বিজ্ঞাপন

ফের রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন

বিজ্ঞাপন

ভ্লাদিমির পুতিন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আবার প্রেসিডেন্ট হিসাবে রাশিয়ায় ফিরে আসছেন ভ্লাদিমির পুতিন। জনমত সমীক্ষাগুলি তেমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

রবিবার প্রেসিডেন্ট পদের জন্য রাশিয়ায় নির্বাচন হয়। পুতিন নিজের সপক্ষে স্লোগান তুলেছিলেন, শক্তিশালী প্রেসিডেন্ট, শক্তিমান রাশিয়া। আর সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মানুষ ভোট দিয়েছে। দিনের শেষে বোঝা যাচ্ছে পুতিনই ফের প্রেসিডেন্ট হতে চলেছেন। যদি জনমত সমীক্ষাগুলি ঠিক প্রমাণিত হয, তবে আগামী ছয বছর পুতিনই আবার রাষ্ট্রপতি পদে থাকছেন।

প্লেনারি: বিজেপি কৌরব, কংগ্রেস পাণ্ডব, বললেন রাহুল

নির্বাচন উপলক্ষে কোনও টেলিভিশন বিতর্কে পুতিন অংশ নেননি। টিভিতে দেখানো হয়নি তাঁর নির্বাচনী প্রচার। এর পরেও জনমত সমীক্ষাগুলোর দাবি, ৭০ শতাংশ ভোট পেতে চলেছেন পুতিন। তাঁর এ বারের প্রতিদ্বন্দ্বী সাত জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বামপন্থী ধনকুবের পাভেল গ্রুদিনিন, প্রাক্তন টেলিভিশন উপস্থাপক কেসেনিয়া সোবচাক। কিন্তু, তাঁদের কেউই নাকি ৮ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন না। জনমত সমীক্ষাগুলো তেমন আভাসই দিচ্ছে।

পুতিনের প্রধান বিরোধী আলেক্সেই নাভালনিকে নির্বাচনে প্রার্থী করা হযনি। নাভালনি তাঁর সমর্থকদের এই নির্বাচন বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রায় দুই দশক ধরে রাশিয়ার ক্ষমতা ভোগ করছেন পুতিন। তিনি ইতিমধ্যে রাশিয়ায় তাঁর একক কর্তৃত্ব স্থাপন করেছেন। তিনিই প্রথম রাশিযান প্রেসিডেন্ট যিনি মার্কিন আধিপত্যবাদকে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন। এখন পুতিনের ইচ্ছে, বিদেশের মাটিতে সোভিয়েত আমলের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা।

শুনলে শিউরে উঠবে যে কেউ

বিশ্বের অন্যতম শক্তি হিসেবে রাশিয়ার ভূমিকা জোরালো করতে চান পুতিন। সিরিয়ার যুদ্ধে তিনি সমর্থন দিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে। মার্কিন যুক্তরাজ্যে প্রাক্তন রুশ গুপ্তচর সের্গেই স্ক্রিপালকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন তৈরি হয় রাশিয়ার। সের্গেই স্ক্রিপাল আমেরিকার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি করেছেন বলে অভিযোগ। এ ছাড়া ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নাক গলানোর অভিযোগও রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে।

পুতিনের জন্ম ৭ অক্টোবর, ১৯৫২। ৩১ ডিসেম্বর, ১৯৯৯ সালে পুতিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে রুশ প্রজাতন্ত্রের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বরিস ইয়েলৎসিন আকস্মিকভাবে পদত্যাগ করার প্রেক্ষাপটেই তাঁর এই দায়িত্বভার গ্রহণ। ২০০০ সালে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি জয়ী হন। ২০০৪ সালে পুতিন দ্বিতীয় মেয়াদে পুনরায় রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হন। তাঁর এ মেয়াদ শেষ হয় ৭ মে, ২০০৮ সালে। ৮ মে, ২০০৮-এ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয়ী হযে ফের রাষ্ট্রপতি হন।

সেই পুতিন ফের ক্ষমতায এলে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য় চিন্তারই হবে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন