বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আচমকাই ডাইনোসর, মঞ্চে মানুষের মুখোমুখি!

রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আচমকাই ডাইনোসর-এর আবির্ভাব। ডায়াসে উঠে একেবারে মানুষের মুখোমুখি। তা-ও আবার কোনও সাধারণ সভায় নয়, একেবারে রাষ্ট্রপুঞ্জের সভায়।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আচমকাই ডাইনোসর-এর আবির্ভাব। তার পর সরাসরি ডায়াসে উঠে একেবারে মানুষের মুখোমুখি। তা-ও আবার কোনও সাধারণ সভায় নয়, একেবারে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায়। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের টুইটার হ্যান্ডল থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশন চলছে। হঠাৎ সেখানে হুড়মুড় করে পা দাপাতে দাপাতে ঢুকে পড়ে এক অতিকায় ডাইনোসর। রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আচমকাই ডাইনোসর-এর আকস্মিক আবির্ভাবে অধিবেশনে উপস্থিত সবাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। ডাইনোসরটি সোজা অধিবেশনকক্ষের ডায়াসে উঠে পড়ে। তারপর সবার উদ্দেশে ভাষণ দেয়।

জলবায়ু বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে রাষ্ট্রপুঞ্জ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)-র একটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের ভিডিও এটি। ইউএনডিপি-র ‘ডোন্ট চুজ এক্সটিঙ্কশন’ বা ‘বিলুপ্তির দিকে যেয়ো না’ শীর্ষক প্রচারাভিযানের অংশ হিসেবে এই ভিডিওটি তৈরি করা হয়েছে। গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের প্রাক্কালে এটি প্রচার করা হচ্ছে।

ওই ভিডিওটির কেন্দ্রীয় চরিত্র একটি ডাইনোসর। তার নাম ‘ফ্রাঙ্ক দ্য ডাইনো’। টুইটারে ভিডিওটি পোস্ট করে লেখা হয়েছে, ‘বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া নিয়ে ফ্রাঙ্ক ডাইনো এ বার মানুষের মুখোমুখি। তার মতে, অজুহাত দেওয়ার মতো সময়ও আমাদের হাতে নেই। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ডাইনোসরের মতো আমরাও বিলুপ্তির পথে। এখনই সময়, বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করার। তাই আসুন, বিলুপ্তির দিকে না গিয়ে ফ্রাঙ্ক ডাইনোর (@FrankTheDino) সঙ্গে আমরা ক্লাইমেট অ্যাকশনের (#ClimateAction) দিকে যাই।’

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনকক্ষের যে ডায়াসে দাঁড়িয়ে বিশ্বনেতারা ভাষণ দেন, ঠিক সেখানে দাঁড়িয়ে ফ্রাঙ্ক ডাইনোকে ভাষণ দিতে দেখা যায় ওই ভিডিওতে। ফ্রাঙ্ক ডাইনো বলে, ‘তোমরা শোনো সবাই। বিলুপ্তির ব্যাপারে আমি মোটামুটি জানি। যদি এটা সহজে বোঝা উচিত, তা–ও বলছি। বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াটা খুবই কষ্টের। আর নিজেরাই নিজেদের বিলুপ্ত করে ফেলা ৭ কোটি বছরে এমন অদ্ভুত কথা আমি কখনও শুনিনি। আমাদের সময় তো উল্কাপিণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু তোমাদের অজুহাতটা কী? তোমরা এগিয়ে যাচ্ছ জলবায়ু বিপর্যয়ের দিকে। কিন্তু এর পরেও প্রতি বছর জীবাশ্ম জ্বালানির পেছনে সরকারগুলো জনগণের কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। ভাব তো কেমন হত, যদি আমরা প্রতি বছর উল্কাপিণ্ডের পেছনে কোটি কোটি টাকা খরচ করতাম। এখন তোমরা তো ঠিক তা–ই করছ। ভেবে দেখো, এই টাকা দিয়ে আরও কত কিছু করা যেত। কত মানুষ পৃথিবীতে অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। আমি বুঝি না, নিজেদের বিলুপ্ত করার পেছনে টাকা খরচ করার থেকে তোমাদের কি মনে হয় না তাদের সাহায্য করলে ভাল হত! কিছু ক্ষণের জন্য হলেও আমি কী বলছি, মন দিয়ে শোনো। তোমাদের সামনে এখন অনেক বড় সম্ভাবনা। তোমরা মহামারি থেকে উঠে আবার অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে। মানুষ মানুষের জন্য প্রমাণ করার এখনই সময়। তাই আমি তোমাদের একটা ভাল বুদ্ধি দিই। বিলুপ্তির দিকে যেয়ো না। বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই নিজেদের বাঁচাও। খামোখা অজুহাত না দেখিয়ে, মানুষকে বিপদে না ফেলে, অবস্থা পরিবর্তনের জন্য কাজ শুরু করো। ধন্যবাদ।’


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on October 31, 2021 1:58 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন