেতে থাকে সেখানে তখন সোমবার দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেল শতাব্দী প্রাচীন ক্লাবকে।
বিজ্ঞাপন

দাউ দাউ করে জ্বলছে উয়াড়ি ক্লাব।

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ব্যুরো: উয়াড়ি ক্লাব কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? সকালের কলকাতা ময়দান যেখানে প্লেয়ারদের কলকাকলীতে মেতে থাকে সেখানে তখন সোমবার দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখা গেল শতাব্দী প্রাচীন উয়াড়ি ক্লাবকে। শুধু জ্বলল না পুড়ে শেষ হয়ে গেল একটা ইতিহাস, ফুটবলার তৈরির আরও একটি কারখানা।

সোমবার তখন ভোর পাঁচটা। পার্কস্ট্রিটের প্রায় গা ঘেঁষেই দাঁড়িয়ে উয়াড়ি ক্লাব । কলকাতার ঘুম ভেঙে তার কিছু আগেই। অল্পবিস্তর লোকের যাতায়াত শুরু হয়ে গিয়েছে এই পথে। তাঁরাই প্রথম দেখতে পান। অল্পের জন্য প্রানে বাঁচের ক্লাবের তিন মালিও। তাঁরা রাতে ওখানেই থাকেন। ঘুমের মধ্যেই হঠাৎ শ্বাস কষ্ট হওয়ায় ঘুম ভেঙে দেখেন দাউ দাউ করে জ্বলছে তাঁবু। তখনও তাঁরা আটকে ভিতরে। ভিতর থেকে বন্ধ করা তাঁবুর গেট। অন্ধকার।

তার মধ্যেই প্রায় প্রতিদিনের অভ্যেসেই তালাটা খুলে ফেলতে পেরেছিলেন একজন। ছুটে বেরিয়ে আসেন বাইরে। আহত হয়েছেন একজন। তবে প্রানে বেঁচে গিয়েছেন তিন জনই। এই অবস্থা থেকে প্রানে বেঁচে ফেরা মালিরা অদৃষ্টকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন। আর একটু ঘুম ভাঙতে দেড়ি হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।

প্রাণে বেঁচেছেন রবিরা। কিন্তু ময়দানের ইতিহাস নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা উয়াড়ি ক্লাবের সব নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। নষ্ট হয়ে গিয়েছে প্লেয়ারদের জিনিসপত্র। কিছুই আর বেঁচে নেই। বাংলার ফুটবলের আঁতুরঘরের ভবিষ্যৎ কী তা আর কেউ জানে না। ক্রিকেট, ফুটবল, হকির অজস্র স্মৃতি ভস্মিভুত হয়ে গেল কয়েক মুহূর্তে।

এই ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কত বড় নাম। শান্ত মিত্র, পরিমল দে, সমরেশ চৌধুরী, প্রদ্যোৎ বর্ম, মোহন সিং, তুষার রক্ষিতের মতো প্রাক্তনরা তো ছিলেনই। সদ্য ভারতীয় ফুটবলের বড় নামের মধ্যে এই ক্লাবে খেলেছেন প্রীতম কোটালরা। ক্রিকেটেও এমনই রয়েছে অনেক বড় নাম। তার মধ্যে লক্ষ্মীরতন শুক্লা অন্যতম। ১৮৯৮ সালে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছিল ক্লাব। সেই শুরু। তার পর কলকাতা লিগে উঠে আসা। সেই চলা চলছিল এতদিন। হঠাৎ এই ঘটনায় হতভম্ব ক্লাব কর্তৃপক্ষ। মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পরই নিশ্চিত করে জানা যাবে।

দমকলের চারটি ইঞ্জিন এসে শেষ পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। প্রশ্ন উঠছে ময়দানের বাকি তাঁবুগুলো নিয়েও। এটা কি সবার জন্য অশনী সংকেত দিয়ে গেল? তা হলে কি সাবধান হওয়ার সময় এসেছে গোটা ময়দানের?

(খেলার আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে)

0
0

This post was last modified on April 2, 2019 12:32 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন