বিজ্ঞাপন

যুদ্ধ বিরতি গাজায়, ঘোষণা হতেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টায় মানুষ

যুদ্ধ বিরতি গাজায়, শেষ পর্যন্ত ১১ দিন পর কিছুটা স্বস্তি পেল গাজার মানুষ। হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে টানা ১১ দিন ধরে চলছিল যুদ্ধ।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুন‌িয়া ডেস্ক: যুদ্ধ বিরতি গাজায়, শেষ পর্যন্ত ১১ দিন পর কিছুটা স্বস্তি পেল গাজার মানুষ। হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে টানা ১১ দিন ধরে চলছিল যুদ্ধ। বিমান হানায় একের পর এক শহর তছনছ হয়ে গিয়েছে। টানা ১১ দিন ধরে চলা যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছে প্রচুর মানুষের। শনিবার দেখা গেল একটু একটু করে খুলছে কাফে, দোকান-পাট। মাঝিরা তৈরি করে নিচ্ছে এই ক’দিন ধরে পড়ে থাকা মাছ ধরার জাল। ধুলে ঝেড়ে বসতে চলেছে নিত্যদিনের বাজার। ধিরে ধিরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে গাজা। কিন্তু যে মানুষগুলো কাছের মানুষদের হারালেন তাঁরা কি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।

কয়েকদিন আগেই একটা খবর লিখতে গিয়ে হয়তো শিউড়ে উঠেছিলেন সাংবাদিকরাও। যেখানে বিমান হানায় এক ব্যাক্তির স্ত্রী ও তিন সন্তান শেষ হয়ে গিয়েছিল। বাড়ির ধ্বংসস্তুপের নিচে মায়ের কোলে বেঁচে গিয়েছে ছোট্ট ছেলেটি। ওই ছোট্ট পা ভেঙে গিয়েছে তিন জায়গায়। তবুও প্রাণ রয়েছে। সেই ব্যক্তির এখন বেঁচে থাকার রসদ ওই দু’মাসের শিশু। এটা শুধু একজনের গল্প নয়। চারদিকে ছড়িয়ে রয়েছে এই কাহিনী। তবুও যাঁরা বেঁচে রয়েছেন তাঁরা এই যুদ্ধ বিরতিতে নতুন করে জীবন খুঁজছে।

যুদ্ধ বন্ধ হলেও চারদিকে এখনও স্পষ্ট যুদ্ধের ক্ষত। ধ্বংসস্তুপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে গাজার সর্বত্র। বেশিরভাগ মানুষই রয়েছেন, অস্থায়ী শেল্টারে। উদ্ধারকারী দল সেই ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে এখনও খুঁজে চলেছে দেহ। যদি কেউ বেঁচে থাকে সেই আশায় সেখানেই ভিড় করছেন অনেকে। তার মধ্যেই চলছে বেঁচে থাকার লড়াই। এক জেলের বক্তব্য, ‘‘আমাদের খেতে হবে। তবে ভয় রয়েছে ইজরায়েলি কোস্ট গার্ডরা না আমাদের গুলি করে মেরে ফেলে। এবার নিজেদের উপর কে যাবে আর কে যাবে না।’’ গাজা কোস্টগার্ড মাছ ধরায় যে বাঁধা তৈরি করেছিল তা খুলে দিয়েছে।

গত ১০ মে থেকে শুরু হয়েছিল ইজরায়েলের বিমান হানা। তাতে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে ২৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ৬৬ জন শিশু। আহত ২ হাজারের কাছাকাছি। ইজরায়েল জানিয়েছেন, ২০০-র বেশি আতঙ্কবাদীর মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে দু’জন ২৫ জন কমান্ডার। একই সময়ে প্যালেস্টিনিয়ান হামলায় ইজরায়েলে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে একটি শিশু রয়েছে, একজন  টিনেজার, একজন ইজরায়েলি সেনা, এক ভারতীয় এবং দু’জন থাইল্যান্ডের বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, ৩৫৭ জনের মতো ইজরায়েলে আহত।

তবে গাজা জুড়ে সব ধিরে ধিরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করলেও মানুষ কী কিনবে, কোথা থেকেই বা কিনবে? এক তো জিনিস সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে তার উপর একটা যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে প্রতিটি মানুষ। আর তার থেকেও বড় টাকা কোথায়? ৯১ হাজার মানুষ এখনও গৃহহীন সেখানে। আগে তো ঘর তার পর বাকি।

(প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে)

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on May 22, 2021 11:39 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন