বিজ্ঞাপন

আফগানিস্তানকে সাহায্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের, মানবিক সঙ্কট এড়াতে

আফগানিস্তানকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সাহায্য করল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মানবিক বিপর্যয় এড়াতেই আফগানিস্তানকে ওই সাহায্য করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: আফগানিস্তানকে সাহায্য ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের, সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সাহায্য করা হল। মানবিক বিপর্যয় এড়াতেই আফগানিস্তানকে ওই সাহায্য। মঙ্গলবার একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে একত্রিত হন জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির নেতারা। সেখানে আলোচনায় উঠে আসে আফগানিস্তানে মানবিক সঙ্কটের বিষয়টি। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, মানবিক সঙ্কট এড়াতে আফগানিস্তানকে সাহায্য করা হবে। এর পরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, ১.২ বিলিয়ন ইউরো সাহায্য করা হবে। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার ৪৫৩ কোটি টাকা।

ইটালি ওই বৈঠকের আয়োজক ছিল। ভার্চুয়াল ওই বৈঠকে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উপস্থিত ছিলেন। আমের্কার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও হাজির ছিলেন এ দিনের বৈঠকে। তবে চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। আলোচনা শুরু হতেই ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন আফগানিস্তানের জন্য ওই আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন। আফগানিস্তানকে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা সাহায্য দেওয়ার কথা ওই বৈঠকেই ঘোষণা করেন তিনি।

উরসুলা জানিয়েছেন, এই ১.২ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ২৫০ মিলিয়ন ইউরো (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২,১৭৭ কোটি টাকা) দেওয়া হবে আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রতিবেশী দেশকে। যারা শরণার্থী আফগানদের আশ্রয় দিয়েছে। আফগানিস্তানে আর্থিক সঙ্কট নিয়ে মঙ্গলবার আলোচনা হয়েছে জি-২০-র ভার্চুয়াল বৈঠকে। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যোগ দিয়েছিলেন।

আফগানিস্তানের ক্ষমতা তালিবানের হাতে যাওয়ার পরে আন্তর্জাতিক অনুদান কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। তার প্রত্যক্ষ নেতিবাচক প্রভাব পড়ে গরিব এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উপর। চলতি বছরের গোড়ায় রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যান জানিয়েছিল, আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্যের উপরে নির্ভরশীল। সংখ্যার হিসেবে প্রায় দু’লক্ষ। অগস্ট মাসে তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেয়। তার পর জি-৭ গোষ্ঠীর বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি সীমান্ত নিয়ে আলোচনার জন্য বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে আলোচনার জন্য জোর করতে থাকেন। জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চিন, তুর্কি, রাশিয়া, ভারত এবং সৌদি আরব-সহ একাধিক দেশ।

সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে জানা যায়, জি-২০ ভুক্ত দেশগুলি খুব শীঘ্রই ভিডিয়ো বৈঠকে মিলিত হবে। সেই বৈঠকে অন্যতম আলোচ্য বিষয়ই হবে আফগানিস্তান সঙ্কট। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলনের ফাঁকে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা কাবুল নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্যও গড়ে ওঠে। যার মধ্যে অগ্রাধিকার পেয়েছে সন্ত্রাসবাদ এবং বিদেশি নাগরিকদের এবং যে আফগানরা দেশত্যাগ করতে চান, তাঁদের নিরাপদে ফেরানোর বিষয়টি। তখনই স্থির হয়, জি-২০র রাষ্ট্রপ্রধানদের নিয়ে ভিডিয়ো মাধ্যমে বৈঠক হবে। এ দিন সেই বৈঠকই হয়েছে।

প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on October 12, 2021 9:09 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন