বিজ্ঞাপন

কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড় ১ মাসের মধ্যেই: হু-র বিজ্ঞানী

কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড় মাসখানেকের মধ্যেই। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড় মাসখানেকের মধ্যেই। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র মুখ্য বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। তিনি জানিয়েছেন, ভারত বায়োটেকের তৈরি করা করোনার টিকা কোভ্যাক্সিনকে জরুরি ব্যবহারের জন্য ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে আগামী ৪ থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে। সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট (সিএসই) আয়োজিত একটি ওয়েবিনারে সৌম্য স্বামীনাথন শুক্রবার জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিনের নির্মাতা ভারত বায়োটেক হু-র পোর্টালে যে তথ্য আপলোড করেছে, তার গোটাটাই এখন খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

হু-র গাইডলাইন অনুযায়ী, নতুন আবিষ্কৃত বা অনুমতিহীন ওষুধপত্র জনস্বাস্থ্যে জরুরিকালে ব্যবহারের জন্য তারা একটি তালিকা তৈরি করে। ওই তালিকায় থাকা ওষুধপত্র ব্যবহার করার পাশাপাশি হু তার অনুমোদন পদ্ধতিও জারি রাখে। স্বামীনাথনের কথায়, ‘‘জরুরি ব্যবহারের তালিকায় কোনও ওষুধ বা টিকাকে অন্তর্ভুক্ত করতে হলে কয়েকটি পদ্ধতি মেনে চলতে হয়। টিকা তৈরি করা যে কোনও সংস্থাকে তিনটি ধাপের ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। পুরো তথ্য জমাও দিতে হয় হু-কে। সেই তথ্য বিশেষজ্ঞেরা খতিয়ে দেখেন। তার মধ্যে রয়েছে টিকার সুরক্ষা, কার্যকারিতা এবং উত্পাদনের মান। ভারত বায়োটেক ইতিমধ্যেই সব তথ্য জমা দিয়েছে। আমরা আশা করছি, আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে কোভ্যাক্সিনের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’

এর আগে হু ফাইজার, বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা-এসে বায়ো, সেরাম ইনস্টিটিউট, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ইইউ, জনসন, মডার্না এবং সিনোফার্মের টিকা জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে। স্বামীনাথনের কথায়, ‘‘বর্তমানে আমরা ৬টা টিকাকে জরুরি ব্যবহারের তালিকায় রেখেছি। আমরা কোভ্যাক্সিনের উপর নজর রেখেছি। ভারত বায়োটেক তাদের তথ্যাদি আমাদের পোর্টালে আপলোড করা শুরু করেছে। ৭ নম্বর টিকা হিসাবে কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা আমাদের বিশেষজ্ঞেরা খতিয়ে দেখছেন।’’

কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ করে সম্প্রতি ভারত বায়োটেক জানিয়েছে, করোনার উপসর্গ যাঁদের রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে সব মিলিয়ে ৭৭.৮ শতাংশ কার্যকরী কোভ্যাক্সিন। যাঁদের অতিমাত্রায় উপসর্গ রয়েছে এমন রোগীদের ক্ষেত্রে তা ৯৩.৪ শতাংশ কার্যকরী। একই সঙ্গে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কোভ্যাক্সিন ৬৫.২ শতাংশ ক্ষেত্রে কাজ করতে পারে বলে দাবি করেছে ভারত বায়োটেক।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 10, 2021 9:12 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন