বিজ্ঞাপন

রহস্যে মোড়া কারণ, কিউবায় আক্রান্ত ব্রেন একাধিক মার্কিন কূটনীতিকের

বিজ্ঞাপন

কিউবায় আক্রান্ত মার্কিন কূটনীতিবিদদের ব্রেন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আক্রান্ত হচ্ছে ব্রেন। কোথাও কিছু নেই, অথচ ওঁরা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। আর গোটাটাই কেমন যেন রহস্যে মোড়া।

একই ঘরের এক বিছানায় শুয়ে রয়েছেন দু’জন। হঠাৎ করেই এক জন শুনতে পাচ্ছেন বিকট একটা শব্দ। ব্যস। তার পর থেকে তিনি আর কানে কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। আর অন্য জন কোনও শব্দই শুনতে পেলেন না।

কেউ বা রাতে এক বিন্দু ঘুমোতে পারছেন না। মনোসংযোগ করতে পারছেন না কোনও কিছুতেই। কেউ আবার আচমকাই অ়জ্ঞান হয়ে যাচ্ছেন। কারও আবার স্মৃতিশক্তি এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে, সাধারণ কথা বলা সময়েও কোনও শব্দ মাথায় আসছে না। কেউ আবার দিন-রাত বমি বমি ভাব নিয়ে কাটাচ্ছেন। কারও প্রচণ্ড মাথাব্যথা। কিন্তু এ সব কেন হচ্ছে, তার কোনও সুস্পষ্ট জবাব এখনও দিতে পারেননি চিকিৎসকেরা।

রাতে ঘুমোনোর সময় ওই শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু, একই সময়ে ওই ঘরে, এমনকী, একই বিছানায় শুয়ে থাকা অন্য জন সেই শব্দ শুনতে পাননি।

এক জন দু’জন হলে না হয় কথা ছিল। সব মিলিয়ে গত দু’বছরে ৩৪ জন এমন কারণহীন অসুস্থতার শিকার হয়েছেন। এই ৩৪ জনের প্রত্যেকেই পেশায় কূটনীতিবিদ। সকলের পোস্টিং কিউবার হাভানায়। এঁদের মধ্যে ২৪ জন আমেরিকার নাগরিক। বাকি ১০ জন কানাডার। প্রত্যেকে কিউবায় নিজেদের দেশের দূতাবাসে কাজ করতেন বা করেন।

ওই কূটনীতিকদের কয়েক জন চিকিৎসকদের জানিয়েছেন, তাঁরা একটা সনিক আওয়াজ অল্প সময়ের জন্য শুনেছেন। আর তার পর থেকে কোনও কানেই আর কিছু শুনতে পাচ্ছেন না। রাতে ঘুমোনোর সময় ওই শব্দ শুনে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু, একই সময়ে ওই ঘরে, এমনকী, একই বিছানায় শুয়ে থাকা অন্য জন সেই শব্দ শুনতে পাননি।

এক চিকিৎসক তাঁর কূটনীতিবিদ রোগীদের প্রসঙ্গে বলেছেন, মাথায় প্রচণ্ড জোর আঘাত নিয়ে যে ধরনের রোগী আমাদের কাছে আসেন, ওঁদের দেখে তাঁর তেমনটাই মনে হয়েছিল। ওই কূটনীতিকদের ব্রেনের একটা অংশে বিস্তর পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যে শ্বেতবস্তু মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করে সেখানেই নাকি পরিবর্তনটা হয়েছে।

ফাঁকা এটিএম হাতড়ে বেড়াচ্ছে আমজনতা

প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছিল, কোনও সনিক শব্দের শিকার ওই ওঁরা। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দাবি, মস্তিষ্কের ওই পরিবর্তন করার ক্ষমতা কোনও শব্দতরঙ্গেরই নেই।

এই পরিস্থিতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন কিউবায় তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়ার কথা চিন্তাভাবনা করছে। এমনকী, হাভানা থেকে তাদের দূতাবাস কর্মীদের একটা বড় অংশকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কানাডাও সিদ্ধান্ত নিয়েছে, হাভানার দূতাবাস কর্মীদের পরিবারকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হবে।

0
0

This post was last modified on April 19, 2018 1:05 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন