বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশে ভোট শুরু সকাল আটটায়, সেই হতেই শুরু গণনা

বাংলাদেশে ভোট রাত পোহালেই। রবিবার বাংলাদেশি সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। তার পরই শুরু হবে গণনার পালা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: বাংলাদেশে ভোট রাত পোহালেই। রবিবার বাংলাদেশি সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হবে। ভোটগ্রহণ পর্ব চলবে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। তার পরই শুরু হবে গণনার পালা।

নির্বাচন উপলক্ষে গোটা দেশ মুড়ে ফেলা হয়েছে কড়া নিরাপত্তায়। গুজব এবং ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়া রুখতে দেশ জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটের থ্রি-জি এবং ফোর-জি পরিষেবা।

এ বারের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৯৯টি আসনে ভোট হচ্ছে। একটি আসনে প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে ভোট স্থগিত রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে ভোটারের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ কোটি। প্রায় ৪০ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ব্যবস্থা করেছে নির্বাচন কমিশন। ভোটে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন ১ হাজার ৮৩১ জন প্রার্থী। তার মধ্যে ৯৬ জন নির্দল প্রার্থী রয়েছেন। নির্বাচনে ব্যালটের পাশাপাশি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-ও ব্যবহার করা হবে। তবে সেটা মাত্র ছ’টি কেন্দ্রে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানানো হয়েছে, দেশের সব ক’টি ভোট কেন্দ্রেই ব্যালট পেপার-সহ ভোটগ্রহণের সামগ্রী পৌঁছে গিয়েছে। পৌঁছেছেন ভোটকর্মীরাও। আইনশৃঙ্খলা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য প্রায় ৭ লাখ নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় ঠহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী।

বাংলাদেশের সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ জানান, নির্বাচনের কাজে দেশ জুড়ে সেনাবাহিনীর ৫০ হাজার কর্মীকে মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজন পড়লে আরও কর্মীকে কাজে লাগানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সেনাবাহিনীর সঙ্গেই থাকছে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি-সহ একাধিক নিরাপত্তা সংস্থা।

কংগ্রেসের কামব্যাক হল তিন রাজ্যে

অন্য দিকে, নির্বাচনের দিন তো বটেই ভোট মিটে যাওয়ার পরেও যাতে কোনও ভাবে ভুয়ো খবর বা গুজব ছড়িয়ে না পড়ে সে জন্য শনিবার দুপুর থেকেই দেশ জুড়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটের থ্রি-জি এবং ফোর-জি পরিষেবা। এ দিন দুপুর থেকে রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত ওই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখতে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দিয়েছে বিটিআরসি। তবে টু-জি পরিষেবা চালু থাকবে। ফলে মোবাইলে ছবি বা ভিডিও পাঠানো যাবে না। ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাওয়ায় ব্যবহার করা সম্ভব হবে না সোশ্যাল মিডিয়াও।

এ বারের নির্বাচনে মূল লড়াই বিদায়ী শাসক দল আওয়ামি লিগের সঙ্গে মহাজোটের। সেই জোটে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিএনপি)। তাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টই আসলে আওয়ামি লিগের প্রধান প্রতিপক্ষ। রবিবার নির্বাচন শেষ হবে বিকেল ৪টের সময়। তার পর শুরু হবে গণনা। এর পর সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত যত গড়াবে, ততই স্পষ্ট হতে তাকবে, কাদের হাতে যাচ্ছে বাংলাদেশের শাসনভার।

0
0

This post was last modified on December 30, 2018 7:17 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন