জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কেদারনাথের (Kedarnath Ropeway) অপার্থিব সৌন্দর্য্যের টানের পাশাপাশি চার ধামের এক ধাম এই কেদারনাথ। কেউ সেখানে ছুটে যান প্রকৃতির টানে আবার কেউ যান ভক্তির টানে। যে টানেই যান না কেন কেদারনাথ মানুষের কাছে এক অমোঘ টান। কিন্তু ইচ্ছে থাকলেও একটা বিরাট অংশ সেখানে পৌঁছতে পারেন না। কেউ শারীরিক কারণে আবার কেউ বয়সের কারণে। সকলের পক্ষে ট্রেকিং সম্ভব নয়। তাহলে তো সবাই হিমালয় অভিযানে যেতেন। কিন্তু কেদারনাথ সবার জীবনে একবার যেতে চান। এবার হয়তো সত্যিই সবাই সেখানে যেতে পারবেন। সেই ব্যবস্থাই হতে চলেছে।
যে দীর্ঘ পথ হেঁটে পাড় হতে লেগে যায় ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় এবার সেই পথই পেড়িয়ে যাওয়া যাবে ২৫ মিনিটে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। এই পথে তৈরি হতে চলেছে দীর্ঘতম রোপওয়ে। তবে রোপওয়ের রাস্তা তৈরি করতে কতটা ক্ষতি হবে প্রকৃতির তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই স্বপ্নকে স্বীকৃতি দিয়ে ছাড়পত্র দিয়েছে ন্যাশনাল ওয়াইল্ড লাইফ বোর্ড। এই রোপওয়ের রাস্তা তৈরি হবে সোনপ্রয়াগ থেকে কেদারনাথ মন্দিরের কিছুটা আগে পর্যন্ত।
এই রাস্তার দুরত্ব ১৮ কিলোমিটার। রোপওয়ে তৈরি হবে ১২ কিলোমিটার রাস্তায়। দু’পাশেই কিছুটা করে রাস্তা হাঁটতে হবে। তবে তা খুবই সামান্য। এতদিন এই পথে হাঁটা ছাড়া উপায় ছিল না। এখানে গাড়ি চলে না। হেলিকপ্টার সার্ভিস রয়েছে। আর রয়েছে ডুলি, ঘোড়ার সওয়ারি। কিন্তু সেগুলো খুব সুখকর নয়। হেলিকপ্টারের ভাড়া বিপুল। সাধারণ মানুষের পক্ষে তা বহন করা সব সময় সম্ভব হয় না। এদিকে, কেদারে সব ধরনের মানুষ যান। প্রতিবছর তার সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। সব কিছু মথায় রেখেই এই পরিকল্পনা। দ্রুত শুরু হবে রোপওয়ের কাজ।
১২ কিলোমিটার রাস্তায় এই রোপওয়ে তৈরি করতে খরচ হবে ১,২৬৮ কোটি টাকা। ২৬.৪৩ হেক্টর জঙ্গল এলাকার মধ্যে দিয়েযাবে এই রোপওয়ে। সেখানেই বসবে ২২টি টাওয়ার। এছাড়া মাঝ পথ থেকেও ওঠা-নামা করার জন্য থাকবে তিনটি স্টেশনও। সোনপ্রয়াগ থেকে ছেড়ে কেদারনাথের মাঝখানে থাকছে গৌরীকুণ্ড, চীরবাসা ও লিঞ্চলি। আরও একটি রোপওয়ের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে গোবিন্দঘাট থেকে হেমকুণ্ড সাহিবের মধ্যে। এর পাশাপাশি এই পথে তৈরি হচ্ছে আরও একটি নতুন ট্রেকরুট। যা হবে রাম্বাদা থেকে গরুরচটির মধ্যে।
প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে
This post was last modified on October 18, 2022 11:41 am