বিজ্ঞাপন

টিউলিপের টানে কাশ্মীরে, রবিবারই খুলে যাচ্ছে রঙের বাগান

ফুল কার না ভাল লাগে। তাও সেটা যদি হয় ভূস্বর্গের মাটিতে। এক সঙ্গে ঠাকুর দেখা আর কলা বেঁচা দুই-ই হয়ে যাবে। তাই মার্চে প্রতিবছরই কাশ্মীরে পর্যটকরা ভিড় জমান।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ফুল কার না ভাল লাগে। তাও সেটা যদি হয় ভূস্বর্গের মাটিতে। এক সঙ্গে ঠাকুর দেখা আর কলা বেঁচা দুই-ই হয়ে যাবে। তাই মার্চে প্রতিবছরই কাশ্মীরে পর্যটকরা ভিড় জমান। আর সেই পর্যটকদের কথা ভেবেই রবিবার থেকে খুলে যাচ্ছে কাশ্মীরের টিউলিপ গার্ডের। যে আর এক নাম সিরাজ বাগ। যেখানে ইতিমধ্যেই ফুটতে শুরু করেছে বিভিন্ন রঙের টিউলিপ। হিসেব বলছে ১৫ লাখ টিউলিপ ফোটে এই বাগানে। সঙ্গে আরও অন্যান্য প্রজাতির ফুলও। এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ গার্ডেন এটি। যার টানে দেশ, বিদেশ থেকে ছুটে আসেন ফুলপ্রেমীরা।

ডাল লেক আর জাবারওয়ান হিলসের মাঝে অবস্থিত এই টিউলিপ গার্ডেন এক সময় ছিল বলিউডের সব থেকে আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এক সময়ের সিরাজ বাগ এখন ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন। ২০০৮ সালে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ এই বাগানের উদ্বোধন করেছিলেন। শীত আর গ্রীস্মের মাঝের এই সময়টা কাশ্মীরে শুধুই হয়ে থাকে টিউলিপের।

১৯ মার্চ থেকে টিউলিপ গার্ডেন খুলছে পর্যটকদের জন্য। ৫২.৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে ফুটবে ১৫ লাখ ফুল। এই বছর টিউলিপের রামধনুতে সাজবে বাগান। থাকবে হলুদ, লাল, ক্রিমসন, বেগুনি ও সাদা রঙের ফুল। টিউলিপ গার্ডেনের দায়িত্বে থাকা ইনাম-উল-রেহমান বলেন, ‘‘প্রতি বছর আমরা গার্ডেন বড় করছি আর নতুন ফুলের সংখ্যা বাড়াচ্ছি। এই বছর আমরা ফাউন্টেন চ্যানেল বাড়িয়েছি। বাগান করার পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে যা একটা উদাহরণ হয়ে উঠবে।’’

টিউলিপ ফোটে তিন থেকে পাঁচ সপ্তাহ পর্যন্তই। তার মানে মার্চের মাঝামাঝি থেকে খুব বেশি হলে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত টিউলিপের ভরা বাগান দেখতে পাওয়ার সুযোগ থাকবে। তবে মাত্র একমাসের সৌন্দর্যের জন্য সারা বছর ধরে খাটতে হয় বাগানের কর্মীদের যাতে ফুল ভাল হয়। বাগানের সুপারভাইজার মুস্তাক আহমেদ মীর জানান, মে-জুন মাসে গাছ লাগানো শুরু হয়ে। যেটা করতে তিন মাসের মতো সময় লাগে। তার পর গাছ বেড়ে, সব ঝড় ঝাপটা থেকে বাঁচিয়ে ফুল ফোটে মার্চ-এপ্রিলে। তার পিছনে রয়েছে দিন-রাতের পরিশ্রম।

বাগানের কর্মীদের আশা এ বছর টিউলিপ দেখতে রেকর্ড ভিড় হবে। গত বছর দু’লাখের উপর পর্যটকের পা পড়েছিল বাগানে। এবার তার থেকেও বেশি কিছু আশা করছেন তাঁরা। বাগানে ঢোকার টিকিট অনলাইনেও বুক করা যেতে পারে। বড়দের জন্য টিকিটের মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় ৫০ টাকা ও ছোটদের জন্য ২৫ টাকা। শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে পৌঁছনো যায় বাগানে যা ২২ কিলোমিটারের দূরত্ব। রেল স্টেশন থেকে দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই ট্র্যাফিক ব্যবস্থা বদলে ফেলা হয়েছে ওই এলাকার যাতে পর্যটকদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয়। ১৯ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ডালগেট থেকে টিউলিপ গার্ডেন পর্যন্ত রাস্তা ওয়ান ওয়ে করে দেওয়া হয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

জাস্ট দুনিয়ার সঙ্গে গোটা বিশ্বকে রাখুন নিজের পকেটে। Follow Us On: FacebookTwitterGoogle

0
0

This post was last modified on March 18, 2023 4:25 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন