বিজ্ঞাপন

ডাইনোসরের পায়ের ছাপ: ১১ কোটি বছর আগের পদচিহ্ন মিলল ব্রিটেনে

ডাইনোসরের পায়ের ছাপ মিলল ব্রিটেনে। তবে সেই পদচিহ্ন ১১ কোটি বছর আগের। সেটাই ব্রিটেনের মাটিতে ডাইনোসরের শেষ পদচিহ্ন। অন্তত ৬টি প্রজাতির।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ডাইনোসরের পায়ের ছাপ মিলল ব্রিটেনে। তবে সেই পদচিহ্ন ১১ কোটি বছর আগের। সেটাই ব্রিটেনের মাটিতে ডাইনোসরের শেষ পদচিহ্ন। অন্তত ৬টি প্রজাতির ডাইনোসরের পায়ের ছাপ সম্প্রতি কেন্টে মিলেছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।

ব্রিটেনে ডাইনোসরের উপস্থিতির এটাই শেষতম রেকর্ড বলে দাবি করে ওই সন্ধান দিয়েছেন হেস্টিংস মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির কিউরেটর এবং পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী। কেন্টের ফোকস্টোন এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ঝোড়ো আবহাওয়া এবং উপকূলীয় জলের প্রভাবে জীবাশ্ম ক্রমাগতভাবে নতুন নতুন রূপে ধরা পড়ে। সেখানেই এই ডাইনোসরের পায়ের ছাপ মিলেছে। ডাইনোসরের পদচিহ্নের সন্ধান পাওয়া বিজ্ঞানী, পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যালেওবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড মারটিল বলেছেন, ‘‘বিলুপ্ত হওয়ার আগে ওই ডাইনোসরদের চারণভূমি ছিল এই এলাকা। এখানকার বেশ কিছু জীবাশ্ম থেকে তারই নমুনা মিলেছে।’’

সন্ধান পাওয়া পায়ের ছাপ চলতি সপ্তাহেই ‘প্রসিডিংস অব জিওলজিস্টস অ্যাসোসিয়েশন’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। কয়েকটি নমুনা ফোকস্টোন জাদুঘরে প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। ১১ কোটি বছর আগের যে সব ডাইনোসরের পায়ের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, তারা বিভিন্ন প্রজাতির বলেই দাবি করেছেন ওই গবেষকরা। হেস্টিংস মিউজিয়াম ও আর্ট গ্যালারির কিউরেটর ফিলিপ হ্যাডল্যান্ড বলেন, ‘‘২০১১ সালে আমি ফোকস্টোনের শিলা গঠন পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছি। তখনও অস্বাভাবিক লেগেছিল। এ বারের আবিষ্কার বুঝিয়ে দিল ওগুলো ডাইনোসরের পায়ের ছাপ ছিল।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বেশির ভাগ ভূতাত্ত্বিকেরা এখানকার শিলা সম্পর্কে যা বলেছেন, আমি তার সঙ্গে কখনও একমত হতে পারিনি। তবে আমি আরও ভাল জীবাশ্মের সন্ধানে এই এলাকা চষে ফেলেছি। এবং সত্যি সত্যি আগের থেকে অনেক ভাল জীবাশ্ম পেয়েছি, যেখানে ডাইনোসরের পায়ের ছাপ স্পষ্ট।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘বৈজ্ঞানিকদের এই জীবাশ্মের বৈধতা সম্পর্কে আরও প্রমাণ দিতে হবে। আমি যা পেয়েছি, তা যাচাইয়ের জন্য পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলেছি।’’

যে জীবাশ্মগুলো পাওয়া গিয়েছে, সেখানে বিচ্ছিন্ন ভাবে ডাইনোসরের পায়ের চাপ আছে। তবে তার একটিতে ৬ প্রজাতির ডাইনোসরের পায়ের ছাপ রয়েছে। একটা ‘ট্র্যাকওয়ে’ তৈরি করেছে ওই পদচিহ্ন। ওই পদচিহ্নগুলোর ‘ট্র্যাকওয়ে’টি একটি হাতির পদচিহ্নের মতো। সবচেয়ে বড় পদচিহ্নটি প্রস্থে ৮০ সেন্টিমিটার এবং দৈর্ঘে ৬৫ সেন্টিমিটার। বিজ্ঞানীদের মতে, ইগুয়ানডনস প্রজাতির ওই ডাইনোসরটি উদ্ভিদভোজী ছিল। সেটি ১০ মিটার লম্বা হয়ে উভয় পায়ে হাঁটত।


(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on June 20, 2021 2:26 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন