বিজ্ঞাপন

কুলভূষণ যাদব-এর মৃত্যুদণ্ড রদ করে পাকিস্তানের পুনর্বিচার করা উচিত: আন্তর্জাতিক আদালত

কুলভূষণ যাদব ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। ২০১৬-য় বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান।
বিজ্ঞাপন

কুলভূষণ যাদব ও হাফিজ সইদ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব ভারতীয় নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত অফিসার। ২০১৬-য় বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে কুলভূষণকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। এর পর তাঁর বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ এনে পাক সামরিক আদালত কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আন্তর্জাতিক আদালতে যায় ভারত। বুধবার আন্তর্জাতিক আদালত তার পর্যবেক্ষণ হিসাবে জানিয়ে দিল, কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে তাঁর পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের।

আন্তর্জাতিক আদালত যখন তার এই পর্যবেক্ষণের কথা জানাচ্ছে, ঘটনাচক্রে তার কিছু ক্ষণ আগে জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান। পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গ্রেফতারের পরেই হাফিজ সইদকে কোনও গোপন জায়গায় রাখা হয়েছে। পাক-খবরে প্রকাশ, এ দিন লাহৌর থেকে গুজরানওয়ালা যাওয়ার পথে সে দেশের সন্ত্রাস দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয় হাফিজ। সন্ত্রাসবাদী কাজে অর্থ জোগান দেওয়া সংক্রান্ত একটি এফআইআরের ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে খবরে প্রকাশ। আদালত তাকে আপাতত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বলে খবর।

এই সংক্রান্ত আরও খবর পড়তে ক্লিক করুন…

এই দুই ঘটনাকে পরোক্ষে নিজেদের সাফল্য হিসেবেই দেখছে ভারতীয় কূটনৈতিক শিবির। যদিও এ প্রসঙ্গে মোদী সরকারের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। দীর্ঘ দিন ধরেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে আসছে ভারত। রাষ্ট্রপুঞ্জের বেশির ভাগ সদস্য এ বিষয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব। ইসলামবাদকে বার বার সতর্কও করে রাষ্ট্রপুঞ্জ। হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জের ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স জঙ্গিদের অর্থ জোগানের বিষয়ে কড়া নজরদারি চালানো শুরু করে। তার পর এ দিন হাফিজের গ্রেফতার হওয়াকে তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবেই দেখছে নয়াদিল্লি।

অন্য দিকে, কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে তাঁর পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের বলে যে পর্যবেক্ষণের কথা আন্তর্জাতিক আদালত বলেছে, তা নিয়েও যথেষ্ট সন্তুষ্ট নয়াদিল্লি। কুলভূষণকে কূটনৈতিক দূতের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়ার নির্দেশও এ দিন দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। কূটনৈতিক দূতের সঙ্গে দেখা করতে না দিয়ে ভিয়েনা চুক্তি ভঙ্গ করেছে পাকিস্তান— এ দিন এমন কথাও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতের ১০ বিচারপতির প্যানেল। কুলভূষণের বিচার হয়েছিল পাকিস্তানের সামরিক আদালতে। এ দিন আন্তর্জাতিক আদালতের পর্যবেক্ষণ, কুলভূষণের বিচার হওয়া উচিত ফৌজদারি আদালতে, সামরিক আদালতে নয়।

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on July 18, 2019 1:50 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন