বিজ্ঞাপন

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মোদীর গলায় রবীন্দ্রনাথ, বললেন বাংলাতেও

রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মোদীর গলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। উচ্চারণ করলেনও বাংলায়— শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয় গান, সব দুর্বল সংশয় হোক অবসান।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন

জাস্ট দুনিয়া ডেস্ক: রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মোদীর গলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান। তবে গাইলেন না মোদী। শোনালেন। উচ্চারণ করলেনও বাংলায়— শুভ কর্মপথে ধর নির্ভয় গান, সব দুর্বল সংশয় হোক অবসান। ১৯৩৭ সালের ২৪ জানুয়ারি রবীন্দ্রনাথ এই গানটি লিখেছিলেন। প্রায় ৮৪ বছর পর বিশ্ব দরবারে রবীন্দ্রনাথের সেই গান উল্লেখ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

লোকসভা হোক বা বিধানসভা, পশ্চিমবঙ্গে একাধিক বার ভোটপ্রচারে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সেই সময় প্রায় প্রত্যেক সভাতেই তিনি বাংলায় ভাষণ শুরু করতেন। বক্তব্যের মাঝে মাঝেই গুঁজে দিতেন বাংলা শব্দ। কিন্তু রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় মোদীর গলায় রবীন্দ্রনাথ, তা-ও আবার বাংলায়, শুনে উচ্ছ্বসিত হয়েছেন অনেকেই। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রবীন্দ্রনাথকে উদ্ধৃত করে মোদী আদতে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে প্রাসঙ্গিক করে রাখতে হলে তার সংস্কার করতে হবে বলে মনে করেন মোদী। জলবায়ু সঙ্কট থেকে করোনা পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ থেকে আফগানিস্তানের সমস্যা নিয়েও কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। তিনি আহ্বান জানিয়েছেন, গোটা বিশ্বে যাতে আইনকানুন মানা হয় তা রাষ্ট্রসঙ্ঘকে দেখতে হবে।

নিউ ইয়র্কে শনিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশন মঞ্চ থেকে মোদী এক বারও পাকিস্তানের নাম করেননি। কিন্তু পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। আফগানিস্তানে পালাবদলের পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারে সন্ত্রাসবাদীরা। একই সঙ্গে তিনি আফগানিস্তানে শিশু, মহিলা এবং সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদকে যে দেশ রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে, তাকেও বুঝতে হবে সন্ত্রাসবাদ সে দেশের জন্য বড় বিপজ্জনক হতে পারে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আফগানিস্তানের মাটিকে যেন সন্ত্রাসের জন্য বা সন্ত্রাস ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা না হয়। এটা সুনিশ্চিত করা জরুরি। আমাদের এ ব্যাপারে আরও সতর্ক হতে হবে। আফগানিস্তানের পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে কোনও দেশ যেন তাদের নিজের স্বার্থে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করার চেষ্টা না করে।’’

পাশাপাশি মোদী ভারতের উন্নয়নের কথা বলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমি গণতন্ত্রের মহান পীঠস্থানের প্রতিনিধিত্ব করছি। আমরা দেশের ৬ লক্ষের বেশি গ্রামে ড্রোনের মাধ্যমে ডিজিটাল ম্যাপিং করছি। গৃহহীনদের জন্য ৩ কোটি পাকা ঘর তৈরি হয়েছে। ৪৩ কোটি মানুষের অ্যাকাউন্ট করা হয়েছে। ভারতীয়ের উন্নয়ন হলে পৃথিবীরও উন্নয়ন হবে। ৩৬ কোটির বেশি মানুষকে বিমার আওতায় আনা হয়েছে। উন্নয়নের পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে ভারত।’’


প্রতিদিন নজর রাখুন জাস্ট দুনিয়ার খবরে

(জাস্ট দুনিয়ার ফেসবুক পেজ লাইক করতে ক্লিক করুন)

0
0

This post was last modified on September 26, 2021 1:42 am

বিজ্ঞাপন
admin:
বিজ্ঞাপন
Related Post

This website uses cookies.

বিজ্ঞাপন