বিজ্ঞাপন

২১৬ দিন পর কোভিড মুক্তি এইচআইভি আক্রান্তের, ৩০ বারের বেশি রূপ বদল

২১৬ দিন পর কোভিড থেকে মুক্তি পেলেন এক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সাধারণত, ১৪ দিন থেকে একমাস সময়েই যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁরা কোভিডমুক্ত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ২১৬ দিন পর কোভিড মুক্তি ঘটল এক মহিলার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সাধারণত, ১৪ দিন থেকে একমাস সময়েই যাঁরা সুস্থ হয়েছেন তাঁরা কোভিডমুক্ত হয়েছেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার এই মহিলার ক্ষেত্রে বিষয়টি পৌঁছে গিয়েছে গবেষণার পর্যায়ে। সেখানকার গবেষকরাই এই রোগীর কথা জানিয়েছেন। ৩৬ বছরের সেই মহিলা আবার এইচআইভি পজিটিভ। তাঁকে নিয়েই এখন তোলপাড় গোটা বিশ্ব। উঠেপড়ে লেগেছেন বিশ্বের গবেষকরা। মেডিক্যাল জার্নাল ‘মেডআরএক্সআইভি’ জার্নালে সেই মহিলাকে নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। তার পরই তাঁর খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে।

সেখানে জানানো হয়েছে, ২০০৬-এ তিনি এইচআইভি-তে আক্রান্ত হল। করোনাকালে বার বার কোমর্বিডিটির কথা বলা হয়েছে। একজন এইচআইভি পজিটিভ মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যে কমে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। যার ফলে তিনি খুব দ্রুত আক্রান্ত হন কোভিড-১৯-এ। ২০২০-এর সেপ্টেম্বরে কোভিডে আক্রান্ত হল এই মহিলা। তার পর থেকে কখনও খারাপ, কখনও ভাল, এভাবেই চলছিল। কিন্তু হাল ছাড়েননি ওই মহিলা এবং তাঁর চিকিৎসকরা।

চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকরা বার বার তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতি পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। কারণ তাঁরা দেখতে পান আক্রান্ত মহিলার শরীরে বার বার মিউটেশন ঘটছে সঙ্গে জিনগত পরিবর্তনও হচ্ছে। এর পর দেখা যায় মহিলার শরীরে ১৩ বার বাইরাসের স্পাইক প্রোটিন মিউটেশন ঘটিয়েছে এবং ১৯ রকমের জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। সাকুল্যে এই পরিবর্তনের সংখ্যা ৩০ বারেরও বেশি। যা প্রমান করছে কোভিড ভাইরাসের মিউটেশনের ক্ষমতা কতটা।

সাধারণ কোনও ব্যক্তির তুলনায় একজন এইচআইভি পজিটিভ রোগীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সম্ভাবনা ২.৭৫ গুণ বেশি। যদিও সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে বেঁচে গিয়েছেন এই মহিলা। এক সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রিটেনের একাধিক স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েও মৃত্যুকে মাত দিয়েছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা আরও ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু নাটাল এলাকা যেখানে এইচআইভি পজিটিভ রোগীর সংখ্যা বেশি সেখান থেকেই বেশি করে নতুন স্ট্রেনের সন্ধান মিলছে। এবং তাঁরা মনে করছেন, যে কোনও এইচআইভি পজিটিভ রোগীর শরীর করোনার বিভিন্ন স্ট্রেনর জন্মস্থান হয়ে উঠতে পারে খুব স্বাভাবিকভাবেই। তবে পুরো বিষয়টি এখনও গবেষণার স্তরে রয়েছে।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন