বিজ্ঞাপন

ইন্দোনেশিয়া সুনামি: মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে লুঠ

ইন্দোনেশিয়া সুনামি আর প্রচুর মৃত্যু।  ভূমিকম্পের পরই সুনামির সতর্কতা ছিল ইন্দোনেশিয়ার বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে। কিন্তু তার পরও রোখা গেল না মৃত্যু।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া সুনামি আর প্রচুর মৃত্যু।  ভূমিকম্পের পরই সুনামির সতর্কতা ছিল ইন্দোনেশিয়ার বিস্তির্ণ অঞ্চল জুড়ে। কিন্তু তার পরও রোখা গেল না মৃত্যু। একজন দু’জন নয় মৃতের সংখ্যা দ্বিতীয় দিনে ছাড়িয়েছে ৮০০র কোটা। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেবব বলছে ৮৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ভূমিকম্পের পর তেমনভাবে ক্ষতির কথা শোনা না গেলেও সুনামি বিপুল ক্ষতি করে দিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। বিভিন্ন দ্বীপে দেখা দিয়েছে খাদ্যাভাব। খাওয়ার জলও নেই। সঙ্গে শুরু হয়েছে লুঠপাঠ। ন্যাশনাল ডিজাস্টার এজেন্সির দেওয়া ডেথ টোলে দেখা যাচ্ছে প্রথম দিনের পর দ্বিতীয় দিন তা দ্বিগুন হয়ে গিয়েছে। দেশের ভাইস-প্রেসিডেন্ট জুসুফ কালা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়াবে।

ভূমিকম্পের উৎসস্থলের সব থেকে কাছে ডোঙ্গালার মানুষের বিশেষ ক্ষতি হয়নি কারণ ভূমিকম্পের সময় তাঁরা সকলেই উঠে পড়েছিলেন পাহাড়ের উপরে। তাই যখন সুনামির প্রভাবে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস হল তখন বাড়ি-ঘর ভেসে গেলেও সেখানকার মানুষরা বেঁচে গিয়েছে বলেই জানিয়েছে স্থানীয় একজন।

পাক বিমান হঠাৎই ঢুকে পড়ল ভারতের আকাশ সীমায়

রবিবার দুপুরে স্বয়ং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডো সেই সব ক্ষতিগ্রস্থ জায়গা ঘুরে দেখেন। সেনাবাহিনী নামানো হয়েছে। জোড় কদমে চলছে সার্চ অপারেশন।পল সিটির এক হোটেলে আটকে রয়েছেন প্রায় ১৫০ মানুষ বলে জানা গিয়েছে। একটি ভেঙে পড়া হোটেল থেকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে এক মহিলা। উদ্ধারকারী দল আপাতত বড় মেশিন নিয়ে এসে ধ্বংস স্তুপ পরিষ্কার করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আরণ ধ্বংসস্তুপ না সরালে উদ্ধারকাজ চালানো সম্ভব নয়।

ভূমিকম্পের সময় বিচ ফেস্টিভ্যালের প্রস্তুতিতে যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁদেরও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। ১০০ জনের উপর লোক ছিল সেখানে। তৈরি হয়েছে ফেসবুক পেজ। সেখানে নিখোঁজদের ছবি দিয়ে খোঁজ চালানো হচ্ছে। উদ্ধারকারী দলের পক্ষ থেকে জানাও হয়েছে সুনামির সময় পালুতে প্রায় ৬১জন বিদেশি ছিলেন। তাঁরা সকলেই নিরাপদ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ধ্বংস হয়ে যাওয়া হোটেলে থাকা তিন ফরাসী ও একজন দক্ষিণ কোরিয়ার অধিবাসীর কোনও খোঁজ নেই।

ইন্দোনেশিয়া সব থেকে বেশি প্রাকৃতিক দূযোর্গের শিকার একটি দেশ। এর আগে ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার জোড়াল ভূমিকম্প হয়েছিল যার মাত্রা ছিল ৯.১। তাতে ইন্দোনেশিয়া শুধু মৃত্যু হয়েছিল ১লাখ ৬৮ হাজার মানুষের। ভূমিকম্প প্রভাবিত পুরো সব অঞ্চল মিলে মৃতের সংখ্যা ছিল ২ লাখ ২০ হাজার।

0
0

This post was last modified on September 30, 2018 11:32 pm

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন